somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গণতান্ত্রিক সেনাহত্যা!

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যুদ্ধ চলাকালীন সময় কোন একটি দেশের সেনাবাহিনী অন্য দেশের সেনাবাহিনীর সদস্যদেরকে হত্যা করাটা সামরিক নীতির অন্তর্ভুক্ত। দেশের জন্য সেনাবাহিনী স্বাধীনতা ও সীমান্ত রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও আজকাল দেখা যায়, হীন রাজনৈতিক সার্থে কিংবা হিংস্র ব্যক্তি প্রতিহিংসার কারণে অনেক সময় নিজ দেশের সেনাবাহিনীকে বলির পাঁঠা করা হয়। দেশের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত এহেন সেনাবাহিনীকে হত্যা করার সময় তা কতটুকু বেদনাদায়ক হবে ওটা নির্ভর করে হত্যার আদেশদাতার মানসিকতা এবং তার উদ্দেশ্যের উপর।

পাকিস্তানে লাদেন হত্যার নাটকের সাথে জড়িত আমেরিকান সিলটিম-৬ এর সদস্যরা ওই সাজানো নাটকের ঘটনা প্রকাশ করে দিতে পারে বলে, এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা ঘটিয়ে সকলকে এক সাথে হত্যা করা হয়। ঘটনা পরবর্তী তদন্তে তেমন কোন অন্যায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। কারণ, তদন্তের আদেশদাতারাই তো ওই হত্যাকাণ্ডের আদেশদাতা। তবে এ ক্ষেত্রে ভালো দিকটা হচ্ছে অফিসার ও সৈনিকের ওই দলটি অকস্মাৎ মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিল তেমন কষ্ট হয়নি তাদের। দেশের জন্য জীবনবাজী রেখে কঠিনতম প্রশিক্ষণ নিয়েছিল ওই মানুষগুলো। অথচ দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব কোন অপরাধ ছাড়াই ওই নির্মম হত্যার সাজানো নাটকের নির্দেশ দেয়, কি নিষ্ঠুর এই পৃথিবী আর কত অসহায় এই সৈনিক জীবন।

কি হয়েছিল আমাদের ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তার ভাগ্যে? তাদের মৃত্যু ছিল আরো অনেক বেশি অমানবিক ও মর্মান্তিক। দীর্ঘ তিনদিন ধরে ঠাণ্ডা মাথায় তাদেরকে হত্যা করা হয় বিস্তীর্ণ এক সাজানো নাটকের মাধ্যমে। নর্দমার পচা পানিতে শুধু নাক ভাসিয়ে ২ দিন বেঁচে থেকে অনেকে নিকটাত্মীয়দেরকে এসএমএস করে আকুল আবেদন করেছিল ওদের জীবন রক্ষা করার জন্য সাহায্য পাঠাতে। সরকারি দলের নেতাদেরকে ওদের আকুতি জানালে, পিলখানার ভেতরে আদেশ যায়, “এখনও কিভাবে এসএমএস করে? কতদিন প্রয়োজন ওদেরকে শেষ করে ফেলতে?” কি মর্মান্তিক ও দুঃখজনক। এ সময় পাঠকদের অনুরোধ করবো লেখাটি পাঠ শেষে হায়দার হোসেনের বক্তব্যটি শুনতে।

তারপর প্রতিবাদী সেনাকর্মকর্তাদের চিহ্নিত করতে সেনাকুঞ্জে সকল সেনা অফিসারদেরকে জড়ো করা হয়। যারা ভাই হারা বেদনায় কাতর হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তাদের দুঃখের কথা জানায়, ওদেরকে চিহ্নিত করে দলবেধে বের করে দেয়া হয় সেনাবাহিনী থেকে। এদিকে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের একজন সক্রিয় পরিকল্পনাকারী তাপসের গাড়িতে বোমা ফাটানোর বাহানা করে বের করে দেয়া হয় আরো এক দল সেনাকর্মকর্তাদের। সবশেষে আসে সেনা অভ্যুত্থানের বাহানা, ওই গোয়েন্দা স্টিংক অপারেশনের মাধ্যমেও বের করে দেয়া হয় আরো বড় এক দল সেনাকর্মকর্তাদেরকে। এ যেন দেশের মেরুদ- গুঁড়িয়ে দেয়ার এক ধারাবাহিক কর্মকাণ্ড।

আমরা যদি ৪২ বছর পূর্বের হত্যাকাণ্ডের বিচার আজ করতে পারি, আমরা কি পারি না, যারা দেশের সূর্যসন্তানদেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে তাদেরকে ফাঁসি দিতে? কাদের মোল্লার বিচার সমাপ্ত হওয়ার পরও যদি “ফাঁসি চাই” “ফাঁসি চাই” আন্দোলনের কারণে তার ফাঁসি হতে পারে তাহলে আসুন আমরা সবাই দীপ্তকণ্ঠে দাবি করি।
নিরপরাধ সেনাকর্মকর্তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার জন্য-
ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই, হাসিনার ফাঁসি চাই ॥
নানকের ফাঁসি চাই, তাপসের ফাঁসি চাই ॥
নাস্তিকদের ফাঁসি চাই, ইসলাম বিদ্বেষীদের ফাঁসি চাই ॥
ভারতীয় রাজাকারদের ফাঁসি চাই।
ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই, হাসিনার ফাঁসি চাই ॥

মহান আল্লাহ পাক নিশ্চয়ই আপামর জনতার করুণ এই আর্তনাদ শুনতে পাচ্ছেন এবং নিশ্চয়ই তিনি তা কবুল করবেন। (আমীন)
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্যতার কলঙ্ক ইজরাইল

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২৯ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৮

ইহুদিদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম তোরাহ। এটি ৫ টি পুস্তকের সমন্বয়ে গঠিত। ইহুদি এবং সকল একেশ্বরবাদীরা বিশ্বাস করে তোরাহ হচ্ছে প্রফেট Moses ( মুসা নবী ) এর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেসবুক থেকে ভালোবাসার পথে: আমার এবং মীমের গল্প

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ৩০ শে মে, ২০২৪ রাত ২:৩৭

## প্রথম অধ্যায়: অনলাইন থেকে অফলাইনে

ফেসবুকের পাতায় একটি সাধারণ দিন। আমি তখন নিউইয়র্কের ব্যস্ত শহরে বসে থাকি, চারপাশে মানুষের কোলাহল আর কাজের চাপ। হঠাৎ করেই ফেসবুকে একটি পোস্টে কমেন্ট করতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে প্রায় প্রত্যেকেই স্ব স্ব স্হান থেকে সমস্যার সৃষ্টি করেন।

লিখেছেন সোনাগাজী, ৩০ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮



শেখ সাহেব পশ্চিম পাকিস্তান থেকে এসে ৩য় দিন ( ১/১২/১৯৭২) দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদটা তাজউদ্দিন সাহেব থেকে নিয়ে নিয়েছিলেন; ৯ মাস জেলের পর, উনার দরকার ছিলো কিছুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্যারিয়ার কথন: ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং এবং সর্তকতা।

লিখেছেন জাদিদ, ৩০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৪

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং, পেশা হিসাবে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সম্মানজনক সামাজিক স্বীকৃতি পাওয়ায় অনেকেই এই পেশায় যুক্ত হয়ে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। এছাড়া বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে একজন মানুষকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজ মনটা কেমন যেন অনেক কিছু চিন্তা করছে।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ৩০ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



সকালের মৃদু আলোয় মোড়ানো একটি মনোরম দৃশ্য ধরা পড়েছে এই ছবিতে। এটি একটি খোলা জায়গা, যেখানে সবুজের সমারোহ এবং প্রকৃতির ছোঁয়া স্পষ্ট। ছবির বাম দিকে গাছের সারি এবং ডান... ...বাকিটুকু পড়ুন

×