somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সুন্দরী কথন। ;) ;) ;) ;) ;) ;)

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের দেশে সচরাচর অতি সুন্দরীদের জন্ম হয় না। অতি সুন্দরীদের জন্ম না হবার কারন খুজতে গিয়ে মনে হলো, আসলে আমাদের সাব কন্টিনেন্টাল দেশ গুলোতে, সুন্দরীরা সৌন্দর্যের দায় মিটিয়ে উঠতে পারেন না! দায় কথাটা লিখতে গিয়েই মনে হলো, আমারও দায় থাকে, এই দায় কথাটা ব্যাখ্যা করার। আমাদের দেশের চামড়া সুন্দরী দের দায় থাকে, লাল লিপস্টিক অয়ালা ঠোঠের কাছে, পাছে একটু লেপ্টে না যায়! গালের উপরের গোলাপী সেই পাউডারের কাছে, পাছে একটু কম বেশি না হয়ে যায়! দায় থাকে, আইলাশের কাছে, কাজলের কাছে, ভুরর উঠানামার কাছে, চুলের খোপার কাছে, শাড়ীর আচলের কাছে, ব্লাউজের ভাজের কাছে, সিথির পাশের চুলের কাছে, হাতের নখের কাছে, চুড়ির কাছে, পায়ের নুপুরের কাছে, নেইল পলীশ এর কাছে, কানের দুলের কাছে, নাক ফুলের কাছে, ইয়ে টিয়ে অনেক অনেক অনেক !
এতো দায় রক্ষা করতে গিয়ে তারা যা করেন তা হলো, তাদের চারপাশে থাকা মানুষরা অনেক সময় ই আর মানুষ থাকে না। মানুষ হয়ে উঠে পুতুল, আর পুতুলই ভাবে সে মানুষ! চামড়ার এই সৌন্দর্য রক্ষার দায়ে, সে ভালো করে কারো সাথে কথা বলতে শেখাটা ভুলে যায় অনেক ক্ষেত্রেই। আরেকটা মানুষকে কিভাবে পাশে রাখতে হয়, অথবা দূরে সরাতে হয়, সেই বিদ্যাও সে ভুলে যায়। এই বিদ্যা ভুলে যাবার কারনে, যা হয় তা হলো, কেউ কিছু বললেই চেচিয়ে বলে উঠে মা আ আ আ আ আ.... এই ছেলে আমার সাথে দুষ্টামী করে!
বয়স একটু বেড়ে গেলে, আর মাকে ডাকা যায় না, ভাইকে অথবা তাকে ডেকে বলে দেয়! জানো কত বড়ো সাহস, অই ছেলে আমাকে সুন্দরী বলেছে!


আর যায় কোথায়, সুন্দরী বলাটা যে কত বড়ো অন্যায়, সে ধারনা যদি অই ছেলের না থাকে, তবে.....। বাদ দিই, আমরা কেনো শুধু শুধু তবে নিয়ে আলোচনা করবো, আমরা সুন্দরী গুনমুগ্ধ মানুষ!
দায়ে পরে শুধু যে সুন্দরীরাই যাচ্ছেলে উচ্ছন্নে গেছেন তা কিন্তু নয়। এই দায় আছে বলেই, আমাদের অনেকের আবার কোন দায় নেই! মেয়ে সুন্দর হলেই, তার পবিত্র আরো কিছু দায়িত্ব বর্তে যায় মেয়ে ধরাদের হাত থেকে বাচার জন্য। অবিরত অনবরত তাকে শিখতে হয়, কিভাবে চোখ বাচিয়ে, জিভ বাচিয়ে চলতে হবে। বহুকাল আগে বাপ্পারাজের একটা বাংলা ছায়াছবি দেখেছিলাম, বস্তী তে থাকেন নায়িকা, মুখে কালী মেখে, যাতে কেউ তার চামড়ার সৌন্দর্যে প্রলভিত না হয়! একদিন বৃষ্টিতে ধুলে গেলে সব, নায়ক দেখেন একি এযে সুন্দরী, আর যায় কোথায়, সেই থেকে প্রেম ভালোবাসা সব! অথচ এর আগে কিচ্ছুটি ছিলো নাকো, কারন মেয়ে কালো ছিলো!
সুতরাং গনিতের ধরি অথবা মনে করি নয়, আমরা উপসংহার জানি, একমাত্র সুন্দরীদের প্রেম করার অধিকার আছে, এবং একমাত্র চামড়া সুন্দরীরাই গায়ে গতরে এবং মনে ঢেউ তুলবে! ফেয়ার এন্ড লাভলী মেখে তাই রদ বাচিয়ে আমাদের সবাইকেই চলতে হয় সাত সপ্তাহ!
আমার ব্যক্তিজীবনে, আমি খুব কম মানুষকেই দেখেছি, যাদের চারপাশে একটা অদৃশ্য পর্দা তারা বানাতে পেরেছে। পাশে থাকা যায়, কথা বলা যায়, হাসা যায়, মনের কথাও বেসামাল হয়ে বলে ফেলা যায়। কিন্তু ইনার সৌন্দর্য ছুয়ে দেখা যায় না। সৌন্দর্য তো অনুভবের বিষয়, তারা সেটা অনুভব করিয়ে ছাড়ে। একটাই জিনিষ তারা পারে না, আর তা হলো হুট করে ধুম করে প্রেম এ পড়ে গেলে, হাত ধরে তুলতে জানে না! প্রেম এর মতো জগন্য বিষয় কেনো তুমি ভাবলে, এই বলে তারা ছেড়ে ছুড়ে চলে যায় দূরে দুউউউউরে!
কিন্তু এই মহাজাগতিক হিসেবের কাছে, অতি তুচ্ছ আমরা, একটু আদটু ডানে বামে না দুললে যে ব্যালেন্স থাকে না তা তারা বুঝে না!
এটা বেশ দীর্ঘকাল আমার জন্য, আমি শাড়ী পড়া, বেনী দুলানো, খোপায় কাটা গুজা সুন্দরী দেখি না! দেখি আসলে ছবি দেখি, কিন্তু নড়নে, চলনে, বলনে কাউরে তো আর দেখা হয় না। তাই সৌন্দর্য এবং সুন্দরী বিষয়ে কেমন যেনো সন্দেহ জাগে মাঝে মাঝে!
এই ফরাশ বিছানো ফরাসী মুলুকে, আজ প্রায় ৯০০ দিন পার করে ফেলেছি, মিহি সুতোয় সময় গাথলে মনে হয় আহা কি না পেয়ে গেছি! কত অভিজ্ঞতা, আকণ্ঠ শরাবে ঢুবার স্বাদ। আধো ঘুম জাগরনে, ব্লেড টানা গালে চুক করে চুমো! তাও আবার শুধু ডানে নয়! বাম গালেরও একই হাল হয়! সেই থেকে ভাবী সুন্দরীরা যদি ছুয়েই না যাবে, তবে এই সৌন্দর্য দিয়ে করবে টাকি?
এই ফরাসী সুন্দরী রমনীদের এতো দায় নেই! টান দিয়ে ঘোমটা দিতে হয় না, চোখ দিয়ে তাকালে অস্বস্তি বোধ করতে হয় না, হাটুর উপরেই থাকে শেমিজ! ঘিন ঘিনে গরমে কালো কিছুর নিচে নয়, বরং ছেলেদেরকে হার মানিয়ে, পুরো পিঠ উদোম রোদে ছেড়ে দিয়ে এরা সমুদ্র স্নান করতে পারে, একটু কালো হবার আশায়। হায় মেতিস! হায় মেতিস বলে (সাদা কালো রঙ মেশানো মানুষ দের মেতিস বলে)
ঠোঠের কোনে লাল লিপিস্টিক একটু লেপটে গেলে, আমরা ধরে নেই, একটু আগের আজকের দিনের প্রথম অথবা শেষ চুম্বনের দাগ সে রেখেই দিতে চাচ্ছে তার কাছে! সুন্দরী দেখলে হা করে বলেই দেয়া যায়, “ভুসাতে বেল”! (হায় তুমি তো সুন্দরী)
হুট করে তার প্রেম এ পড়ে গেলে, বাঙ্গালী চামড়া সুন্দরীদের মতো করে তার বলতে হয় না, ইতর, তোর ঘরে মা বোন নেই! উল্টো এরা খুশী হয়ে পাশে বসায়! খুব দুখী দুখী চেহারা করলে, গালে চুমু খায়! আর বুঝিয়ে ঘরে পাঠায়, অরে এমন করে প্রেম পরতে নেই! ভরসা দেয়, বর্তমানে যার কার কাছে রেখেছি তনু মন, তারে যদি ছাড়ি কভু, তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগে আসলে আগে পাবে হিসেবে, তুমিই হবে আমার দ্বীতিয়, তৃতীয়, চতুর্থ! মাত্রা ভেদে বদলে যেতে পারে রঙ!
ইয়েটিয়েঃ- আমাদের দেশে আঙ্গুর হয় না, কারন আমরা অয়াইন বানিয়ে ড্রাম ভরবো না । তেমনি আমাদের অতি সুন্দরী হয় না, এতো দায় রেখে সৌন্দর্য রক্ষা করা যায় না বলে!
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:২৪
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×