যৌতুক চেয়ে নির্যাতনের অভিযোগে প্রথম স্ত্রীর করা মামলায় কণ্ঠশিল্পী আরফিন রুমিকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে।
Published : 12 Oct 2013, 08:42 AM
শনিবার ভোরে গ্রেপ্তার এই কণ্ঠশিল্পীকে দুপুরে ঢাকার আদালতে নেয় পুলিশ। তিনি জামিনের আবেদন জানালেও তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন মহানগর হাকিম মো. আতিকুর রহমান।
শনিবার দুপুর ২টায় রুমিকে আদালতে নেয়া হয়। সেখানে তার স্ত্রী লামিয়া আক্তার অনন্যাও ছিলেন বলে ওই আদালতে পুলিশ কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আনিসুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
মামলায় রুমির ভাই ইয়াসিন রনিকেও গ্রেপ্তার করা হয়। আদালত তাকেও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। তবে অপর আসামি মা নাসিমা বেগম রোজীকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন ছিল না বলে সেই আবেদন করা হয়নি।
লামিয়ার অভিযোগ, স্বামীসহ তিন আসামি তাকে বেঁধে তার ওপর নির্যাতন চালায়।
শুক্রবার রাতে মামলা দায়েরের পর শনিবার ভোরে রুমিকে তার কাঁটাসুরের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে মোহাম্মদপুর থানার ওসি আজিজুল হক জানিয়েছেন।
মামলায় বলা হয়, রুমি বিয়ের পর থেকে ২০ লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে আসছিলেন। ওই টাকার জন্য শুক্রবার বাদীকে মারপিট করা হয়।
অতি অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া আরফিন রুমি একসঙ্গে দুই স্ত্রী রেখে সমালোচনার মধ্যে পড়েন। প্রথম স্ত্রী লামিয়ার ঘরে রুমির একটি ছেলে রয়েছে।
শনিবার আদালতের বারন্দায় লামিয়াকে খুড়িয়ে হাঁটতে দেখা গেছে । এ সময় তার দ্বিতীয় স্ত্রী কামরুন নেসা ও তার কয়েকজন আত্মীয়কে এজলাসের বারান্দায় দেখা যায়।
জামিন নাকচের আদেশ হওয়ার পর লামিয়া তার মায়ের সঙ্গে মায়ের বাড়িতে রওনা হলে দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার আত্মীয় স্বজনরা অনুরোধ জানালে তিনি রুমির সঙ্গে দেখা করতে যান।
জামিন শুনানিতে রুমির আইনজীবীরা বলেন, “প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিয়েই রুমি দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রহণ করেন। দ্বিতীয় বিয়ের কাবিনে বাদী নিজে সাক্ষী হিসাবে স্বাক্ষর করেছেন। যৌতুকের দাবিতে রুমি আদতে লামিয়াকে মারধর করেননি।”
দূরবীন ব্যান্ড দলের সাবেক সদস্য রুমি ২০০৯ সালে তার অ্যালবাম ‘এসো না’র জন্য ‘ইউরো চলচ্চিত্র সাংবাদিক ফোরাম’ পুরস্কার পান। রুমি গান সুরও করেন এবং ২০১০ সালে বিনোদন বিচিত্রা পুরস্কারও পান সুরকার হিসেবে।