পিতার সন্তুষ্টিতে প্রতিপালকের সন্তুষ্টি,পিতার অসন্তুষ্টিতে প্রতিপালকের অসন্তুষ্টি।গুরুত্ব পূর্ণ ও নির্ভরযোগ্য হাদীস।এটি আমাদের দশম শ্রেণীর ইসলামধর্ম বইতে ছিল।আরও আছে বাবার শাসন সন্তানের জন্য রহমত স্বরূপ।এমন কি পবিত্র কোরআনে মৃত মা বাবার জন্য দোয়া কিভাবে করতে হবে সেটাও বলা হয়েছে। রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বায়ানি ছাগীরা। আরও আছে জীবরাইল আঃ দোয়া করেছেন “ধ্বংস হোক ঐ ব্যক্তি যে বাবা মাকে জীবিত পেয়েও বেহেশত হাছিল করতে পারলো না।”রসুল সঃ বলেছেন আমিন। বাবার শাসনে আদরে একজন সন্তান প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠে।বাবার কষ্টার্জিত অর্থে একটা পরিবার পরিচালিত হয়।বাবার রক্ত ঘাম পানি করা পরিশ্রমের উপর একটা পরিবার পরিচালিত হয়।বাবা সন্তানের শুধু অভিভাবক বা গাইড নন।একটা সময়ে বাবা হয়ে ওঠেন বন্ধু।বাবা একজন শিক্ষক।বাবা পরিবারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ কারী।কর্তা ব্যক্তি।এক কথায় বটবৃক্ষ।যে বৃক্ষের ছায়ায় বাস করেন মা সন্তান সহ সকলেই।একজন মায়ের মা হয়ে ওঠার জন্য যেমন কষ্ট ,ত্যাগ তিতিক্ষা।সন্তানকে দশমাস দশদিন গর্ভে ধারণ করা।সন্তানের খাওয়ানো ,সন্তানের শিশু বেলায় পেশাব পায়খানার কাপড় বদলানো সারারাত জেগে থেকে সন্তানের লালনপালনের যে সীমাহীন কষ্টদায়ক কাজ করা।এসমস্ত সবগুলো কাজ কিন্তু একজন বাবাও করে থাকেন।শুধুমাত্র সন্তান গর্ভধারণ ও তাকে বুকের দুধ পান করানো বাদে সমস্ত ব্যাপার গুলোতে একজন বাবার অংশীদারিত্ব থাকে।সারাদিন বাবা অফিস করে এসে ক্লান্ত শ্রান্ত থাকা সত্ত্বেও ঠিকই সন্তানের ন্যায্য অন্যায্য আবদারগুলি পূরণ করেন।পরিবারের দায়িত্ব চাহিদা মেটাতে গিয়ে এমনকি অসততায় জড়িয়ে পড়েন।নিজে ভাল কোন পোশাক কিনেন আর নাই কিনেন তার স্ত্রী সন্তানকে ঠিকই জামাকাপড় কিনে দিয়ে নিজে পুরানো পোশাকেই পার করে দেন ঈদ পূজা পার্বন ইত্যাদি অনুষ্ঠান ।এমন বাবার সংখ্যা কম নয়।অথচ সেই বাবাকে নিয়ে অরুচিকর অশালীন ব্যাপার স্যাপারে পোস্টের অভাব নেই।বাবা/পিতা লিখে সার্চ দিলে নেটে চলে আসবে অশালীন সব ঘটনা সম্বলিত লেখা।বাবার সম্মান সমুন্নত রাখতে তাই বাবা নিয়ে অনেক লেখালেখির দরকার আছে।বাবার মহত্ব ,দায়িত্ব আর অপরিহার্যতা নিয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।যতই বড় হচ্ছি ততই বাবার গুরুত্ব উপলব্ধি বাড়ছে। এইতো বছর দুয়েক আগেও বাবা আমাকে গোছল করিয়ে দিয়েছেন ঈদের দিনে।আমি নাকি ঠিকমত গোছল করতে পারিনা।এত বড় হয়েছি এ কথা পড়লে হয়ত মানুষ হাসবে অবিশ্বাস করতে চাবে।কিন্তু ঘটনা সত্যি।এত বড় হলাম বাবার কাছে শিশুটিই রয়ে গেলাম।যখন বড় হলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি আমার অনুপস্থিতি শপিং এ গেলে বাবা দুটি শার্ট কিনতেন।তারপর বাসায় এসে আমাকে দিতেন আমি আমার যেটা পছন্দ সেটা নিব অন্যটা বাবা নিবেন।শুরু হত মা আর ছেলে মিলে বাবাকে ঠকানোর কর্মসূচী ।ঠকে বাবা খুশি হতেন।সেই শার্টগুলিই আমার প্রিয়।চিন্তাও করিনি বাবাকেই ভাললাগারটা দেয়া উচিৎ।বাবা বড়।কোথাও বেড়াতে গেলে সেই শার্টগুলো বাবা বেটা পড়তাম।এখনো বাবা কোথাও গেলে আমাকে সঙ্গে পেলে সবচেয়েবেশি খুশি হন।সেই বাবা। আকাশের চেয়ে যিনি আমার কাছে বড়।সেই বাবা শব্দটাকে অপদস্থ করা আর্টিকেল ও খবরে খুব মর্মাহত হই।মায়ের মর্যাদা সম্মান রক্ষা করার জন্য যেমন প্রচুর আর্টিকেল পোস্ট করা উচিৎ ঠিক তেমনি বাবাকে নিয়েও অসংখ্য আর্টিকেল বা লেখা পোস্ট করা উচিৎ। যাতে করে নেটে সার্চ দেয়া মাত্র বাবার প্রশংসামুলক পোস্ট চোখের সামনে ভেসে ওঠে আর বাবার প্রতি সত্যিকার শ্রদ্ধানুভূতি কাজ করে।বাবা মা দুজনই অনেক শ্রদ্ধার বিষয় ।বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাই আমার উদাত্ত আহবান চলুন মায়ের পাশাপাশি বাবাকে নিয়েও লিখি গল্প কবিতা আর বাস্তব স্মৃতি চারণ।বাবা আমাদের কাছে আকাশের মত বড় হয়ে থাক।
বাবা কে নিয়ে লেখা
হাসি-কান্নার এক জোড়া ঈদ গল্পঃ ঈভ টিজার এবং স্কুলড্রেস মামুন রশিদ
যারা লিংক দিবেন তাদের পোস্ট সংযোজন করা হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭