আর মাত্র ৪ রান করলেই প্রথম ওয়ানডে শতকের আনন্দে মেতে উঠতেন তিনি। একটুর জন্য তা হয়নি। তবে শামসুর রহমানের সেই দুঃখ ভুলিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের আরেকটি দুর্দান্ত সাফল্য।
Published : 03 Nov 2013, 08:05 PM
রোববার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো নব্বইয়ে পৌঁছে গেলেও নার্ভাস হইনি। শুধু দলের কথা ভেবেছি। শতকটা হয়তো পেয়েও যেতাম। দুর্ভাগ্য বলটা ঠিকমতো ব্যাটে লাগেনি। লাগলে শতক হয়ে যেতে পারতো।”
জীবনের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই ৩০৮ রানের কঠিন লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামতে হলেও শামসুর ঘাবড়ে যাননি। তিনি বলেন, “বড় রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আমি আর জিয়া খুব ইতিবাচক ছিলাম। আমাদের স্বভাবজাত ব্যাট করার পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। জানতাম, প্রথম পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে পারলে আমরা ভালো অবস্থায় থাকবো।”
“আমরা বল অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি। ৩০৮ এখন বাংলাদেশের জন্য কোনো বড় লক্ষ্য নয়। তাছাড়া উইকেটও ব্যাটিং সহায়ক ছিল। আমাদের বিশ্বাস ছিল, বড় জুটি গড়তে পারলে আর নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যাট করতে পারলে আমরা জিততে পারবো।”
৩১ অক্টোবর অভিষেক ম্যাচে ২৫ রান করলেও তেমন স্বচ্ছন্দ ছিলেন না শামসুর। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই তাকে রুদ্ররূপ ধারণ করতে দেখা গেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি ভাগ্যবান যে দ্বিতীয় ম্যাচেই রান পেয়েছি। এটা ধরে রাখতে পারলে আমার এবং দলের জন্যও সুখবর।”
২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেয়েছিলেন শামসুর। কিন্তু পাদপ্রদীপের আলোয় আসতে চার বছর লেগে গেল। বেশ দেরিতে সাফল্য পাওয়া এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জাতীয় দলে স্থায়ী হতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।