‘অপহৃত’ হওয়ার কয়েকঘণ্টা পর মুক্তি পেয়েছেন লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলী জেইদান।
Published : 10 Oct 2013, 11:01 AM
বিবিসির খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকালে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির একটি হোটেল থেকে প্রধানমন্ত্রী আলী জেইদানকে অপহরণ করে সাবেক বিদ্রোহীদের একটি দল।
পরে প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির খবর জানানো হয় সরকারের পক্ষ থেকে।
লিবিয়ায় এ সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্রের কমান্ডো অভিযানে সন্দেহভাজন আল কায়েদা নেতা আটকের ঘটনার জেরে সাবেক সশস্ত্র বিদ্রোহীরা জেইদানকে কয়েকঘণ্টা আটকে রাখে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
জেইদানকে অপহরণকারী গোষ্ঠীটি জানায়, তারা প্রসিকিউটর জেনারেলের নির্দেশেই প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে।
তবে এ ধরনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি অস্বীকার করেছে দেশটির বিচার মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে এক সংক্ষিপ্ত বার্তায় বলা হয়, “লিবিয়ার অন্তবর্তী সরকারের প্রধান আলী জেইদানকে ভোরে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় একদল বন্দুকধারী। এই অপহরণের কারণও অজ্ঞাত।”
কোরিনথিয়া নামে ওই হোটেলের কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীকে সেখান থেকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় গোলাগুলি বা সংঘর্ষের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
একজন নিরাপত্তারক্ষী রয়টার্সের প্রতিবেদককে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীকে ‘গ্রেপ্তার’ করা হয়েছে বলে তার কাছে মনে হয়েছে। তবে আরেক নিরাপত্তারক্ষী বলেছেন, কন্দুকধারীরা ছিল লিবিয়ার সাবেক বিদ্রোহী দলের সদস্য।
তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি লিবিয়া সরকারের কর্মকর্তারা।
লিবিয়ার আইন মন্ত্রীর বরাত দিয়ে আল অ্যারাবিযঅ টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, জেইদানকে ‘কিডন্যাপ’ করা হয়েছে। ভিডিও থেকে নেয়া একটি ছবিতে দেখা গেছে, ধূসর শার্ট পরিহিত জেইদানকে ঘিরে ধরে তাকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে একদল সাধারণ পোশাকের লোক।
মঙ্গলবার জেইদান লিবিয়াতে জঙ্গিবাদ বন্ধে পশ্চিমাদের সহায়তা চান।
বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তার দেশ অস্ত্রের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
লিবিয়ার দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর বিভিন্ন বিদ্রোহী দল ও জঙ্গি মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে দেশটির সরকার। এখনো দেশটির অনেক অংশ ছোট ছোট বিভিন্ন বিদ্রোহী দলের নিয়ন্ত্রণে।