somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কওমি মাদ্রাসায় হেফাজতি বিস্ফোরণ

১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী পরিচালিত কওমি মাদ্রাসা জামিয়াতুল উলুম আল ইসলামিয়ার (লালখান বাজার মাদ্রাসা) একটি কক্ষে গত সোমবার সকালে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। পুলিশ কমিশনার উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ওই কক্ষে অতি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একাধিক হাতে তৈরি গ্রেনেড একসঙ্গে বিস্ফোরিত হয়েছে। বিস্ফোরণের পর ভবনটির আশপাশের এলাকা থেকে পুলিশের বিস্ফোরকদলের সদস্যরা বোমায় ব্যবহৃত মার্বেল, সিসা ও ব্যবহার হওয়া কয়েকটি গ্রেনেডের খোসা উদ্ধার করেন। যে কক্ষে বিস্ফোরণ ঘটে তার পাশের কক্ষেই গত ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে নিয়োজিত অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাইকমিশনার টিম বলটিন কফ মুফতি ইজহারুল ইসলাম ও মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। বিস্ফোরণে কক্ষের পলেস্তরা খসে পড়ে। দুটি সিলিং ফ্যানের মধ্যে একটি উড়ে যায় এবং অন্যটি বাঁকা হয়ে যায়। কক্ষের দু'পাশের জানালার কাচ পাশের কয়েকটি ভবনের ছাদে গিয়ে পড়ে। জানালায় ব্যবহৃত লোহার গ্রিলগুলো বাঁকা হয়ে যায়। বিস্ফোরণের পর কক্ষটিতে আগুন ধরে যায়। এতে ওই কক্ষে থাকা একটি কম্পিউটার, আসবাবপত্র ও কাপড়চোপড় পুড়ে যায়। বিস্ফোরণে ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এদের মধ্যে গোপনে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার সময় পুলিশ পাঁচলাইশ ও হালিশহর থেকে ৪ জনকে আটক করেছে। ঘটনার পর থেকে মুফতি ইজহারকে খুঁজছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশের বিস্ফোরকদলের সদস্যরা ওই কক্ষ থেকে অবিস্ফোরিত ৩টি গ্রেনেড এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। এরমধ্যে একটি গ্রেনেডের সঙ্গে মোবাইল ফোন লাগানো আছে। গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সন্তোষ চাকমা বলেন, মোবাইলে নির্দিষ্ট সময়সূচি ঠিক করে এটি যেকোনও জায়গায় বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব।
২০০১ সালের নির্বাচনের আগে ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের নেতা হিসেবে বিএনপির সঙ্গে ছিলেন মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী। ২০১০ সালের ১৩ ডিসেম্বর জঙ্গি তৎপরতার সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে লালখান বাজার মাদ্রাসা থেকে মুফতি ইজহারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় মুফতি ইজহারের বিরুদ্ধে রাঙ্গুনিয়া থানায় দুটি মামলা করা হয়। বর্তমানে মামলা দুটি হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে।
মাদ্রাসায় গ্রেনেড ও বিস্ফোরক থাকা খুবই উদ্বেগের বিষয়। দেশের মাদ্রাসা শিক্ষার ধারাটি গড়ে উঠেছে কওমী মাদ্রাসাকে কেন্দ্র করে। কওমী মাদ্রাসায় রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রন নেই। ফলে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ভিতরেই বেড়ে উঠছে অগণতান্ত্রিক ও আধুনিকতা, ধর্ম নিরপেক্ষতা, নারী স্বাধীনতা পরিপন্থী হেফাজতি শক্তি। রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ বর্হিভূত ধর্ম ভিত্তিক শিক্ষা টিঁকে থাকলে এমনটি হবেই, রাষ্ট্র আরো বিপন্ন হবে, বিপন্ন হবে ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদ ও মানবাধিকার। ধর্মীয় শিক্ষার কওমী ধারা দেশকে কোথায় নিয়ে যাবে তা ভেবে দেখার সময় এসেছে। এভাবে চলতে থাকলে খুব দ্রুতই রাজনৈতিক ইসলাম ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্ষমতার দিকে হাত বাড়াবে। সাম্প্রতিক সময়ে জামাত ও হেফাজতের ঐক্যবদ্ধ তান্ডবলীলা আমাদেরকে সে ইঙ্গিতই দেয়।

২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×