রাজধানীজুড়ে তীব্র গ্যাস সংকট জনজীবনে চরম ভোগান্তির কারণ হচ্ছে। অনেক এলাকায় গ্যাসের চাপ এতটাই কমে গেছে যে, বাসায় রান্না করা সম্ভব না হওয়ায় হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে। কেউ কেউ বিকল্প ব্যবস্থায় হিটার ও কেরোসিনের স্টোভ দিয়ে রান্নার কাজ সারছেন। একই অবস্থা বিরাজ করছে রাজধানীর সিএনজি স্টেশনগুলোয়। এজন্য প্রতিদিন সিএনজি স্টেশনে যানবাহনের লম্বা লাইন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বাসাবাড়ি, সিএনজি স্টেশন ছাড়াও বিভিন্ন কল-কারখানায় তীব্র গ্যাস সংকট চলছে। বলা চলে, গ্যাসের অভাবে ধ্বংস হতে চলেছে দেশের শিল্প-কারখানা। সরকারি হিসাবে বর্তমানে যে পরিমাণ সংযোগ আছে, তার জন্য গ্যাস প্রয়োজন কমপক্ষে ২৫০ কোটি ঘনফুট। উৎপাদন হচ্ছে গড়ে মাত্র ১৯৭ থেকে ২২০ কোটি ঘনফুট। অর্থাৎ দৈনিক গড়ে ৫০ থেকে ৮০ কোটি ঘনফুট গ্যাস ঘাটতি রয়েছে। তবে বেসরকারি হিসাব মতে, এ ঘাটতির পরিমাণ আরো বেশি। উল্লেখ্য, দেশে উৎপাদিত গ্যাসের সবচেয়ে বড় অংশটি সরবরাহ করা হয় বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য। এ ছাড়া সারকারখানা, শিল্প প্রতিষ্ঠান, গৃহস্থালি (আবাসিক), সিএনজি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে গ্যাস ব্যবহার করা হয়। তবে দীর্ঘদিন ধরে নতুন করে গ্যাসের আবাসিক সংযোগ প্রদান বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে জনদুর্ভোগের পাশাপাশি সরকার প্রচুর গ্রাহকও হারাচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস না পেয়ে নতুন উদ্যোক্তাসহ দেশের শিল্প-কারখানার মালিকরাও সংকটের মধ্যে রয়েছেন। এ অবস্থায় গ্যাস খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি..........
আপনি কি মনে করেন?? বাসায় আমাদের খাওয়া দাওয়ার কষ্টের কথা তো বাদ-ই দিলাম.......