ঈদুল আজহার প্রধান জামাতের জন্য প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ ময়দান।
Published : 15 Oct 2013, 05:26 PM
রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, কূটনীতিক ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাসহ লাখো মুসল্লি বুধবার এ ময়দানেই ঈদের নামাজ পড়বেন। এ লক্ষ্যে জাতীয় ঈদগাহ ঘিরে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক মঙ্গলবার ঈদগাহের প্রস্তুতি ঘুরে দেখেন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ঈদের নামাজের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ। আগামীকাল ১ লাখ মুসল্লি এখানে নামায আদায় করবেন। তাদের মধ্যে ৫ হাজার নারীর জন্যও ব্যবস্থা করা হয়েছে। একসাথে ১৪০ জনের ওজুর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।”
বৃষ্টি হলেও যাতে নামাজ আদায়ে সমস্যা না হয়, সেজন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) পক্ষ থেকে যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নানক বলেন, জাতীয় ঈদগাহ ময়দান ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুলিশ ও র্যাবের মাধ্যমে চার স্তরের নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হচ্ছে পুরো এলাকা। প্রথমবারের মতো আধুনিক নিরাপত্তা সরঞ্জাম সম্বলিত ভ্রাম্যমাণ ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে ঈদগাহ মাঠের আশপাশের এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
ঈদগাহে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল মো. জাহাঙ্গীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ গতকালই হয়ে গেছে। শামিয়ানা টাঙানোর কাজও শেষ। আজ কার্পেট বিছানো হচ্ছে।”
অন্যান্যবারের মত এবারো ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হচ্ছে ময়দানের বিভিন্ন স্থানে। ময়দানের প্রবেশ পথের ফটকের ডান ও বাঁ দিকে থাকছে পুলিশ ও র্যাবের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।
পরিদর্শনের সময় সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে প্রতিমন্ত্রীকে জানানো হয়, ঈদগাহে ২ লাখ ৩৩ হাজার বর্গফুট জায়গায় মুসল্লীদের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। বৃষ্টি প্রতিরোধক ত্রিপলে ঢেকে দেয়া হয়েছে ২ লাখ ৫৭ হাজার বর্গফুট।
কোরবানির পশুবর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সিটি কর্পোরেশনের ২ হাজার কর্মী বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত থাকবেন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা শহরকে বর্জ্যমুক্ত করা হবে।”
দুপুরের আগে আগে ঈদগাহ পরিদর্শনে আসেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার বেনজির আহমেদ।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “ঈদ জামাতে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। আশা করছি, নির্বিঘ্নে ঈদ জামায়াত হবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে বেনজির বলেন, “এবারের ঈদে ঢাকায় মোট ৩০০ জামাত হবে। প্রধান জামাতের পাশাপাশি বাকিগুলোতেও পুলিশের কড়া নজরদারি থাকবে।”