somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পীযুষের ইসলাম বিদ্বেষী কবিতার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে মুসলমানরা

১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় এই লোকটিকে তো আপনারা সবাই চেনেন। নব্বই দশকের দিকে বিটিভি এবং মঞ্চ নাটকের খুব পরিচিত মুখ ছিলেন এই পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বর্তমানে উনার সবচেয়ে বড় পরিচয় হল উনি FDC (Film development Corporation) চলচিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের এমডি। দেশের সব চলচিত্রের ছাড়পত্র পেতে কিন্তু এই এফডিসির অনুমোদন লাগে। সেই হিসাবে আমরা বলতে পারি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে মিডিয়া জগতের খুব গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি। মাসকয়েক আগে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় একটি কবিতা লিখে তা স্বকণ্ঠে আবৃত্তি করেছিল। কবিতাটির ছত্রে ছত্রে ছিল আলেম উলামাদের প্রতি তুচ্ছাতাচ্ছিল্য। পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্বরচিত কবিতায় সে বাংলাদেশের আলেম উলামাদের কে ধড়িবাজ ধর্মপাল মদান্ধ বলে সম্বোধন করেছে। এমনকি তার এই স্বরচিত কবিতায় এই পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের সম্মানিত আলেম উলামাদের কে মোট ৩ বার মদান্ধ বলে সম্বোধন করেছে। মদান্ধ বলতে বুঝায় মদ খেয়ে যখন কোন ব্যক্তি মাতলামিতে অন্ধ হয়ে অশ্লীল কাজ করে। মদ খাওয়া ইসলাম ধর্মে সুস্পষ্ট হারাম আর এই পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় তার এই স্বরচিত কবিতায় বলেছে বাংলাদেশের সম্মানিত আলেম উলামারা নাকি মদ খেয়ে মাতলামিতে অন্ধ হয়ে মদান্ধের মত অশ্লীল কাজ করে, ছি। এমনকি সে তার নিজের মুখে বারবার উচ্চারণ করেছে ছি ছি ছি হে পশ্চাৎপদ মোল্লা মৌলভী ছি! ছি! ছি! আলেম উলামাদের প্রতি এই পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুচ্ছতাচ্ছিল্যের মাত্রা কতটঊকু সীমা ছাড়াতে পারে তা কবিতাটি না পড়লে বোঝার উপায় নেই। তবে এই পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় সবচেয়ে ভয়াবহ ধৃষ্টতা দেখিয়েছে সরাসরি এই কথাটি উচ্চারণ করে, “হে পশ্চাৎপদ মোল্লা মৌলভী, বল বন্দে মাতরম!” ‘বন্দে মাতরম’ এই পদটির অর্থ হলো মাকে তথা দেবীকে বন্দনা করি। এইখানে দেবী বলতে দূর্গা কালীকে বুঝানো হচ্ছে। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় “বন্দে মাতরম” গানটি লিখেছিলেন হিন্দুদের দুর্গা ও কালীর বন্দনা করার উদ্দেশ্যে। হিন্দুরা যখন ভারতে দাঙ্গা করে তখন তারা বন্দে মাতরম বলে স্লোগান দেয়, অর্থাৎ “বন্দে মাতরম” এটি একান্তই উগ্র হিন্দুদের স্লোগান। “বন্দে মাতরম” ভারতের জাতীয় গান হওয়া সত্ত্বেও ভারতের কোন মুসলমান বন্দে মাতরম গানটি গায় না, এটি গাওয়ার বিরুদ্ধে অনেক আগেই ফতোয়া জারি করেছে ভারতের দেওবন্দ মাদ্রাসা। যদিও ভারত সরকার মুসলমানদেরকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রতিনিয়ত এই “বন্দে মাতরম” গানটি গাইতে চাপ দেয়। আর এই পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় তার এই স্বরচিত কবিতায় বাংলাদেশের সম্মানিত আলেম উলামাদের কে মোট ৪ বার এই “বন্দে মাতরম” বলার নির্দেশ দিয়েছে। পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্বরচিত কবিতার কিছু অংশ আমি এইখানে উল্লেখ করেছি-
বিব্রত বাংলাদেশ
মৌলবাদীর দেশ
এদেশে পানিকে জল,
জিন্দাবাদকে জয় বলা যাবে না
বললে সর্বনাশ,
একেবারে ধর্মনাশ!
কাফের, মুরতাদ, ধর্মদ্রোহী বলে
ফতোয়া দেবে মোল্লা মৌলভী
কপট ধার্মিক ধর্ম নিয়ে করে ধামালি
সামান্য ছুতা ধরে ধনুজ ধর্মদ্রোহী মতান্ধরা
ধর্মের শ্রীবৃদ্ধি করাই তাদের একমাত্র মোরাল
এসব শুনে মোল্লা মৌলভী মদান্ধ হয়ে বলে
..........................................
সাড়ে তিন হাজার প্রাণ,
এক কোটি শরনার্থী সৈন্য দিয়ে,
অস্ত্র দিয়ে, অর্থ দিয়ে, অন্ন দিয়ে
দীর্ঘ নয় মাস
অসীম সাহস দিয়ে
বেজন্মা টিকা ইয়াহিয়ার গদিতে
লাথি মেরে যারা সাহায্য করেছে
তাদেরকে বন্ধু বলা যাবে না
বললে সর্বনাশ, একেবারে ধর্মনাশ
কাফের, মুরতাদ, ধর্মদ্রোহী,
ভারতের দালাল বলে ফতোয়া দেবে মোল্লা মৌলভী
যারা ধর্ম নিয়ে করে ধামালি
অথচ, তারা হলেন ধর্মাচার্য
ধর্মের শ্রীবৃদ্ধি করাই তাদের একমাত্র কার্য্য
এসব শুনে মোল্লা মৌলভী বলে,
ধুত্তুরি তোর মোরাল দাউ দাউ দাউ,
আমাদের খুশি না করে চললেই ফতোয়া দেব মুরতাদ
ছি ছি ছি হে পশ্চাৎপদ মোল্লা মৌলভী
তোরা কবে হবে বিজ্ঞানমুখী
ঢন ঢন ঢন ঢ্যাপসা
হে ধড়িবাজ ধর্মপাল ধাঙাতি করে
আর কতকাল কাটাবি আর?
আর নয় ঢাঙাতি
এসো আলোর দিকে
মুহম্মদ ইউনূসের মতো তুর্যধ্বনি দিয়ে বল
হে বাংলা মা, বন্দে মাতরম।

পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্বরচিত কবিতাটি আপনারা এই লিংক Click This Link এ যেয়ে Download করতে পারবেন। মাত্র 2.85 MB এর এই Audio টি Download করলেই পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের মুখে আপনারা তার লেখা কবিতাটা শুনতে পারবেন। দেশের সম্মানিত আলেম উলামাদের কে ধড়িবাজ ধর্মপাল মদান্ধ বলার কারনে আমাদের মুসলমানদের উচিত এই পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় কে রাম দা দিয়া কুপানো আর তা না করে এই আওয়ামীলীগ সরকার এই পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় কে FDC এর এমডি পদে নিয়োগ দিয়ে রেখেছে, ছি। আমি ফারাবী আওয়ামী লীগারদের কে বলতে চাই আপনারা কিভাবে নিজেকে একজন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মত হিসাবে দাবী করেন যেইখানে আপনাদের দল দেশের সম্মনিত আলেম উলামাদের কে গালিগালজকারী এই পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত ব্যক্তিকে দেশের এতবড় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ FDC এর এমডি পদে নিয়োগ দিয়ে রেখেছে। গত কয়েকবছর ধরে ঢাকার বনানীতে দেশের সবচেয়ে বড় ব্যয়বহুল দূর্গাপূজার আয়োজন করা হচ্ছে। তাতে দেশের নামকরা গায়িকা ও নর্তকীদের আনা হয় যেন দুর্বল ঈমানের মুসলমানরাও বিনে পয়সায় নাচগান দেখার লোভে পূজামণ্ডপে যায়। বনানীর সেই পূজা মণ্ডপ কমিটির প্রধান কে আপনারা জানেন? তা হলো দেশের সম্মানিত আলেম উলামাদের কে ধড়িবাজ ধর্মপাল মদান্ধ বলে অভিহিত করা এই পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়! আওয়ামী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এরকম হাজারো পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বীন ইসলাম থেকে শুরু করে আলিম উলামাদের কে তুচ্ছাতাচ্ছিল্য করে এদেশে রাজার হালে রয়েছে, সরকারী পাজেরো গাড়ি হাকায়। মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে পীযূষের মতো হিন্দুরা এদেশে পূজা মণ্ডপ বানানোর অধিকার রাখে না। FDC এর এমডি এই পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় যদি দেশের আলেম উলামাদের কাছে ক্ষমা না চায় তাইলে এই পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও থাবা বাবার মত করুন পরিনিতি বরন করতে হবে।

সূত্র: Click This Link
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×