একদিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন মালালা ইউসুফজাই।
Published : 11 Oct 2013, 02:40 PM
বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার পুরস্কার পান মালালা, নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্যও যার নাম উচ্চারিত হয়েছে জোরের সঙ্গে।
নিউ ইয়র্কের সিটি কালচারাল সেন্টারে ওই রাতে দর্শকদের সঙ্গে কথা বলেন মালালা। সেখানে তিনি পাকিস্তানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত বেনজির ভুট্টোর প্রশংসা করেন।
একজন চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও এখন তিনি রাজনীতিতে আসতে চান এবং একদিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চান বলে জানান।
এ প্রসঙ্গে মালালা বলেন, “একজন চিকিৎসক হয়ে আমি শুধু আমার সমাজের সেবা করতে পারবো। কিন্তু একজন রাজনীতিবিদ হয়ে আমি আমার সমগ্র দেশের সেবা করতে পারবো এবং এর মাধ্যমে আমি আমার সমগ্র দেশের চিকিৎসা করতে সক্ষম হবো।“
শান্তিতে নোবেল পাওয়ার সম্ভাবনার ব্যাপারে মালালা বলেন, “যদি আমি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাই তবে আমার মনে হয় সেটা আমার জন্য আমার প্রাপ্যের চেয়েও অনেক বেশি সম্মানের বিষয় হবে এবং এটা একটা বড় দায়িত্বও।“
“এই জয় হয়তো মেয়েদের শিক্ষার বিষয়ে প্রচারাভিযান চালানো শুরু করতে আমাকে সাহায্য করবে। তবে যখন আমি দেখবো সব শিশুরা স্কুলে যাচ্ছে সেটা হবে আমার আসল পুরস্কার। আর এটাই আমার আসল লক্ষ্য, সবচেয়ে মূল্যবান লক্ষ্য যেটা আমি পেতে চাই। এটার জন্য আমি তৃষ্ণার্ত এবং এরজন্য আমি কঠিন লড়াই চালিয়ে যেতে চাই।“
১৬ বছর বয়সী মালালা মেয়ে শিশুদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এ জন্য ২০১২ সালের অক্টোবরে তালেবান জঙ্গিরা স্কুলবাসে উঠে তার মাথায় গুলি করে।
পরবর্তী সময়ে ইংল্যাণ্ডে চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ হয়ে ওঠেন।
অনেক বিশেষজ্ঞ এবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মালালার পক্ষে মত দিয়েছেন। এমনকি বাজিকরদের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মালালাকে এরই মধ্যে বিজয়ী ঘোষণা করেছে।
শুক্রবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা হবে।
তালেবান গোষ্ঠী তার মতো মেয়ে শিশুদের কিভাবে স্কুলে যেতে বাধা দিচ্ছে সেই বিষয়ের ওপর ব্লগে ২০০৯ সালে একটি লেখা প্রকাশের মাধ্যমে মালালা তার প্রচারাভিযান শুরু করেন।
মালালার আত্মজীবনীমূলক বই ‘আই অ্যাম মালালা’ বৃহস্পতিবার অ্যামাজন ডটকমের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিক্রিত বইয়ে পরিণত হয়।
তালেবান গোষ্ঠীর আক্রমণের শিকার মালালা উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যাওয়ার পর থেকে সেখানেই বাস করছেন। তিনি আর পাকিস্তানে যাননি।
মালালা জানান, পাকিস্তানের কথা তার খুব মনে পড়ে। তিনি যখন দেশে ফিরবেন তখন তিনি তালেবান গোষ্ঠীকে বলবেন, “শান্তির পথে আসুন। কলম এবং শব্দ দিয়ে নিজেদের জিহাদ চালান।“