নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আগের দুটি টি-টোয়েন্টিতে হারলেও এবার জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
Published : 04 Nov 2013, 11:51 AM
মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেন, “অবশ্যই জয়ের লক্ষ্য আমাদের। আশা করছি সিরিজের শেষটা যেন ভালো হয়। এ মুহূর্তে আমরা আত্মবিশ্বাসী এবং টি-টোয়েন্টির জন্য দলের সবাই প্রস্তুত। আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি নেয়ারও ভালো সুযোগ এটি। আমরা এটা কাজে লাগাতে চাই।”
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অন্যতম শক্তিশালী দল নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে কখনো খেলেনি বাংলাদেশ। ২০১০ সালে হ্যামিল্টনে সফরের একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ৭৮ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারের লজ্জায় ডুবিয়েছিল স্বাগতিকরা।
আর গত বছর শ্রীলঙ্কায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের শতকে ১৯১ রান করা নিউ জিল্যান্ড জিতেছিল ৫৯ রানে।
অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও জানেন, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা সাত ওয়ানডে জিতলেও টি-টোয়েন্টিতে অতিথিদের হারানো বেশ কঠিন হবে। তবে চ্যালেঞ্জ নেয়ার জন্য তার দল সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে তিনি জানান।
“এবার সবাই ভালো করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। এই ধরনের ক্রিকেটে সাফল্য পাওয়ার জন্য যা দরকার দলের সবাই সেরকম ছন্দে আছে।”
ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতলেও নিউ জিল্যান্ডকে সমীহই করছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অতিথিদের আরো শক্তিশালী হিসেবেই বিবেচনা করছেন জানিয়ে বলেন, “ওয়ানডেতেও কিন্তু ওরা খারাপ দল ছিল না। হয়ত ওদের অনেক খেলোয়াড় ছিল না। তবে আমাদের দলেও অনেকে ছিল না। আমাদের তুলনায় টি-টোয়েন্টিতে ওরা অনেক বেশি অভিজ্ঞ।”
টি-টোয়েন্টিতে লড়াই করার মতো পুঁজি কত হতে পারে জানতে মুশফিক বলেন, “এই মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২ বল বাকি থাকতে জিতেছিলাম। আবার ওরা ১৮০ রান করেও হেরে যাচ্ছিল। তবে আমারে কাছে মনে হয় ১৫০/১৬০ লড়াই করার মতো সংগ্রহ।”
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টি-টোয়েন্টিটি চলতি বছর বাংলাদেশের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এক বছরে তাই মাত্র ৬টি টেস্ট, ৯টি ওয়ানডে আর চারটি টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পেল মুশফিক বাহিনী। অন্যান্য টেস্ট খেলুড়ে দেশের তুলনায় কম ম্যাচ খেলায় তাই হতাশ অধিনায়ক।
“তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ এখনো পর্যন্ত খেলিনি। টেস্ট যত বেশি খেলতে পারবো অন্য ধরনের ক্রিকেটেও তত ভালো করতে পারবো। ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও আমরা বেশি খেলি না। আর টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিক নই বলে এ ধরনের ক্রিকেট আরো বেশি খেলা উচিৎ।”