somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাম্রাজ্যবাদীদের যুদ্ধহীন দেশ দখলের কৌশল -২

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাম্রাজ্যবাদীরা বিশ্বসাম্রাজ্যকে বিস্তৃত করার লক্ষ্যে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও সরকার- দেশে এদের সমন্বয়ে একটি রাজনৈতিক এবং আর্থিক শক্তি প্রয়োগ করে। সম্মিলিতভাবে একে বলে কর্পোরেটোক্রেসি। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সংবাদ মাধ্যম ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাধ্য করা হয় এই ত্রুটিপূর্ণ ধারণা এবং নিয়মকে অনুসরণ করতে। এই সম্মিলিত শক্তি আমাদেরকে এমন এক পর্যায়ে উপনীত করেছে, যেখানে আমাদের বৈশ্বিক সংস্কৃতি এক সর্বভুক দানবে পরিণত হয়েছে।

মাফিয়ার সদস্যদের মতো অর্থনৈতিক ঘাতকরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বিলায়। এগুলো মূলত ভৌত অবকাঠামো, যেমন- বিদ্যুৎকেন্দ্র (রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র), হাইওয়ে (৪ লেন বিশিষ্ট হাইওয়ে), সমুদ্রবন্দর (বঙ্গোপসাগরের নিকটে), সেতু (পদ্মা), রেলাইন (ভারত পর্যন্ত), বিমানবন্দর (প্রস্তাবিত নতুন বিমানবন্দর) ও শিল্প স্থাপনা নির্মাণের জন্য ঋণ প্রদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। এসব ঋণের মূল শর্ত হচ্ছে এই যে, এসব ভৌত অবকাঠামো নির্মাণের কাজ যেকোনো সাম্রাজ্যবাদীদের কোম্পানিকে অবশ্যই দিতে হবে। এখন অবশ্য চেহারা কিছুটা পাল্টেছে।

যেমন কখনো পার্শ্ববর্তী মিত্রদের দেশের কোম্পানির মাধ্যমে প্রবেশ করে সাম্রাজ্যবাদীরা।এসব কাজ পাইয়ে দিতে যখন অর্থনৈতিক ঘাতক পুরোপুরিভাবে সফল হয় তখন ঋণের অঙ্ক বিশালাকার ধারণ করে। তখন কয়েক বছরের মধ্যেই ঋণগ্রহীতা দেশটি ঋণখেলাপিতে পরিণত হতে বাধ্য হয়। যখন এই ঘটনা ঘটে তখন মাফিয়ার মতো ঋণখেলাপী দেশটির টুটি চেপে ধরা হয়। তখন জাতিসংঘের প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দান, ঋণখেলাপী দেশে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন, বাণিজ্যিক সংস্থাগুলোর হাতে ঋণ খেলাপী দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ তুলে দেয়া অথবা ঋণ খেলাপী দেশের উপর দিয়ে অবাধে যাতায়াতের অধিকার অর্জন করা হয়। তারপরেও ঋণখেলাপী দেশটি ঋণীই থাকে।

আমাদের দেশে বর্তমান মহাজোট সরকার বেসরকারি খাতে শিল্পায়নের জন্য যত না ঋণ দিয়েছে তার চেয়ে অধিক ঋণ নিয়েছে বিভিন্ন স¦প্ন বাস্তবায়ন কর্মসূচির জন্য। এর জন্য আগামীতে অপেক্ষা করছে নতুন বিপদ সঙ্কেত।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×