somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

শাহরিয়ার নীল
আমি ৪০ পাওয়া ক্লাশের সেই ছাত্র যার বাবা ছেলে ৪০ পাওয়ার খুশী তে গাড়ি কিনে আনে। ভুল বুঝবেন না মোটেও। যা দেখবেন সব ফাপড়, আলগা পার্ট। আমি ভবঘুরে অথবা নষ্ট একটি ছেলে। মেধাবী কিংবা জিনিয়াস হওয়ার খেলায় আমি অংশ নেই না।

লুল গদ্য

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটা ছোট্ট মজার কাহিনী বলি , যেটা স্কুলে থাকার সময়কার । বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা তে আমাদের অনেক খেলার ইভেন্টের সাথে একটা ইভেন্ট ছিলো “যেমন খুশি তেমন সাজো” । এখন আর স্কুল কলেজে চোখে পড়ে এসব । এখন তো ডিজিটাল খেলা চলে সবজায়গায় । ... ফেফে ।
..
আসল কথায় ফিরে আসি- তো যেমন খুশি তেমন সাজো ইভেন্ট এ কেউ সাজলো ম্যাকগাইভার,কেউ সাজলো কবি, সাপুড়ে ইত্যাদি । আর উল্লেখ্যযোগ্য ভাবে এক মেয়ে সেজেছিলো “বীরঙ্গানা” (ক্লাস সেভেনে পড়ত ঐ মেয়ে, কিন্তু গায়ে গোতরে মনে হবে না কেলা গাছ ৭ এ পড়ে... ফেফে... পাঠান টাইপ) । আর যার জন্য এই লুল গদ্য ,যার উছিলায় এই লুল গদ্য শেয়ার করা তিনি হলেন আমার দোস্ত (নাম জানানো নিষেধ আছে... ফেফে) । সে সেজেছিলো “রাখাল বালক”। যেহেতু রাখাল বালক তাই সাথে গরু থাকাটা সুর্য পুব দিকে উঠার মতই ইউনিভার্সাল ট্রুথ ... ফেফে ।
....
... তো আমরা গরু ও একটা জোগাড় করে দিছি- তয় গাই গরু । যাতে শান্ত থাকে (মেয়েরা তো শান্ত জাতি... ইউ নো হোয়াট),যাতে গুতা-মুতা না মারে । গরু গাই হলে কি হবে, সেয়ানী আছিলো শালী । যে আকামডা করছে এইটা শেষেই বলব । আমরা বলে দিলাম দড়ি শক্ত করে বেধে রাখতে যাতে কোথাও দৌড় না দেয়,কারন মাঠের পাশেই অনেক বরেন্য লোক থাকবে,ঢুসা মুসা দিয়া দিলে কাম সাড়া ,এক্কেরে ।
...

যখনি গেইম টিচার (স্যার-কে অনেক মিস করি।। প্রচুর মাইর খাইছি কিন্তু ওগুলো আশির্বাদ ছিলো) বাশি দিলো যেমন খুশি তেমন সাজো নামক সার্কাস শুরু হয়ে গেলো । আর সাথে সাথে মাঠে পার্টিসিপেন্ট রা যার যার ভেল্কি বাজি দেখাতে ব্যাস্ত হয়ে গেলো । যে ম্যাকগাইভার সেজেছে-সে স্ক্রু দিয়া কি যেন খোলার চেষ্টা করছে (আইজ পর্যন্ত খুলতে পারছে কিনা কে জানে??...ফেফে),সাপূরে ভাই ভেপু একটা নিয়া মাঝখানে বাক্স একটা রাইখ্যা বাশি বাজাইতাছে-যদিও সাপ টাপ আসার নাম গন্ধ ও নাই। আর সাপুড়ে ভাই সাপ খেলা দেখাইতাছে নাকি সাপ বিক্রি করছে আল্লাহ মালুম... ফেফে । আর মেইন দুই ক্যারেক্টার এর কথা তো বলাই হয় নাই ... “রাখাল বয় ও বীরাঙ্গানা” । মনে হয় যেন “মিঃ এন্ড মিসেস স্মিথ” ... ফেফে
....
যেহেতু ঐ মেয়েটা বীরাঙ্গানা সেজেছে সো তাকে ঐভাবেই শো-আপ করতে হবে-ধর্ষীতা নারীর মতন । ঐ মেয়েও কম কি ?? হেলে দুলে,শরীরে বল নাই(রবীন্দ্রনাথ রে কইলেই তো একটা বল বানায়া দিত...),চেহাড়ার মাঝে নিপীড়িত নারীর ছাপ,আর সবচেয়ে বড় কথা হল শাড়ীটাও একটু খুললাম খুল্লা ভাবেই পরছে,চুল ও আউলানো । মনে হয় যেন এইমাত্র পাক হানাদার বাহিনীর ক্যাম্প থেইকা বের হইছে... ফেফেফে
...
ঘটনার শুরু হল এখানেই, আমার বন্ধু গরু নিয়া অন্যত্র শো-ডাউন দেয়ার বদলে ঐ মেয়ের পিছন পিছন শো-ডাউন দিচ্ছে ... ফেফে । উদ্দেশ্য মেয়েটাকে আগা টূ গোড়া পরখ করা (এক কথা লুলামি... ফেফে ) । আমরা বন্ধুরা ততক্ষনে ব্যাপারটা বুঝতে পেরে বাইরে থেকে চিল্লা ফাল্লা ,আর হাসতে হাসতে এক জনের গায়ের উপর আরেকজন নিউটনের সুত্রের মত পতিত হওয়া শুরু করে দিছি । আমার বন্ধু মেয়েটার পিছুই ছাড়ছে না । মেয়েটা হেলে দুলে যেখানেই যাচ্ছে আমার বন্ধুও গরু নিয়া সেখানেই যাচ্ছে ... ফেফে । মেয়েটাও ব্যাপারটা বুঝতে একটু ভয়ে আছে-ভয়ে আছে গরুর গুতা খাওয়ার । তক্ষনাৎ মেয়েটা (কমন সেন্স প্রখর আছে বলতে হবে) একটা কাঠের সাথে(কাঠ বলতে, যেখানে বিজয়িরা দাড়ায়, ১ম হলে ১ নম্বর এ,মানে উপরে,পর্যায়ক্রমে ২য় ও ৩য় হলে বাম-ডান করে যেখানে দাড়ায়) হেলান দিয়া বসে পড়ল ।
...
কিন্তু আমার লুলা রাখাল বন্ধুরে কি আর বেধে রাখা যায় ??? সেও ঐ মেয়ের পাশে একটু দূরত্ব বজায় রেখে দাড়িয়ে আছে-মেয়েটার দিকে তাকিয়ে । ... ফেফে ।
বিধিবাম সেও মুহুর্তে ঘটে গেল ইতিহাসের(আমার স্কুল লাইফের) আরেক ন্যাক্কার জনক ঘটনা । দোস্তের গাই গরু দিল দুই লাদা হাগু করে... ফেফে (হা হা পগে... ) । মাঠের মধ্যে থাকা পারটিসিপেন্ট আর মাঠের বাইরে থাকা চারপাশে যত মানুষ ছিলো সবার হাসির আওয়াজ ছাড়া আর কিছুই শোনা গেল না । আর বন্ধুর পাশে বসে থাকা “বীরাঙ্গানা” ম্যাডাম ছিঃ বলে উঠে গেল । গেইম টিচার আসল তেড়ে, আর বলেদিল অতিসত্বর যাতে এই লাদা ছাফ করতে ... ফেফে ।
...
তখন আশেপাশে সিটি কর্পোরেশনের গাড়ী ছিলো না যে-ইনস্ট্যান্ট পরিস্কার করে দিবে । কি করা বেচারা!!! সবার সামনে তার দুই হস্ত দিয়া অপমানজনক ভঙ্গিতে গরুর গোবর গুলান ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে আসতে হল । মার্ক তো সে পেলই না উল্টো লুলামির খেসারত দিলে হল চ্রমভাবে... ফেফে ফেফে
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ঐ মেয়েও কিছুই হয় নাই.................



............।হেল বয়
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বর্গের নন্দনকাননের শ্বেতশুভ্র ফুল কুর্চি

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ২২ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৭


কুর্চি
অন্যান্য ও আঞ্চলিক নাম : কুরচি, কুড়চী, কূটজ, কোটী, ইন্দ্রযব, ইন্দ্রজৌ, বৎসক, বৃক্ষক, কলিঙ্গ, প্রাবৃষ্য, শক্রিভুরুহ, শত্রুপাদপ, সংগ্রাহী, পান্ডুরদ্রুম, মহাগন্ধ, মল্লিকাপুষ্প, গিরিমল্লিকা।
Common Name : Bitter Oleander, Easter Tree, Connessi Bark,... ...বাকিটুকু পড়ুন

সচলের (সচলায়তন ব্লগ ) অচল হয়ে যাওয়াটই স্বাভাবিক

লিখেছেন সোনাগাজী, ২২ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬



যেকোন ব্লগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর, একটি ভয়ংকর খারাপ খবর; ইহা দেশের লেখকদের অদক্ষতা, অপ্রয়োজনীয় ও নীচু মানের লেখার সরাসরি প্রমাণ।

সচল নাকি অচল হয়ে গেছে; এতে সামুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

হরিপ্রভা তাকেদা! প্রায় ভুলে যাওয়া এক অভিযাত্রীর নাম।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২২ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩


১৯৪৩ সাল, চলছে মানব সভ্যতার ইতিহাসের ভয়াবহ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। টোকিও শহর নিস্তব্ধ। যে কোন সময়ে বিমান আক্রমনের সাইরেন, বোমা হামলা। তার মাঝে মাথায় হেলমেট সহ এক বাঙালী... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনারই মেরেছে এমপি আনারকে।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২২ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল তারই ছোটবেলার বন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীন!

এই হত্যার পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল আরেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাকা ভাংতি করার মেশিন দরকার

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৩ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:১০

চলুন আজকে একটা সমস্যার কথা বলি৷ একটা সময় মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল৷ চাইলেই টাকা ভাংতি পাওয়া যেতো৷ এখন কেউ টাকা ভাংতি দিতে চায়না৷ কারো হাতে অনেক খুচরা টাকা দেখছেন৷ তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×