প্রথমআলোতে নুহাশ আহমেদ এর লেখা
প্রথম আলোতে নুহাশ আহমেদ এর লেখাটা পড়লাম। বেশ ভালো লাগলো, অকপটে সবকিছু তুলে ধরেছে। এক নিঃশ্বাসে পড়ে গেলাম পুড়ো লেখাটা। তারপর পড়লাম তার লেখা পড়ে কে কি কমেন্ট করলো তা। বেশীরভাগ মানুষ বলছে 'হূমায়ন আহমেদ এর লেখা যেন পড়ছে তারা', আবার কেউ কেউ বলছে 'তুমি তোমার বাবার নাম রাখতে পারবে'। হেন তেন এই টাইপের কথা বার্তা...
ইতিহাস বলে সফলদের সন্তানরা সফল হয় না। কেন হয় না তার একটা নিজেস্ব ব্যাখ্যা বের করলাম আজ।
সফলদের সন্তান সফল হয় না, কারণঃ
১ মানুষ সফলদের প্রতিচ্ছবিই তাদের সন্তানদের মাঝে দেখতে চায়। তার নিজেস্ব পছন্দ অপছন্দের ক্ষেত্র বিবেচনা করে না। এতে ভিতরের প্রতিভা প্রকাশিত হয় না।
২ সফলদের সন্তান পাদ মারলেও প্রশংসা শুরু করে দেয়। এতে নিজের ভুলগুলোকে ধরতে পারে না তারা। তাই ভুলগুলো শুধরানোর উপায়ও থাকে না তাদের।
৩ যারা সফল হয় তারা ঠুকে ঠুকে আর ধাক্কা খেতে খেতে বড় হয়। ১১ বছর বয়সে অবশ্যই হূমায়ন আহমেদ তোতোটা সুযোগ সুবিধা পায়নি যা কিনা নুহাশ পেয়েছে।
৪ শুরু থেকেই মসৃণ পথ পাবার কারণে জীবণকে উপলব্ধি করতে পারে না একেবারে ভিতর রূট লেভেল থেকে। যার কারণে। স্মৃতিতে হাতরিয়ে কিছু যে লিখবে তা আর হয়ে উঠে না। একজন নিশ্চয়ই এক সাথে মুভি দেখিনি, ডিভিডি কিনে নি, এগুলো নিয়ে পাতার পর পাতা লিখবে না। তাই তার চিন্তার ক্ষেত্র সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে।
৫ ভালোবাসা পাবার অভাব একজনকে সফল করে তোলার জন্য নিয়ামক উপাদান। সফলদের সন্তান এতো বেশী ভালোবাসা পায় যে, তার আর নতুন করে ভালোবাসা তৈরি করার মতো কাজ করার প্রয়োজন বা ইচ্ছা থাকে না।
আর এসব কারণগুলোই সফলদের সন্তানদের সফল হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। আর এর পিছনে সমাজ অনেকাংশে দায়ী। আমরা যদি কার ছেলে, কার মেয়ে বিবেচনা না করে নিজের মতো করে বড় হতে দিতাম তাহলে সবথেকে ভালো হতো। কিন্তু তা কখনোই সম্ভব না।
যাইহোক আমি আমার গোবর মস্তিস্ক দিয়ে এসব লিখলাম। তাই সিরিয়াসলি না নিলেই ভালো হবে।