পূজা ও কোরবানির ঈদের ছুটির আগের দিনে শেষ কার্যদিবসে রাজধানীর ব্যাংক ও এটিএম বুথগুলোতে অন্য দিনের তুলনায় বেশ ভিড় দেখা গেছে।
Published : 13 Oct 2013, 09:40 PM
রোববার ব্যাংকগুলোর কোন কোন শাখায় টাকা তোলার সারি বড় হতে হতে দরজার বাইরে পর্যন্ত চলে যেতে দেখা যায়, যেখানে কোনো গ্রাহককে একঘণ্টার বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
দেশের প্রধান দুই উৎসবকে কেন্দ্র করে মানুষের শেষ মুহূর্তের চাহিদা মেটাতে ব্যাংকিং খাতে মোট লেনদেন হয়েছে অনেক বেশি। আর টাকা তোলার বাড়তি চাপ সামলাতে আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার (কলমানি মার্কেট) সুদের হারও কিছুটা বেড়েছে।
ব্যাংকগুলোর বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তারা জানান, শেষ দিনে টাকা তোলা ও জমা দেওয়া- দুটোরই চাপ থাকলেও তোলার হারই বেশি ছিলো।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় শাখাগুলোতে ভিড় বেশি। টাকা তোলার পরিমানও বেশি। পাশাপাশি জমাও হয়েছে বেশি।
তবে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি থাকায় বড় ধরনের কোনো ঝামেলা হয়নি বলে জানান তিনি।
একই চিত্র দেখা গেছে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখা, রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখা ও জনতা ব্যাংকের করপোরেট শাখায়।
জনতা ব্যাংকের করপোরেট শাখায় রেমিট্যান্স তুলতে আসেন আবুল হাসনাত নামের এক গ্রাহক।
তিনি বললেন, মালয়েশিয়া থেকে তার এক স্বজন কিছু টাকা পাঠিয়েছেন। ঈদের ছুটির আগে টাকাগুলো তুলতে তড়িঘড়ি করে ব্যাংকে এসেছেন তিনি।
বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে এইচএসবিসি ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের শাখায় বেশ ভিড় ছিলো। রাজধানীর সিটি সেন্টারে অবস্থিত এইচএসবিসির কার্যালয়ের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে আসা গ্রাহকদের সারিও ছিলো চোখে পড়ার মতো।
বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ব্যাংক এশিয়ার দিলকুশা শাখা, ইসলামী ব্যাংকের ওয়েজ আর্নার করপোরেট শাখা, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স শাখা, উত্তরা ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখাগুলোতেও গ্রাহকদের দীর্ঘ সারি চোখে পড়েছে।
এদিকে নগদ টাকা তোলার হার বেড়ে যাওয়ায় রোববার আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারে কলমানির সুদের হার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশে ওঠে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এই হার খুব বেশি নয়। গত কোরবানির ঈদের আগে কলমানির সর্বোচ্চ সুদহার ছিলো ১২ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, রোববার কলমানিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ৮ হাজার ৩৬৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ধার দেওয়া-নেওয়া করেছে।