somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গণতান্ত্রিক সেনাহত্যা!

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যুদ্ধ চলাকালীন সময় কোন একটি দেশের সেনাবাহিনী অন্য দেশের সেনাবাহিনীর সদস্যদেরকে হত্যা করাটা সামরিক নীতির অন্তর্ভুক্ত। দেশের জন্য সেনাবাহিনী স্বাধীনতা ও সীমান্ত রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও আজকাল দেখা যায়, হীন রাজনৈতিক সার্থে কিংবা হিংস্র ব্যক্তি প্রতিহিংসার কারণে অনেক সময় নিজ দেশের সেনাবাহিনীকে বলির পাঁঠা করা হয়। দেশের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত এহেন সেনাবাহিনীকে হত্যা করার সময় তা কতটুকু বেদনাদায়ক হবে ওটা নির্ভর করে হত্যার আদেশদাতার মানসিকতা এবং তার উদ্দেশ্যের উপর।

পাকিস্তানে লাদেন হত্যার নাটকের সাথে জড়িত আমেরিকান সিলটিম-৬ এর সদস্যরা ওই সাজানো নাটকের ঘটনা প্রকাশ করে দিতে পারে বলে, এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা ঘটিয়ে সকলকে এক সাথে হত্যা করা হয়। ঘটনা পরবর্তী তদন্তে তেমন কোন অন্যায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। কারণ, তদন্তের আদেশদাতারাই তো ওই হত্যাকাণ্ডের আদেশদাতা। তবে এ ক্ষেত্রে ভালো দিকটা হচ্ছে অফিসার ও সৈনিকের ওই দলটি অকস্মাৎ মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিল তেমন কষ্ট হয়নি তাদের। দেশের জন্য জীবনবাজী রেখে কঠিনতম প্রশিক্ষণ নিয়েছিল ওই মানুষগুলো। অথচ দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব কোন অপরাধ ছাড়াই ওই নির্মম হত্যার সাজানো নাটকের নির্দেশ দেয়, কি নিষ্ঠুর এই পৃথিবী আর কত অসহায় এই সৈনিক জীবন।

কি হয়েছিল আমাদের ৫৭ জন সেনাকর্মকর্তার ভাগ্যে? তাদের মৃত্যু ছিল আরো অনেক বেশি অমানবিক ও মর্মান্তিক। দীর্ঘ তিনদিন ধরে ঠাণ্ডা মাথায় তাদেরকে হত্যা করা হয় বিস্তীর্ণ এক সাজানো নাটকের মাধ্যমে। নর্দমার পচা পানিতে শুধু নাক ভাসিয়ে ২ দিন বেঁচে থেকে অনেকে নিকটাত্মীয়দেরকে এসএমএস করে আকুল আবেদন করেছিল ওদের জীবন রক্ষা করার জন্য সাহায্য পাঠাতে। সরকারি দলের নেতাদেরকে ওদের আকুতি জানালে, পিলখানার ভেতরে আদেশ যায়, “এখনও কিভাবে এসএমএস করে? কতদিন প্রয়োজন ওদেরকে শেষ করে ফেলতে?” কি মর্মান্তিক ও দুঃখজনক। এ সময় পাঠকদের অনুরোধ করবো লেখাটি পাঠ শেষে হায়দার হোসেনের বক্তব্যটি শুনতে।

তারপর প্রতিবাদী সেনাকর্মকর্তাদের চিহ্নিত করতে সেনাকুঞ্জে সকল সেনা অফিসারদেরকে জড়ো করা হয়। যারা ভাই হারা বেদনায় কাতর হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তাদের দুঃখের কথা জানায়, ওদেরকে চিহ্নিত করে দলবেধে বের করে দেয়া হয় সেনাবাহিনী থেকে। এদিকে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের একজন সক্রিয় পরিকল্পনাকারী তাপসের গাড়িতে বোমা ফাটানোর বাহানা করে বের করে দেয়া হয় আরো এক দল সেনাকর্মকর্তাদের। সবশেষে আসে সেনা অভ্যুত্থানের বাহানা, ওই গোয়েন্দা স্টিংক অপারেশনের মাধ্যমেও বের করে দেয়া হয় আরো বড় এক দল সেনাকর্মকর্তাদেরকে। এ যেন দেশের মেরুদ- গুঁড়িয়ে দেয়ার এক ধারাবাহিক কর্মকাণ্ড।

আমরা যদি ৪২ বছর পূর্বের হত্যাকাণ্ডের বিচার আজ করতে পারি, আমরা কি পারি না, যারা দেশের সূর্যসন্তানদেরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে তাদেরকে ফাঁসি দিতে? কাদের মোল্লার বিচার সমাপ্ত হওয়ার পরও যদি “ফাঁসি চাই” “ফাঁসি চাই” আন্দোলনের কারণে তার ফাঁসি হতে পারে তাহলে আসুন আমরা সবাই দীপ্তকণ্ঠে দাবি করি।
নিরপরাধ সেনাকর্মকর্তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার জন্য-
ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই, হাসিনার ফাঁসি চাই ॥
নানকের ফাঁসি চাই, তাপসের ফাঁসি চাই ॥
নাস্তিকদের ফাঁসি চাই, ইসলাম বিদ্বেষীদের ফাঁসি চাই ॥
ভারতীয় রাজাকারদের ফাঁসি চাই।
ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই, হাসিনার ফাঁসি চাই ॥

মহান আল্লাহ পাক নিশ্চয়ই আপামর জনতার করুণ এই আর্তনাদ শুনতে পাচ্ছেন এবং নিশ্চয়ই তিনি তা কবুল করবেন। (আমীন)
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×