গণতন্ত্রের জন্য নির্দলীয় সরকার ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম।
Published : 01 Nov 2013, 05:03 PM
শুক্রবার বিকালে নয়া পল্টনে ১৮ দলীয় জোটের গায়েবানা জানাজা কর্মসূচির আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, “স্বৈরাচার সরকারের পেটুয়া বাহিনী আমাদের ২০ জন কর্মী-সমর্থককে হত্যা করেছে। শহীদদের রক্তের শপথ নিয়ে চলমান আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায় নিয়ে যেতে হবে।
“গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে, নিপীড়ন-নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে হলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো বিকল্প নেই। অন্য কোনো পথ খোলা নেই।”
শুক্রবার বিকালে আসর নামাজের পর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে গায়েবানা জানাজা হয়।
এছাড়া সারাদেশে বাদ জুম্মা গায়েবানা জানাজা হয়।
জানাজায় ১৮ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল লতিফ নেজামী, জামায়াতে ইসলামীর শফিকুল ইসলাম, ইসলামিক পার্টির আবদুল মোবিন, লেবার পার্টির মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, এনডিপির আলমগীর মজুমদার, জাগপা‘র খন্দকার লুৎফর রহমান, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া প্রমুখ অংশ নেন।
মির্জা ফখরুল নিহতদের আত্মার মাগফেরাত ও তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, “গণতন্ত্রকে আজ সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা বিরোধী দলের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।”
জানাজার পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হরতালে চাঁদপুরে আহত হাকিম ব্যাপারী ও তারেক হাসানকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।
এ সময় চাঁদপুরের জেলা সভাপতি প্রকৌশলী মোমিনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদউদ্দিন মানিক তার সঙ্গে ছিলেন।