somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শুন্যের গর্ভে-পর্ব ৭

০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা সবাই মিলে পরপর কয়েকদিনমিটিং মিছিল অনুরোধ উপরোধ করে নিস্ফল প্রচেস্টা চালালাম। তাদের একই কথা; হয় এই টিউশন ফি দিয়ে পড়ালেখা কর নয়তো মাইগ্রেট করে অন্য খানে চলে যাও।
অবশেষে আমরা নিজেদের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনা করে অত্যান্ত ব্যাথিত সিদ্ধান্ত নিলাম এখান থেকে চলে যাব।
সেদিনের আগে আমরা এভাবে কখনও উপলদ্ধি করতে পারি নাই আমাদের সবার সম্পর্কের গভীরতা।এমনকি রুমের প্রত্যেকটা আসবাবপত্রগুলো'কেও মনে হচ্ছিল অতি আপনজন। স্বভাবতই প্রচন্ড কস্ট দহন করছিল সবাইকে।
কয়েকজন নিজের আবেগ সংবরন করতে না পেরে কেঁদে ফেলল।
আর আমার সেই বন্ধু(যে আমার পক্ষ নিয়ে হোস্টেলের সবার বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছিল।) সে রাত্রেও প্রচুর এ্যলকোহল গিলে হোস্টেলে বসে ইনিস্টিটিউট কতৃপক্ষের গুস্টি উদ্ধার করল- আর মাঝে মাঝে সে তেড়ে যেতে চাচ্ছিল কাউকে খুন করার প্রত্যাশায়। অবস্থা বেগতিক দেকে তাকে শেষমেষ রুমে আটকিয়ে রাখা হয়।(আমার সেই বন্ধুটা এক রুশ তরুণীকে বিয়ে করে আজো অব্দি তাম্বোভেই বসবাস করছে-আমার ধারনা তাম্বোভে বসবাসরত একমাত্র বাংলাদেশী সে-ই)।
তন্ময়কে দেখলাম হতাশায় যেন একদম ভেঙ্গে পড়েছে। দিনের বেশীর ভাগ সময় উস্কোখুস্ক চুল আর গভীর লাল চোখ নিয়ে জানালা দিয়ে চেয়ে আছে দুর দিগন্তপানে। সেই প্রথম তাকে দেখলাম বেহড মাতাল হতে। সে অপমান গ্লানিতে পুড়ছিল। কেন?
হয়তোবা তার নিজের প্রতি এতদিনের আস্থা অহংকার ভেঙ্গে যাওয়ায়। উল্লেখ্য আমাদের ইনস্টিটিউটের নতুন এই সিদ্ধান্ত রদের প্রচেস্টায় তার ভুমিকা ছিল সবচেয়ে বেশী। কিন্তু তার সবপ্রচেস্টাই বিফল হল।
বিচ্ছেদ বেদনা যে কত ভয়ঙ্কর সে কদিনে যথেস্ট অনধাবন করতে পেরেছিলাম।
সবার ইচ্ছে ছিল কয়েকটা দিন এখানে থেকে যাওয়ার কিন্তু হোস্টেল কতৃপক্ষ আমাদের জানাল পরবর্তী সপ্তাহের মধ্যে রুম ছেড়ে দিতে হবে। তাদের নতুন অনেক ছাত্র আসছে।
আমরা পড়লাম মহা ফাঁপরে । এই মূহুর্তে ভাল ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়াটা একটু কস্টকর! প্রয়োজন সময়ের। এছাড়া আমাদের ইনস্টিটিউট কতৃপক্ষ আরেকটা বিস্ময়কর নতুন আইন করেছে। সেটা হল প্রথম বর্ষের সার্টিফিকেট নিতে হলেনতুন একবছরের সম্পুর্ন টিউশন ফি দিতে হবে!
এই্ বিদেশ বিভূঁইয়ে এদের বিরুদ্ধে লড়বার মত শক্তি বা সাহস কোনটাই আমাদের ছিল না। আর তখনতো রাশিয়াতে আইন বলতেই কিছু ছিল না। সদ্য সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। কম্যুনিজমের ধ্বস ও নতুন রাজনৈতিক পট পরিবর্তন দেশটাকে একেবারে এলোমেলো করে দিয়েছে। যে যার মত নিজেই আইন গড়ছে।
যদিও আমাদের এই ছোট্র শহরে এই ভাঙ্গন ও পরিবর্তনের ঢেউ সেভাবে লাগেনি তবুও যে আচ লেগেছিল তাতেই আমরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম।
সার্টিফিকেট ছাড়া কোন মতেই সম্ভব ছিলনা ভাল ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া।
শুধুমাত্র ইয়ার লস করে হয়তো হওয়া সম্ভব।
কয়েকজনের আত্মীয় ও বন্ধুরা অন্যান্য শহরে থাকাতে আপাতত দুয়েকমাসের জন্য তারা নিশ্চিত আর বাকীরা পড়ল অকুল পাথারে। হুট করে তারা কোথায় যাবে কোথায় থাকবে কেননা এই ছোট শহরটায় থাকার জন্য ও ভাষা সমস্যার জন্য পুরো দেশটাই আমাদের অপরিচিত রয়ে গেছে।
যাহোক সবাই সবাইকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে যে যার গন্তব্যে রওনা হল।
ভাঙ্গা হাটে পড়ে আছি আমি আমার রুমমেট সহ আরো কয়েকজন। চারিদিকে যেন কবরের নিস্তব্ধতা! মাঝে মধ্যে রাশান ’আজারবাইজান’ ’আর্মেনিয়ান’ ’জর্জিয়ান’ সহ বিভিন্ন দেশের (বর্তমান) বন্ধু বান্ধবীরা আসছে শেষ বারের মত দেখা করতে। কেউবা একাধিকবার। তাদের কন্ঠে বিষন্নতা আর চোখে ব্যাথার আভাস পরিবেশটাকে আরো ভারী করে দিচ্ছিল। হয়তো এদের সাথে আর কখনই দেখা হবে না।
আমার মস্কোতে কয়েকজন বন্ধু আছে পরিচয় অল্প দিনের তাছাড়া তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ নেই তবুও তাদেরকে ফোনে ব্যাপারটা জানালে তারা উৎফুল্ল চিত্তে সাদর আমন্ত্রন জানাল। তন্ময় অন্যের মারফত আমাকে তার সাথে যাবার জন্য অনুরোধ করেছিল; কিন্তু আমি রাজি হইনি।
আমি তখনো ওখানে পড়ে আছি এই কারনেই যদি শেষ মুহুর্ত ইনস্টিটিউট কতৃপক্ষ তাদের মত পাল্টায় ।
কিন্তু শেষ দিনটি পর্যন্ত অপেক্ষা করে তাদের পক্ষ থেকে আশানরুপ কোন সাড়াই পেলাম না তখন বাধ্য হলাম মস্কোর উদ্দেশ্যে রওনা দিতে।
আমার সেই বন্ধুরা থাকত মস্কোর আরিয়েখাবার একটা হোটেলে। সল্প ভাড়ার হোটেল কিন্তু সুযোগ সুবিধা পরিবেশ সবকিছুই হোস্টেলের মত। সেখানে প্রায় শতাধিক বাঙ্গালীর সাময়িক বাস। কোন রুমে দু’জন কোনটায় চার জন কোনটায় বা তার চেয়ে বেশী। প্রায় সবাই সেখানে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে অবস্থান করছিল -তবে কেউই কিন্তু ওখানে পরাশুনার জন্য আসেনি। এদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। সুযোগ বুঝে অন্য দেশে পাড়ি জমানো।
সারাদিন হোটেলে বসে সবাই অলস সময় কাটায়। জরুরী প্রয়োজন ভিন্ন অন্য সবাই খুব একটা বাইরে বের হয় না। এখানে লক্ষ্য করলাম; আড্ডার ভিন্ন রুপ- যার সাথে আমি খুব একটা পরিচিত নই। ওদের বেশীর ভাগই ছিল নিন্মরুচির তবুও তার মধ্যে ছিল প্রান প্রাচুর্য। সেখানে প্রায় প্রতি রাতেই হাতাহাতি সহ বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটত। আমার ভাগ্য সুপ্রসন্ন যে আমি ওখানে তুলনামুলকভাবে কিছু শিক্ষিত ও রুচিসম্পন্ন লোকের সংস্পর্শে
এসেছিলাম।
তবুও সুসম্পর্ক বজায় রাখার সার্থে সবার সাথেই মেলামেশা করতে হত ।
অনেক চেস্টা করেও সেই সেশনে ভর্তি হতে পারলাম না। হাতে ছিল অফুরন্ত সময়। এভাবে শুয়ে বসে না সময় কাটিয়ে ভাবলাম এই সুযোগে দেশটা একটু ঘুরে দেখি ।

মস্কো থেকে প্রথমে গেলাম ভারোনিঝ ,সেখান থেকে ইউক্রাইন সবশেষে মালদোভিয়া। যদিও আমি একা নই আমরা প্রায় পনেরজনের মত ছিলাম । প্রায় মাস দুয়েকের ভ্রমন। অনেক অভিজ্ঞতা আর প্রকৃতি দর্শনে তখন আমি ক্লান্ত! মস্কো ফিরে আসলাম মাত্র তিনজন বাকীরা চলে গেছে এদেশের গন্ডি ছাড়িয়ে অনেক দুরে ’জার্মান’ইটালী ’সুইজারল্যান্ড’ কিংবা অস্ট্রিয়ায়। তারা যে উদ্দেশ্যে এসেছিল সেটা সফল হয়েছে । যেকারনে আমার সফর সঙ্গী বাকী দুজন দারুন খুশী। এদের বদান্যতায় আমি এই দেশ ভ্রমনের সুযোগ পেয়েছিলাম।

মস্কোতে ফিরে আবার সেই হোটেলে। হোটেল এ ক’দিনেই অনেক ফাঁকা হয়ে গেছে। নতুন কয়েকজন অবশ্য এসেছে কিন্তু তারা আগের সেই শুন্যস্থান তখনো পুরন করতে পারেনি ।
আমার পাশের রুমের একজন জানালেন যে, আমি এখানে থকে যাবার মাসখানেক পরেই নাকি আমার এক বন্ধু এখানে এসে উঠেছে। কোন রুমে থাকে জানতে চাইলে সে খুব উৎসাহের সাথে রুম দেখাল। আমি রুমের সামনে গিয়ে দেখি বাইরে থেকে তালা মারা। তাকে সে কথা বলতেই তিনি একটা রহস্যের হাসি দিয়ে বললেন উনি কখনই রুমে থাকেন না। দিনরাত পাশের রুমে বসে জুয়া খেলেন আর ইশারায় দেখালেন যে প্রচুর পান করে। আমি ভেবে পেলামনা এ আবার কে? আমার তো এমন কোর বন্ধু নেই যে, দিনরাত জুয়া খেলে আর মদ খায়।
কৌতুহল বশত ; সেই রুমে গিয়ে উকি মারতেই প্রচন্ড ধোয়াচ্ছন্ন রুমের আবছা আলোয় আমার তাকে চিনতে অসুবিধে হলনা সেই জুয়ারু আর মাতাল ছেলেটা আর কেউ নয় সে আমাদের তন্ময়!
বিস্ময়েরর ঘোর কিছুটা কাটল যখন সে মুখের সামনে থেকে এশরাশ ধোয়া সরিয়ে আমার দিকে ঢুলু ঢুলু চোখে তাকাল। প্রথমে হয়তো আমাকে চিনতে পারেনি! কিন্তু চিনতেই চোখের তারা জ্বলে উঠল। কি যেন বলতে গিয়ে থেমে গেল। পরক্ষনেই কিছুটা লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করল। ওই অবস্থায় তার পাশের ছেলেটাকে ফিসফিস করে বলল ওকে বসতে দে। আমি ওখানে তাকে আর বিব্রত না করে তখুনি চলে এসেছিলাম।
সেই হোটেলে আরো মাস দুয়েক ছিলাম। কখনই তাকে সে রুম থেকে বড় একটা বেরুতে দেখতাম না। যখনই তার কথা কাউকে জিজ্ঞেস করতাম সে বলত, জুয়ার রুমে। আমিও মাঝে মাঝে সেখানে ঢু দিতাম । দেখতাম সে এককোনে বসে তাস খেলায় ব্যাস্ত। নোংরা রুমে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মাংসের হাড় ,পাউরুটির টুকরো,আধ পোড়া সিগারেটের টুকরো। তন্ময় সহ অন্যদের হাতেধরা সিগারেট বা গাঁজার স্টিক । যদিও গাঁজা খাওযা সেখানে ছিল চরমভাবে বেআইনি।
আমি তখন ভেবে পাইনি কেন- তন্ময নিজেকে এভাবে তিলে তিলে ধ্বংস করছে?
আমি যে তন্ময়কে দেখেছি সে আর এর মধ্যে অনেক তফাৎ। হোটেলের প্রায় সবাই বলত তন্ময পাকা জুয়াড়ু– সে কখনই হারে না। কেউ কেউ হিসাব দেয়ার চেস্টা করত সে আজ পর্যন্ত কত হাজার ডলার জিতেছে! শুনে আমার চোখও ছানাবড়া হয়ে যেত যদিও প্রচন্ড কষ্ট পেতাম তার এই অধঃপতনে। এরা কেউই দুর্দান্ত প্রতিভাবান ছাত্র তন্ময়কে চেনে না এরা চেনে জুয়াড়– ও মাতাল তন্ময়কে!
শুধুমাত্র মামুন ছিল এর ব্যতিক্রম। তার সাথে যদিও পরিচয় মস্কোতে তবু আমাদের সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা অল্প ক’দিনেই অনেক গভীর হয়েছিল। আমার কাছে সে শুনেছিল তন্ময়ের ব্যাপারে। তন্ময়ের সাথেও তার কিছুটা ঘনিষ্ঠতা ছিল।
মামুন সুযোগ পেলে তাকে বোঝানোর চেস্টা করত। ওর কথা শেষে তন্ময় লাজুক হেসে বলত ’আরে ভাই বেচে থেকে হবে কি?’

...সেদিন যেন কার জন্মদিন ছিল ভুলে গেছি -আমারই হবে হয়তো! সে উপলক্ষে বেশ ক’জন ঘনিস্ট বন্ধু জড় হয়েছিল আমার রুমে। বাইরে থেকেও দুয়েকজন এসেছিল। এদের সাথে একসময় তাম্বুভের সেই হোস্টেলে থাকতাম এখন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মস্কোর বিভিন্ন প্রান্তে। অনেক অনেক দিন পরে দেখা একসাথে হতেই জমে উঠল আসর। তন্ময়কে বলেছিলাম মামুন মারফত।
রাত নয়টার দিকে সে এসে দরজা টোকা দিয়ে লজ্জা রক্তিম মুখে বলল আসতে পারি? প্রতিউত্তরে আমি কিছু বলিনি শুধু চোখের ভাষায় বলেছিলাম ‘আমার দ্বার তোমার জন্য সবসময়ই অবারিত । ভিতরে ঢুকে পুরাতন বন্ধুদের দেখে সে কিছুটা সারপ্রাইজড তবে সহজ হতে সময় লেগেছিল। ও বুঝেছিল যে সে এখন অন্য ভুবনের মানুষ ... অনেক অনেক নিচে নেমে গেছে !
ডিনার শেষে দুপাত্তর পেটে পরতেই আড্ডার আমেজে যেন তার রঙ ছড়াল। অনেক অনেক দিন বসল জমজমাট গানের আসর। শুরুতেই শর্ত রইল সবাইকে গান গাইতে হবে?
কয়েকজন সুরে বেসুরে গায়ক ঘুরে তন্ময়ের পালা আসতেই তার চোখুমুখ আবার লজ্জায় লাল হয়ে উঠল। ত্যাদড় হুজুর তার সবগুলো দাত বের করে বিমল বিগলিত বিটকেল হাসি ছুড়ে বলল ‘ কি গাওনা ক্যান?’
তার সেই হাসি দেখে ওর লজ্জা আরো বেড়ে গেল। মাথা নিচু করে পায়ের নখ দিয়ে মেঝ খুটছে। অবশেষে জাকির মাসুম মামুনের উপর্যপুরি অনুরোধে মুখ খুলল। শুরুটা হল ফিস ফিস করে , দুলাইন গাইতেই চোখ তুলে যখন দেখল মুগ্ধ চোখে সবাই চেয়ে আছে তার দিকে তখন লজ্জার পর্দা মুখ থেকে সরতে শুরু করল ।
আমি আগে কখনো ওর গান শুনিনি ,জানতাম না ও কেমন গায় । তবে কল্পনাও করিনি কখনো যে ও এতো ভাল গায় ।
আজও আমি মানষ চক্ষে দেখতে পাই ‘আরিয়েখবা হোস্টেলের প্রায়ান্ধকার সেই ছোট্ট রুমটাতে আমরা জনা বিশেক বন্ধু গোল হয়ে বসে আছি আর তন্ময় গভীর আবেগে চোখ বুজে ভাঙ্গা ভাঙ্গা কন্ঠে গেয়ে চলছে ‘ কাভি কাভি মেরা দিল মে খ্যায়াল আতা হ্যায় ’ ওফ মনে হচ্ছিল যেন সাক্ষাত ‘মুকেশ’ । তার ভিতরে এতদিনে জমিয়ে রাখা সব কষ্টগুলো যেন গানের সুরের সাথে ঝরে পরছে। সেদিনই আমি ভাল করে উপলদ্ধি করেছিলাম একান্ত নিজের দুঃখকষ্টগুলো যা কাউকে বলা যায়না সেগুলো প্রকাশ করার সবচেয়ে ভাল মাধ্যম হল কবিতা কিংবা গান...
৭ম পর্ব শেষ( আর মাত্র একখানা পর্ব বাকি আছে)
ফুটনোটঃ শুন্যের গর্ভে'র ৬ নম্বর পর্বটা আমার ভুলে ডিলিট হয়ে গেছে।যেসব ব্লগার বন্ধুরা সেখানে মন্তব্য করেছেন-তাদের ভাললাগা প্রকাশ করেছেন-তাদের সেই মন্তব্যগুলোও মুছে যাবার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
১৪টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৫


,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×