রোববার সকাল ১১টায় এই পদের কর্মচারীরা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তর সিআরবিতে জিএমকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
এসময় ট্রেড অ্যাপ্রেনটিস পদের কর্মচারীরা জিএম’র কার্যালয় ঘেরাও করে তাদের দাবি জানাতে থাকেন। তাদের কর্মসূচিতে সমর্থন জানায় রেলওয়ে শ্রমিক লীগ।
রেলওয়ে শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনার পর বিকাল সাড়ে ৫টায় ঘেরাও কর্মসূচি শেষ হয়।
“জিএম মহোদয় ঈদের বন্ধের পর বিষয়টি সুরাহা করার আশ্বাস দেন। তাই আন্দোলনকারীরা আগামী ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত কর্মসূচি মুলতবি করেছেন।”
আন্দোলনকারী ট্রেড অ্যাপ্রেনটিস পদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জিএম সাহেব আমাদের ডেকে নিয়ে আশ্বস্ত করেছেন, ঈদের ছুটি শেষে অফিস খোলার পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে আমাদের দাবির বিষয়ে সুরাহা করবেন।”
ঘেরাওয়ের মধ্যে থাকা অবস্থায় তাফাজ্জাল রোববার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঢাকার রেলভবন থেকে অনুমোদন পাওয়া গেলে তারা (আন্দোলনকারীরা) মহার্ঘ্য ভাতা পাবেন। তারা যেহেতু স্থায়ী কর্মচারী তাই মহার্ঘ্য ভাতা না পাওয়ার কোনো কারণ নেই।”
রেল কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রামে ট্রেড অ্যাপ্রেনটিস পদে ১৯৭ জন কর্মরত আছেন। প্রায় দেড় বছর আগে ২১টি ক্যাটাগরিতে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়। তাদের নিয়োগের সময় শিক্ষানবিস মেয়াদকাল ছয় মাস উল্লেখ ছিল।