একইসঙ্গে বিভিন্ন ক্যাডার ও বিভাগের বেতন বৈষম্যের বিষয়গুলো চিহ্নিত করে সমাধানের সুপারিশ করতে ‘পে অ্যান্ড সার্ভিসেস কমিশন’ নামে আলাদা একটি কমিশন হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের একটি প্রতিনিধিদল বুধবার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি তাদের এ কথা জানান।
মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, স্থায়ী পে কমিশনের চেয়ারম্যানই পে অ্যান্ড সার্ভিসেস কমিশনের প্রধান হবে।
পে অ্যান্ড সার্ভিসেস কমিশনের মেয়াদ হবে ছয় মাস। প্রয়োজনে পরে মেয়াদ বাড়ানো যাবে।
এই কমিশন বেতন বৈষম্যের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবে এবং সমাধানের সুপারিশ করবে বলে মন্ত্রী জানান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য স্বতন্ত্র পে স্কেলও ১৫ নভেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান মুহিত।
এর আগে গত ৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ২০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা দেন।
পরদিন এর গেজেট জারি করে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই মহার্ঘ ভাতা চলতি বছরের ১ জুলাই থেকেই কার্যকর হবে।
ওই সময়ই প্রধানমন্ত্রী একটি স্থায়ী পে কমিশন গঠনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সপ্তম পে কমিশন গঠন করা হয়। এরপর ২০০৯ সালের ১ জুলাই সর্বশেষ সরকারি চাকুরেদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়।
বর্তমানে দেশে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ১৩ লাখ।এর মধ্যে চাকরিতে সক্রিয় আছেন প্রায় ১১ লাখ।