মরে যাওয়া দুই হাতের জন্মস্হানে হলুদ পাখির মতোন
রঙ করা পাখনা হঠাৎ হওয়ার নয় তবু কাঁধ গড়ায়ে হয়ে উঠল।
উঠতি গাছে বিরাট পাতা আর পাতা যেমন...
মরে যাওয়া মানুষটার পুব আর পশ্চিমের পাখনা বাতাসে দুলেএএএ
উঠে দোল খায়।
(আগের দুই মরণকালে বেশরম হেসে ওঠায়, তার শিথান-পৈথান
ঘুরে ঘন গোমরামুখের মরণ-দেব বহুদূর পিছায়ে গেছে।)
তরুণ পাখনায় ভর করে নিষ্প্রাণ দেহ বের হল সকল দুনিয়া
ভ্রমণে... মৃতদেহে রোদ বড় মিঠা, পাখনায় বাতাসের দারুণ
উথাল-পাথাল...এক একটা নদীর মোহনায়, এক একজন পাহাড়ের
কাছে... মেঘ-বর্ষণের কোন কোন আকাশের তলায়...সন্ধ্যা নামে...
...মাঝ রাত-
বেশি রাত-ভোরের আভাস- সূর্যের লাল - গমের ডগায়
সোজাসুজি রোদ-হেলানো আলো- আলোর অভা্ব-আগরাত-ঘন রাত-
মাঝ রাত...
ভর দু-পু-উ-রের এতো এতো হাজার সূর্য পার করে পাখনায় উড্ডীন
মরদেহ এক পাহাড় এড়ায়ে নেমে এল...
ধান উড়ানো বাতাসে ঘুরে ঘুরে সমস্ত চোখ তখন ঘুমায়েএএএ আছে ঘন;
একটা পথ, বন থেকে খানিক বের হয়ে এসে, গলে পচে যাওযা পাখনা দেখে
ফের মিলায়ে গেল...
ছবি: জে আর কম্পটন, 'বার্ড উইঙ'
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৫৫