somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মার্কিন সাম্রাজ্যের পতন অনিবার্য!!!!!!!!!!!!

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বর্তমানে মার্কিন ডলার গোটা বিশ্বের জন্য একমাত্র আন্তর্জাতিক মুদ্রায় পরিণত হয়েছে। আর এই মুদ্রাটি ছাপা হয় একমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় টাঁকশালে। যুক্তরাষ্ট্র উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ঋণ দিতো। আবার এটাও তারা জানতো এদেশগুলো ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না। আর এই ঋণ পরিশোধ করতে না পারার ব্যাপারটি রীতিমত ভীতিপ্রদ। কেননা ঋণ আদায় করতে না পারলে মহাজনের তহবিল ফুরিয়ে যাবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ঋণব্যবসাকে সে দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে চলবে না। যুক্তরাষ্ট্র নিজ কেন্দ্রীয় সরকারের টাঁকশালে যে মুদ্রাটিকে ছাপায় তা বিশ্বের আর সব মুদ্রার মতো সোনার মানের উপর নির্ভরশীল নয়। বরঞ্চ মার্কিন ডলারের ভিত্তি হচ্ছে দুটি।

এক. গোটা বিশ্ব মার্কিন অর্থনীতির শক্তিমত্তার উপর আস্থাশীল।

দুই. যুক্তরাষ্ট্র গোটা বিশ্ব থেকে সুলভে শ্রম ও সম্পদ আহরণ (ওয়ালমার্ট এবং অন্যান্য পোশাক কোম্পানী আমাদের দেশের পোশাক শিল্পে থেকে যা করছে) করে নিজের অর্থনীতিকে চালু রাখতে পারে।

আর এটাই ছিল বিশ্ব সম্রাজ্য গঠনের প্রধানতম কারণ। বিশ্বের একমাত্র আন্তর্জাতিক মুদ্রা ছাপানোর সক্ষমতা তাদেরকে বেপরোয়া করে দিয়েছে। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের পরিমাণ ছিল ৬ লাখ কোটি ডলার। বছর শেষে হয় ৭ লাখ কোটি ডলার।

অর্থাৎ প্রতি মার্কিন নাগরিক ২০০৩ সালে মাথাপিছু ২৪ হাজার মার্কিন ডলার ঋণের বোঝা বহন করতো। যুক্তরাষ্টের জাতীয় ঋণের সিংহভাগই আহরণ করা হয়েছে এশিয়ার উন্নত দেশগুলো বিশেষ করে চীন ও জাপানের কাছ থেকে। চীন ও জাপান যুক্তরাষ্ট্রের ভোগ্যপণ্য, বিশেষ করে ইলেক্ট্রনিক্স, কম্পিউটার, গাড়ি, কাপড়-চোপড় ও ঘরোয়া যন্ত্রপাতি রফতানি করে যে অর্থ অর্জন করে সেই অর্থ দিয়ে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঋণপত্রগুলো কেনে। দেশ দুটি বাকি বিশ্বে ভোগ্যপণ্য রফতানি করে যে অর্থ অর্জন করে সে অর্থ দিয়ে নিজেদের শিল্পখাতগুলোকে পরিচালনা করে। যদি অন্য কোনো মুদ্রা আন্তজার্তিকভাবে গ্রহণযোগ্য হতে থাকে এবং চীন ও জাপান তাদের ঋণ পরিশোধ করার জন্য চাপ দেয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে। সেদিন মার্কিন অর্থনীতিতে ধস নামবে। বরং বর্তমানে ধস নামার এটাও একটি কারণ। চীন ইতোমধ্যে টাকা চেয়ে বসেছে। আর সে কারণেই পূর্ব এশিয়াতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী যাত্রার পরিকল্পনা এই দেশগুলো মুখোমুখি হবার দিন বেশি দূরে নয়। কেননা যুক্তরাষ্ট্র টাকা পরিশোধ করতে অক্ষম হতে চলেছে আর তখন না পেরে পেশী শক্তি ব্যবহার করার চেষ্টা করবে।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আওয়ামীলীগে শুধুমাত্র একটি পদ আছে, উহা সভাপতি পদ!

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৪ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪১


বাঙ্গালীদের সবচেয়ে বড়, পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী দল হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই দলটির প্রতি মানুষের ভালোবাসা আছে। মানুষ এই দলের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন করেছে। ৭০ এর নির্বাচনে এই দলটিকে নিরঙ্কুশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমপি আনারের মৃত্যু এবং মানুষের উষ্মা

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:২৯


সম্প্রতি ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পর আনোয়ারুল আজীম আনার নামে একজন বাংলাদেশি এমপি নিখোঁজ এবং পরবর্তীতে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার মরদেহের হাড়-মাংস আলাদা করে হাপিত্যেশ করে দেওয়া হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

দোয়া ও ক্রিকেট

লিখেছেন শাহাবুিদ্দন শুভ, ২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৪


দোয়া যদি আমরাই করি
তোমরা তাইলে করবা কি?
বোর্ডের চেয়ারম্যান, নির্বাচকের
দুইপায়েতে মাখাও ঘি।

খেলা হচ্ছে খেলার জায়গা
দোয়ায় যদি হইত কাম।
সৌদিআরব সব খেলাতে
জিতে দেখাইত তাদের নাম।

শাহাবুদ্দিন শুভ ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে “বাঘ” বলা বন্ধ করুন!!

লিখেছেন অন্তর্জাল পরিব্রাজক, ২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:২১



দয়া করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে “বাঘ” বলা বন্ধ করুন!! X( এরা ছাগলের দলই ছিল, তাই আছে, তাই থাকবে :-B !! এরা যেমন ধারার খেলা খেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

তোমার বকুল ফুল

লিখেছেন নীল মনি, ২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৪

বকুল ফুলের মিষ্টি গন্ধে ভরে থাকে আমার এই ঘর। আমি মাটির ঘরে থাকি। এই ঘরের পেছন দিকটায় মা'য়ের হাতে লাগানো বকুল ফুলের গাছ৷ কী অদ্ভুত স্নিগ্ধতা এই ফুলকে ঘিরে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×