বিভিন্ন সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের পর প্রশ্নের উত্তর ধৈর্য ধরে দিতে দেখা গেলেও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তার ব্যতিক্রম ঘটালেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
Published : 02 Oct 2013, 05:57 PM
যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায় নিয়ে এতদিন নিশ্চুপ বিএনপি দলের নেতার মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে বুধবার নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে।
লিখিত একটি বক্তব্য হাতে নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুল।
তিনি বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে ‘সুবিচার’ পাননি।
মৃত্যুদণ্ডের রায়ে বিস্ময় প্রকাশ করে ফখরুল বলেন, “বিএনপি মনে করে, মানবতাবিরোধী বিচাররের নামে সরকার তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মূলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।”
‘রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নির্মূল ও রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংসে সরকারের অপচেষ্টার’ প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সারাদেশে জেলা ও থানায় বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।
কর্মসূচি ঘোষণার পর সাংবাদিকরা রায়ের বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের কাছে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন।
কিন্তু তার কোনো উত্তর না দিয়ে ফফরুল বলেন, “যা বলার বলে দিয়েছি, এর বাইরে কোনো কিছু বলার নেই।”
এরপর ‘নো কোশ্চেন’ বলে আসন ছেড়ে উঠে চলে যান তিনি। তার হাতে লিখিত একটি বক্তব্য দেখা গেলেও তার কোনো অনুলিপিও সাংবাদিকদের দেয়া হয়নি।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে সালাউদ্দিন কাদেরের আগে যাদের বিরুদ্ধে রায় হয়েছে, তারা সবাই ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় জামায়াত হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দিলেও তাদের জোটসঙ্গী বিএনপি এই বিষয়ে ছিল নীরব।
নিজের সাবেক সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদেরের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রায়ের পর শীর্ষনেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন খালেদা জিয়া।
ওই বৈঠকের পর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে একদিন বাদে বুধবার এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
বিকালের এই সংবাদ সম্মেলনের আগে সকাল থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের অবস্থান দেখা যায়। পুলিশ ছাড়া প্রিজন ভ্যান, সাদা মাইক্রোবাস, জলকামানের গাড়িও ছিল সেখানে।
বিকালে সংবাদ সম্মেলন যখন শুরু হয়, তখন কার্যালয়ের প্রধান ফটকের কাছ থেকে পুলিশ ৬ কর্মীকে আটক করে নিয়ে যায় বলে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন।