বৈরী আবহাওয়ার কারণে সারাদেশে বিভিন্ন নৌপথে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল ব্যাহত হওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
Published : 31 May 2013, 04:33 AM
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের কারণে গত কয়েকদিন ধরে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি হচ্ছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলজুড়ে।
এর প্রভাবে নদীগুলো উত্তাল থাকায় নৌচলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
মাওয়া-কাওড়াকান্দি রুটে বৃহস্পতিবার রাত থেকে সাড়ে ১৩ ঘণ্টা বন্ধ ছিলো গাড়ি পারাপার।
নয় ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ফেরি চলাচল শুক্রবার সকালে শুরু হয়েছে।
পাটুরিয়ায় ফেরি চলাচল পুরোদমে শুরু হলেও মাওয়ায় তিনটি পন্টুনের মধ্যে একটি দিয়ে শুধু পারাপার চলছে।
মাওয়া-কাওড়াকান্দি
গুরুত্বপূর্ণ এই নৌপথে সবগুলো ফেরি চলাচল প্রায় সাড়ে ১৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আংশিকভাবে শুরু হয়েছে।
১ নম্বর ঘাট দিয়ে ফেরি চলাচল পুনরায় শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে সীমিত আকারে লঞ্চ ও স্পিডবোটও চলাচল করছে।
১৪টি ফেরির মধ্যে তিনটি ফেরি ১নং ঘাট দিয়ে চলাচল করতে পারবে বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির মাওয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক সিরাজুল হক।
বাকি দুটি ঘাট মেরামতের কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
নদীতে ঢেউ এবং পন্টুন ডুবে যাওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ফেরি চলাচল পু্রোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়।
সিরাজুল হক জানান, পদ্মা উত্তাল থাকায় রাতে কোনো নৌযানই চলাচল করতে পারেনি।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া
ঝড়ো হাওয়া ও প্রকাণ্ড ঢেউয়ের কারণে প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল শুক্রবার সকালে আবার শুরু হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক(বাণিজ্য) বিদ্যুৎ কুমার সাহা জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে তা আবার শুরু হয়েছে।
দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার ফলে দুই পাড়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
চাঁদপুর-শরীয়তপুর
চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে ফেরি চলাচল বৃহস্পতিবার রাত থেকে নয় ঘণ্টা বন্ধ ছিলো।
বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. ইমরান খান জানান, রাত সাড়ে ১১টা থেকে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে আবার ফেরি চলাচল শুরু হয়।
বর্তমানে এই রুটে প্রতিদিন তিনটি ফেরি চলাচল করে। শরীয়তপুর, খুলনা, মাদারীপুর, বাগেরহাটসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় কম সময়ে যাতায়াতের জন্য হরিণা ফেরিঘাট ব্যবহার করা হয়।
এই ঘাট দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে খুলনার উদ্দেশে চলাচল করে শত শত মালবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস।