ঈদের জন্য আমরা সবাই মিলে (আটজন) আট কেজি গরুর মাংস, ছয়টা মুরগি, চার কেজি পোলাউএর চাল, আরো আনুষাঙ্গিকসহ দেড় কেজি আদা কিনেছি। ঈদের আগের রাতে এক বড়ভাই তার ১২ বছরের রোষ্ট রান্নার অভিজ্ঞতা মিশ্রিত করে মুরগির রোষ্ট করলেন, আর একজন বগুড়া স্টাইলে গরুর মাংস ভুনা করলেন (হেল্প করেছি সবাই মিলে), গাজীপুরী নাহিদ (জংলি নাহিদ) মুরগরি ঘাড়-গলা+ছোট করে কাটা মাংস দিয়ে খিচুড়ি রান্না করলো। এখানেই আমাদের সম্মানিত পাচক সাহেবেরা দেড় কেজি আদা শেষ করে ফেলেছে। পরের দিন সাড়ে আটটায় ঈদের নামাজ পড়ে এসে দিনাজপুরী রাজু/গোলাপী রাজু পোলাও রান্না করতে যাবে, দেখে আদা নেই। নেই তো নেই, একবারেই নেই। কামচুরা রাজু আদা ছাড়া পোলাও রান্না করবে না। একটা উছিলা পাইছে আরকি!!! আমি বাজার+অর্থকড়ি সমন্বয়ক, যতই বলি আজ ঈদের দিন দোকান/পাট বন্ধ, এখন কোথাও আদা পাওয়া যাবে না। সে শুনেই না। আদা ছাড়া পোলাও রান্না করলে নাকি পোলাও ভালো হবে না। শেষমেস দুইটা ফ্রিজ আতি-পাতি করে খুজে সামান্য আদা পাওয়া গেল, তাতেও হবে না। তখন সিরাজগইঞ্জা রহম আলী বলে উঠল, "ভাই, আজ তো ঈদের দিন, দোকন পাট সব বন্ধ, কোথাও আদা পাওয়া যাবে না। আপনাদের সবার কাছেই যে একটা করে আদা আছে। সেইটা আমারে দেন, আমি ছেইচ্চা দিতাছি, তারপর ওইটা দিয়া রাজু পোলাও রান্ধুক।"
এই কথা শুনে রাজু ভবিষ্যত চিন্তা করে অল্প আদা দিয়াই পোলাও রান্না করে।
বুঝেছেন তো, রহম আলী মজাটা কোথায় করেছে??
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪