somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার সংগীতপ্রেম/ ফাঁপরবাজি ~২য় খন্ড

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যেটা কইতেসিলাম, ৮ম শ্রেনীর মেরিট ফাংশন-এ প্রথম "আমি তো মরে যাবো" গাইলাম। It was funny though. কিন্তু ক্যাম্নে জানি ভাইরা এইটা নিয়া খুব মজা পাইলো। অনুষ্ঠানটার কাহিনীটাও ছিলো বেশ মজার। তখন Inter Cadet College Music & Literature Meet এ অংশগ্রহনের জন্যে কলেজ টীম সব instrument নিয়ে চলে গেসে এক মাসের জন্যে অন্য কলেজে। এদিকে আমাদের ব্যাচের প্রথমবারের মত সম্পূর্ণ নিজেদের তত্ত্বাবধানে কালচারাল প্রোগ্রাম করার নোটিস এসেছে । আর্মি রুল, যা বলা হইসে করতে হবে। ক্যামনে করবা সেটা তোমাদের headech । ...
"দরকার হলে পয়দা কর !"
কি আর করা ? সবাই গেলাম অডিটোরিয়ামে। অন্যান্য ইভেন্ট রেডি করা যাবে। কিন্তু আমাদের যারা গান পার্টি (দুয়েকজন ছাড়া বাকীরা আমরা কেউ কখনো আগে "গা" ও বলিনাই জীবনে) তারা GreenRoom-e গিয়ে পড়সি পুরা ফাঁপরে। দেখি,
পুরাতন (১৯৮০-র পর ব্যবহৃত হয়নাই) একটা তিন অক্টেভের ব্যাটারীচালিত কীবোর্ড এবং তাকের ঊপর তুলে রাখা সেই একই সময়ের ভাঙ্গা ড্রাম সেট ছাড়া আমাদের শ্রদ্ধেয় অগ্রজরা কিছুই রেখে যাননি। X(
ভাবতেসি জীবনের প্রথম কালচারাল ফাংশন গান ছাড়াই করতে হবে আমাদের... এমন সময় সম্ভবত মুনতাসীর( ও ছাড়া আর কারো এমন জোশ থাকার কথা না...অনেক আগের কাহিনী, তাই guess করেই লিখছি।) বলল,
"যা আছে তাই দিয়ে করে ছাড়বো।"
কোত্থেকে যেন একগাদা সাহস এলো। মাথায় বুদ্ধিরাও খেলতে শুরু করলো। মনে হল, "আরেহ! ব্যাটারী কিনে আনলেই তো হয়। ক্যাডেট কলেজের তো বাজেটের অভাব নাই।" ---ব্যাস! দেখতে দেখতে দিন শেষে সন্ধ্যায় ব্যাচের বাকীরা দেখলো ক্ষুদে ম্যাকগাইভাররা কিভাবে যেনো দড়ি দিয়ে বাইন্ধা ড্রাম সেট খাড়া করায় ফেলসে ব্যাটারী দিয়ে কীবোর্ড চালায়ে প্র্যাকটিসও শুরু করসে।
"আমি তো মরে যাবো" --- মেহেদীর এই তৎকালীন জনপ্রিয় গানটাই ছিলো আমার করা জীবনের প্রথম গান। গ্রুপ মিউজিকের প্রতি তখনি একটা ভালোলাগা জন্মেছিলো।

... কে জানতো এই ভালোলাগাই জীবনটা বরবাদ করে দেবে?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০০
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×