ডায়েটিং এর মদ্ধে আছি। অন্য কিছু খাওয়া নিষেধ। খিদায় তো পেটের ভিতরে চিকা কয় হাজারটা বুকডন মারসে অইটা আর নাই বা কইলাম। রান্নাঘরে গিয়া ছুকছুক করতে লাগলাম ফ্যাট ছাড়া কি আসে খাওয়ার। চক্ষে কয়েকটা টম্যাটো ছাড়া ফ্যাটহীন আর কিছু পড়লো না। ভাবলাম খাটি আদি মাইনসের মতো কাঁচা টম্যাটো কচকচ কইরা চাবাইয়া খাওয়া শুরু করমু নাকি। পরে ভাবলাম নাহ থাক,ভদ্র মাইনসের মতো কিছু বানাইয়া খাই। মাথায় আইলো সুপ এর কথা। পেট ভর্তি পাগলা খিদা নিয়া সূপ বানান শুরু করলাম। কি আর করন যাইব। আসেন আর বেশি পকপক না কইরা মহান রেসিপি খানা দিয়া আমনেগো উদ্ধার করি।
রন্ধনের উপকরনসমূহঃ
১।আন্দাজমত টম্যাটো কয়েকটা
২।পেয়াজকুচি
৩।কাচামরিচ ফালি করে কাঁটা
৪। গোটা গরম মসলা
৫। সামান্য চিনি
৬। পরিমান মত লবন
৭। টেস্টিং সল্ট
৮। এক্তুশখানি তেল
৯। ২টা তেজপাতা
১০। সামান্য ময়দা
১১। একটু কর্ণফ্লাওয়ার (না দিলেও চলবে)
১২। গোলমরিচের গুড়া
১৩। ১ টা পাতিলেবুর রস
রন্ধন প্রণালীঃ
টম্যাটো বড় টুকরো করে কেটে একটা সসপ্যান এ পানি দিয়ে সিদ্ধ করতে থাকেন।
প্রায় সিদ্ধ হয়ে আসলে পেয়াজ,কাচামরিচ,গরমমসলা,চিনি,লবণ,টেস্টিংসল্ট দিয়ে একটু পরে দেন মনের সুখে ঘুঁটা। ঘুঁটা রে ঘুঁটা।। ঘুঁটতে ঘুটতে আপনার কাছে যখন মনে হবে টম্যাটোর হাড় মাংস আই মিন চামড়া আর মাংস আলগা হয়ে জিনিসটা পানিতে মিশছে,তখনই হারামজাদা মিশ্রণটার গায়ে একটু তেল ঢেলে দিবেন।
দেন ওইটা চুলা থেকে নামাইয়া কোন চিকন জালওয়ালা ছাকনিতে অথবা পরিষ্কার কাপড়েও ছাঁকতে পারেন।
আবার চুলায় অন্য একটা সসপ্যান চাপাইয়া উহার মধ্যে এক্তুশখানি তৈল দিয়া তেজপাতা দিয়ে দেন।সাথে সাথেই ছেকে রাখা মিশ্রণটা দিয়ে দিবেন। ফুটলে সামান্য ঠাণ্ডা পানিতে একটু ময়দা আর কর্ণফ্লাওয়ার গুলিয়ে চুলার উপরের সূপটার মধ্যে ঢালতে থাকবেন।দেন আরেকটু ফুটতে দেন।এবার একটু আমারে আই মিন একটু গোলমরিচের গুড়া ছিটাইয়া দেন। লেবুর রস আগেই চিপে বের করে রাখবেন। এবার সেটা ঢেলে দেন। এবার নামাইয়া ফেলেন।
সে কি??!!!!!! নামাইয়া কি করবেন সেইটাও কি বলে দিতে হবে নাকি??!!!!!!
জানি ঐটা কাউরে কইয়া দেয়ন লাগে না। আমারে একটা থ্যাংকু না দিয়াই রাক্ষসের মত কেমনে গিলতেসেন ঐটা এখুনি মনের চোখ দিয়া দেখতাসি
খিদার চোটে ফটুক তুলার টাইম পাই নাই।গুগল কাগুই ভরসা।