বিরোধীদলের ডাকা হরতালের আগুনে দগ্ধ স্কুল ছাত্র মনির হোসেনকে (১৪) বাঁচাতে পারলেন না চিকিৎসকরা।
Published : 07 Nov 2013, 07:56 AM
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মনির বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে মারা যায় বলে মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোজাম্মেল হক জানান।
বিরোধী দলের ৬০ ঘণ্টার হরতালের প্রথমদিন সোমবার গাজীপুর চৌরাস্তায় একটি কভার্ড ভ্যানে দেয়া আগুন মারাত্মকভঅবে দগ্ধ হয় এই কিশোর। ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসার পর চিকিৎসকরা জানান, মনিরের দেহের ৯৫ শতাংশই পুড়ে গেছে।
মনিরদের বাড়ি গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার বড়কাঞ্চনপুর গ্রামে। সেখানেই মা আর ছোটভাইয়ের সঙ্গে থাকত মনির। বাবা কভার্ড ভ্যানচালক রমজান আলী পেশাগত কারণে থাকতেন গাজীপুর শহরে। তার কাছেই বেড়াতে এসেছিল ছেলে।
দৌঁড়ে গাড়ির কাছে ফিরে দগ্ধ মনিরকে বের করেন বাবা। পুলিশের সহায়তায় অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
কিন্তু দুই দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ের পর হার মানতে হলো মনিরকে।
দুই ভাইয়ের মধ্যে মনির ছিল বড়। সে বড় কাঞ্চনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তো।
হরতালের আগের দিন সাভারে একটি অটোরিকশায় আগুন দেয়া হলে চালকসহ তিনজন আহত হন। তাদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল নামে এক যাত্রীর মৃত্যু হয় পরদিন।
আসামি জেলা জামায়াতের আমির
জয়দেবপুর থানার ওসি এমএম কামরুজ্জামান জানান, সোমবার হরতালের মধ্যে কভার্ড ভ্যানে আগুন এবং স্কুলছাত্র মনির দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় জয়দেবপুর থানার এসআই মো. হাফিজুর রহমান একটি মামলা করেছেন।
গাজীপুর জেলা জামায়াতের আমির আবুল হাসেম খান, সাধারণ সম্পাদক এসএম সানাউল্লাহ, সহ-সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন, সাংগঠনিক ও প্রচার সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর শহর জামায়াতের আমির খায়রুল হাসান, বিএনপি নেতা সাবেক কাউলতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তানবির আহমেদসহ ৫৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরো ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে এ মামলায়।
অবশ্য পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি বলে ওসি জানান।