পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের পেছনের মূল হোতাদের বিষয়ে ভবিষ্যতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
Published : 05 Nov 2013, 04:59 PM
মঙ্গলবার পিলখানা হত্যা মামলার রায়ের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “২০০৯ সালের ওই ঘটনার পেছনে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ইন্ধন জুগিয়েছে। ওই ঘটনা ঘটানোর জন্য ৪০ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাকা চৌধুরী এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে বিডিআরের সাবেক মহাপরিচালক ফজুলুর রহমান ও অন্যান্য সহযোগী কর্মকর্তাদের মধ্যে ৪০ কোটি টাকা ‘বণ্টন’ করেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
কামরুলের ভাষায়, ৫ কোটি টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা ‘বিভিন্ন পর্যায়ে’ দেয়া হয়েছে সে সময়।
“২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য এ ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তবে সেদিন সফল না হওয়ায় পরের দিন এ ঘটনা ঘটানো হয়।”
এসব তথ্যের উৎস জানতে চাইলে আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিএনএন টেলিভিশন তাদের ওয়েবসাইটে এ সংবাদ প্রকাশ করেছে। গত ৩ নভেম্বর বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্রিকায়ও তা প্রকাশ করা হয়েছে।
এ সংবাদের সূত্র ধরেই তদন্ত করে ঘটনার মূল হোতাদের চিহ্নিত করা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “সরকার উৎখাতে আইএসআই, বিএনপি ও জামায়াতের এটি প্রথম ষড়যন্ত্র ছিল, এ ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত আছে।”
এ সরকারের আমলেই সেই ‘মূল হোতাদের’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা- সে প্রশ্নেও নিরুত্তর থাকেন তিনি।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে রক্তাক্ত বিদ্রোহের সেই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে হত্যা করা হয়।
ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আখতারুজ্জামান মঙ্গলবার বহু আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে এ মামলার জীবিত ৮৪৬ আসামির মধ্যে ১৫২ জনের ফাঁসির আদেশ দেন বিচারক। যাবজ্জীবন দেয়া হয় ১৬১ জনকে।
রক্তাক্ত ওই বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুনর্গঠন করা হয়। নাম বদলের পর এ বাহিনী এখন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) হিসেবে পরিচিত।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এ ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িতদের বিচার সফলতার সাথে শেষ হয়েছে।”