ভারতে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের রতনগড় মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১শ’ ৯ জনে দাঁড়িয়েছে বলে স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন। এ ঘটনায় আরও ১শ’ ৩৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Published : 13 Oct 2013, 03:44 PM
উত্তর মধ্যপ্রদেশের দাতিয়া শহর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরের এ মন্দিরে রোববার সকালে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের বেশিরভাগিই নারী ও শিশু।
দুর্গা পূজার নবমী উপলক্ষে মন্দিরটিতে প্রায় ৫ লাখ মানুষ জড়ো হয়েছিল। মন্দিরটির কাছে সিন্ধু নদীর ওপর এটি সেতু পার হওয়ার সময় সেতুটি ভেঙে পড়ার গুজব ছড়িয়ে পড়লে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। এতে পদদলিত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
বেশির ভাগ মানুষই পায়ের তলায় পিষ্ট হয়ে নিহত হয়েছেন, আর কিছু মানুষ মারা গেছে সেতু থেকে লাফিয়ে পড়ে।
রোববার সারারাত ধরে পূর্ণ্যাথীরা অনেক মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলায় নিহতদের অনেকেরই দেহ ছাই হয়ে গেছে।
সোমবার সকালে স্থানীয় পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের মুখপাত্র আনন্দ মিশ্র বলেছেন, “ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া সর্বশেষ খবরে ১০৯ জন নিহত ও ১৩৩ জন আহত হওয়ার কথা জানা গেছে।”
“নিহতদের মৃতদেহ নদী ও পদদলনের ঘটনা যেখানে ঘটেছে সেখান থেকে উদ্ধার করেছি আমরা,” বলেন তিনি।
এনডিটিভি জানিয়েছে, মন্দিরে সমবেত মানুষের লম্বা লাইন ভাঙতে একদল লোক সেতু ভেঙে পড়ার গুজব রটায়। এতে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ওই ঘটনা ঘটে বলে কয়েকটি সূত্রে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আবার অন্য কয়েকটি খবরে বলা হয়েছে, পুলিশ মানুষের ভিড় সামলাতে লাঠিচার্জ করার কারণেও লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে পুলিশ লাঠিচার্জ করার কথা অস্বীকার করেছে।
সেতুটিতে ওই সময় অন্তত ২৫ হাজার মানুষ ছিল বলে জানানো হয়েছে কয়েকটি প্রতিবেদনে।
সকাল ৯ টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটলেও মন্দিরটি প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়ার কারণে খবর দেরীতে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
৫শ’ মিটার দীর্ঘ কিন্তু সংকীর্ণ ওই সেতুটিতে ২০০৭ সালে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর আরেকটি ঘটনার পর সম্প্রতি সেতুটি নতুন করে তৈরি করা হয়েছিল।
ভারতে ধর্মীয় উৎসবগুলোতে প্রায়ই পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থাকে। গত বছরও এরকম ঘটনায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে ২০০৮ সালে জোধপুরের চামুন্ডা দেবী হিন্দু মন্দিরে পদদলিত হয়ে ২২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।