শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে কোপানোর ঘটনায় ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর এবার বাদির ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
Published : 10 Oct 2013, 09:44 AM
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম দিপু জানান, বুধবার রাত ১১টার দিকে সুবিদবাজার এলাকার সোনারবাংলা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে অর্থনীতি বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণীর শিক্ষার্থী অঞ্জন রায়ের ওপর এ হামলা হয়।
অধ্যাপক আনোয়ার জানান, রাতে নগরীর আম্বরখানা থেকে অটোরিকশায় করে বাসায় ফিরছিলেন অঞ্জন। পথে চারটি মোটরসাইকেলে করে ১০-১২ জন মুখোশধারী যুবক তার পথ আটকায়। তারপর দুইজন অঞ্জনের দিকে অস্ত্র তাক করে এবং বাকিরা তাকে উপর্যপুরি কুপিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
আহত অঞ্জন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার হাতে, পায়, পিঠে ও পেটে জখম হয়েছে বলে জানান এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক সব্যসাচী রায়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, বুধবার রাত ১টায় অঞ্জনের হাতে অস্ত্রোপাচার হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
গত সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের কাছে ছাত্রদলের হামলায় গুরুতর আহত হন আবু নছর মণ্ডল ও নুরুজ্জামান সরকার নামের দুই ছাত্রলীগ কর্মী। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়ক মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাসকে আটক করে পুলিশ।
ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার অঞ্জন রায় জালালাবাদ থানায় মৃত্যুঞ্জয়কে প্রধান আসামি করে ১৭ ছাত্রদল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
জালালাবাদ থানার ওসি গৌসুল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, অঞ্জনের ওপর হামলা পর ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
ছাত্রলীগ নেতা উত্তম কুমার দাশ বলেন, অঞ্জনের ওপর হামলার ধরন দেখে মনে হচ্ছে হামলাকারীরা শিবিরের নেতাকর্মী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস, ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম দিপু, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ শামসুল ইসলাম ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা অঞ্জনকে দেখতে রাতেই হাসপাতালে যান।