somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি কি পারব লেখক হতে?

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এটা আমার প্রথম লেখা। যদিও মনে মনে আমি সবসময় লিখে চলি। এর আগে আমি কখনো কোন প্ল্যাটফর্ম এ লেখি নাই। তবে ছোটবেলা থেকেই আমি কল্পনা বিলাসী। সবসময়ই আমার মাথা ঘুরতে থাকে। আমার মাথা নিয়ে নানান শয়তান খেলা করে। আমি বিশ্বাস করি সব লেখকেরই এইটা হয়। লেখার আগে অবশ্যই সেগুলো মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায়।

আজকের আগে পর্যন্ত আমার লেখা হইছে হাতে গোনা অল্প কয়টা ফেসবুক স্ট্যাটাস আর কমেন্টস। ছোটবেলায় ডায়রিতে দুই এক লাইন লিখতাম অবশ্য। তবে তার সবগুলোই হারিএ গেছে। আর কাজের প্রয়োজনে দুই একটা অতি নিম্নমানের আর্টিকেল লিখেছি। ব্যাস, এইটুকুই।

তবে আমি কিন্তু একজন নিয়মিত পাঠক। শরৎচন্দ্রের সবচাইতে বড় ভক্ত আমি। নিয়মিতই আমি পড়ি। কখনো এই ব্লগ তো কখনো অন্নটা। কখনো ফেসবুক এর বিভিন্ন পেজ এর বিভিন্ন গল্প, কবিতা বা প্রবন্ধ। পড়ি আর অবাক হই কিভাবে নিজের চিন্তা থেকে এভাবে গল্প তৈরি হয়। কিভাবে নানান চরিত্র কল্পিত হয়। কিভাবে নানান প্লট চিত্রায়িত হয় মনের গভীরে। তারপর আবার কিভাবে সেগুলো মালায় গাথা হয়। আর আমার সামনে আসে গল্প হয়ে। কোন কোন গল্পকে বাস্তব ঘটনাও মনে হয়।

কবিতা পড়ি আর অবাক হই শব্দের পর শব্দ বসে কিভাবে ভিন্ন একটা সুর তৈরি হয়। আবার কখনো মনে হয় আমিইতো বিদ্রোহী। নজরুল যা লিখেছে তার সবই তো আমি। আমার কথা। ও এগুলো শুনল কোথায়? রবি তো আমার কল্পনাকেই চুরি করেছে। সাথে আমার আবেগও। আর বনলতা। সে তো আমার শত জনমের প্রেয়শী।

অনেক নাটক দেখেছি, দেখি আর নিজেই সমালোচনা করি। যদিও এখন আর তেমন দেখা হয়না।
লেখক হতে অনেক আবেগ দরকার হয়। আমিও অনেক আবেগী। কিন্তু তা প্রকাশ করতে পারিনা কোন সময়ই। কিভাবে করবো। ওরা সবাই মিলে তো আমার সব আবেগ চুরি করেছে। আমার ভাবনা চুরি করে বিশ্বকবি। আমি লেখা খুজে পাই না। গল্প পাই না। সব চরিত্র হারিয়ে গেছে, পালিয়ে গেছে। আমি শুধুই হাতড়ে বেড়াই।

আমি অবশ্য গল্প বা কবিতা লিখতে পারবনা কোন সময়ই। এটা আমি জানি। অনুভূতিহীন ভোতা আবেগ দিয়ে গল্প বা উপন্যাস হয় না। আমার মাথায় কখনই হাজার হাজার শব্দ ঘুরপাক খায় না। আমি ভাবতে শুরু করলেই আমার মতিভ্রম হয়। শব্দ শুন্য মাথায় ঘুরতে থাকে রাজনীতি, সমাজ আর নানান সামাজিক সমস্যা। মনে হয় আবৃতি না করে বক্তৃতা দেয়াই সহজ। এই জন্যই আমি উদীয়মান বুদ্ধিজীবী।

গত কয়েক মাস ধরে লেখালেখি শুরু করবো করবো করে আর করা হয় না। এইটা ভাবি, সেইটা ভাবি। কিন্তু লিখতে বসলে আর পারিনা। সব ভুলে যাই। অনেক কষ্টে আজ এটুকু লিখে ফেললাম।

পারলে একটু মতামত জানাবেন। আমি কি পারব লেখক হতে?
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:০৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×