বাংলাদেশের ভৌতিক ইতিহাস স্বমহিমায় উজ্জ্বল। ক্ষেত্রবিশেষে পশ্চিমা বিশ্বের সাথে অত্যন্ত সাংঘর্ষিক। ভ্যাম্পায়ার কিংবা এনটিটি, স্পিরিট যাই বলা হয় বাংলা ভাষায় এসে জুজু কিংবা লাশখেকো হয়ে যায়।
বাংলাদেশের সুবিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে প্রচলিত রয়েছে বিভিন্ন ভৌতিক লোকগাঁথা। আজ সেগুলোই বর্ণনা করছি-
জুজু:: সিলেট ও ভারতীয় বর্ডারের মধ্যবর্তী অঞ্চলটিতে রয়েছে এই অদ্ভুত অদৃশ্য প্রানীটি। শোনা যায়, চা বাগানের আশে পাশে কেউ রাতে একলা পথ চলতে পারে না। পরদিন নাকি লাশও খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে জুজু সবচেয়ে বেশি টার্গেট করে যাদের তারা হলো বাচ্চা। সাধারণতঃ ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাসে প্রচুর বাচ্চা খোয়া যায় চা বাগানের মহিলা কর্মীদের। সরল ভাষায় তারা এটাকে বলে "জুজুয় নিয়ে গেছে"।
গুড্রো বোংগা: দুই ফিট উচ্চতার এই অদ্ভুত বাচ্চাসম জিনিষটা আসলে এক ধরণের অপদেবতা। সাঁওতালরা এদের পূজা করে থাকে। পরের বাড়ির ধন সম্পদ এনে নিজের বাড়ি সমৃদ্ধ করতে এদের ব্যবহার করা হয়। তবে বিনিময়ে এরা মালিকের বাচ্চা খেয়ে ফেলতে চায়। বাচ্চা দেখলেই বলে "শসা খাবো শসা দে"। এর মানে ওরা বাচ্চাকে শসা মনে করে।
লাল পেড়ে শাড়ীর নতুন বৌ: ধারণা করা হয়ে থাকে এরা জোছনা রাতে ঝলমলে গয়না পরে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ঘুরে বেড়ায়। কখনো গাছের মগডালে, কখনো বা খড়ের তূপের ওপর বসে থাকে। যারা কৌতুহল বশতঃ সামনে যায় এই নতুন বৌ এর চোখ ছাড়া কোটর দেখতে পেয়ে ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
লাশখেকো: বেশীরভাগ লাশবাহী মাইক্রোবাস এই প্রজাতির দ্বারা আক্রান্ত হয়। এরা গাড়ীর ওপর ভর করে এবং একসময় গাড়ীর ড্রাইভার যখন বিভ্রান্ত হয়ে গাড়ীর ইঞ্জিন পরীক্ষা করতে যায়, এরা লাশ খেয়ে ফেলে। অনেক হেল্পার এর ভাষ্য মতে এদের একটা চোখ থাকে এবং সেটা কপালের উপর।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৫