somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুসলিম ছেলে মেয়েদের ‍‍"গায়ে হলুদ" বা "হলুদ বরণ"

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
দয়াকরে পুরোটা পড়ুন এবং মুসলিমদের মাঝে শেয়ার করুন।


আজকে এমন একটি পাপের কথা নিয়ে আলোচনা করবো,

যা আমাদের সমাজের এমন কোন যুবক-যুবতী নেই যারা এই

কাজটি তাঁদের অবিভাবকদের ছত্রছায়ায় করেন নি !

আর তা হলো, ছেলে হয়ে মেয়ের শরীরে হাত দেওয়ার পাপ

আর মেয়ে হয়ে ছেলেদের গায়ে হাত দেওয়া পাপ ! আরেকটু খুলে বলি, আমাদের সমাজে বিয়ের মতো একটি পবিত্র আয়োজনকে অ-পবিত্র করতে যা যা লাগে তা সবই করা হয়ে থাকে"হলুদ বরন" বা "গায়ে হলুদের" নামক অনুষ্ঠানে !

আমরা বর্তমানে আমাদের সমাজে প্রচলিত গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে কি দেখতে পাই ! একটি মেয়ে (পাত্রী) কে,

মঞ্চের মধ্যে সাজিয়ে রেখে প্রদর্শন করা হচ্ছে, আর মেয়ে পক্ষের এবং ছেলে (পাত্র) পক্ষের তথা উভয় পক্ষের দর্শনার্থীগণ পাইকারি হারে একজন গাইরে মাহরাম মেয়ের গায়ে হাত ছোঁয়াচ্ছে !

তাও হচ্ছে আবার নিজ নিজ অভিভাবকদের উপস্থিতিতে ! ইন্নালিল্লাহ !!!

এর চেয়ে আর বিপর্যয় মূলক কর্মকাণ্ড কি হতে পারে একটি মুসলিম সমাজে !

যেখানে নারী-পুরুষ যাতে একত্রিত না হতে পারে, তাই রাসুল (সাঃ) যে সকল মহিলা সাহাবীগনেরা মসজিদে সালাত আদায়

করতে আসতেন, তাঁদের কে নামাজ শেষে মসজিদ থেকে পুরুষদের পরে বের হতে বলতেন !

যাতে বের হতে গিয়ে নারী- পুরুষ একাকার না হয়ে যায় ! অথচ, নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হলে একজন এইযুগের মুসলিমের ও অন্তরের অবস্থা কেমন থাকে আমরা সকলে জানি ! তারপরও রাসুল (সাঃ) একত্রিত হওয়ার কোন অবকাশ রাখেন নি !

আর, আজ আপনি চিন্তা করুন, আমাদের সমাজে আজকে গায়ে হলুদের নামে যা হচ্ছে, তা কি শরিয়া সম্মত ! তাও আবার দেখা যায় তাঁদের মাঝে হয়তো অনেক হাজি-গাজি নামাজী লোকেরাও আছে !

এবং অনেকেই তাঁদের ছেলে মেয়ের বিয়ের বিয়ের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন বা ইন্ধন যুগিয়ে থাকেন !

আরও যেটি আপত্তিকর বিষয় ঘটে সেইসব অনুষ্ঠানে জোরছে, হিন্দি-বাংলা গান বাজনা বাজিয়ে নিজের ঈমান আমলের ১২টা বাজিয়ে প্রতিবেশির ১৪ টা বাজানোর দিকে অগ্রসর

হয়ে থাকে !

আর তাঁদের মাঝে আবার কারো কারো অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হয়ে থাকলে শুনা যায় সেই সব অনুষ্ঠানে "রঙ্গিন পানির'' ব্যবস্থা ও নাকি করা হয়ে থাকে ! এককথায় সমস্ত ধরনের পাপ কাজের-ই সরঞ্জামের আঞ্জাম দেওয়া হয়ে থাকে !

আর এইসকল কর্মকাণ্ড চোখের সামনে হতে দেখে সবচাইতে পীড়াদায়ক ঈমানী কষ্ট অনুভব করেন যারা, তাঁরা হলেন, ইসলাম কে জেনে বুঝে পরিপূর্ণ ভাবে পালনকারী দ্বীনি ভাই ও বোনেরা !

অনেক সময় হয়তো তাঁদের নিজ ফ্যামিলিতেই ঘটে থাকে এহেন কর্মকাণ্ড !

কিন্তু বড়দের কারনে নিজের কিছু হয়তো করার থাকে না, শুধু মাত্র সেই অনুষ্ঠান থেকে নিজেকে বিরত রেখে অন্তর থেকে ঘৃনা করার মাধ্যমে !

আসলে আমাদের সমাজের মানুষেরা ইসলাম কে শুধু নামাজ-রোজা আর দান সাদকার মাধ্যমেই সীমিত করে ফেলেছে,

অথবা অনেকে এইসব ইসলামিক সংস্কৃতি বিরোধী কর্মকাণ্ড

জেনেও অনীহার সাথে তা করে যায় !

আমরা আমাদের সেই সব অভিবাভকদের ইসলামের প্রকৃত

জ্ঞান দিয়ে এহেন শরিয়া বিরোধী যেকোন অনুষ্ঠান থেকে তাঁদের কে বিরত থাকার আহ্বান জানাই, তাঁদের কে বুঝাই সমাজের গড্ডালিকার প্রবাহে নিজেকে বিলীন করে দেওয়া যাবে নাহ, কারন আমাদের বিচারের দিন আমাদের কর্ম সমন্ধে আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে !

আর, আমাদের দ্বারা যাদের এহেন, পাপকার্য সম্পাদন হয়ে গেছে, আমরা আল্লার কাছে তওবা করি এবং এর কাফফারা হিসেবে, ওপর কে এহেন কাজ থেকেবিরত থাকার ব্যাপারে নসিহত করি, আল্লাহপাক আমাদের সকল ফিতনা থেকে দূরে রাখুক।
আমীন।
১৫টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×