somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাথেই সাথেই আর একজন কনস্টেবল এসে ধাক্কা দিয়ে লকআপে ঢুকিয়ে দিলেন।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছোটবেলা থেকেই জনগনের সাথে সম্পৃক্ত থাকার চেষ্টা করেছি। ভন্ডামি করে নয়, রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য নয়, সত্যিকার অর্থেই থেকেছি। তখন সম্ভবত দশম অথবা একাদশ শ্রেনীর ছাত্র। ফরিদপুর শহর থেকে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাড়ীতে এসেছি। এসেই দেখি বড় রাস্তার উপর বৃষ্টির পানি আটকে বন্যা হয়ে গেছে। থানার সেকেন্ড অফিসার বাধ দিয়ে পানি বের হবার রাস্তা আটকে দিয়েছেন, কারন যেখান দিয়ে পানি বের হয়ে চলে যায় সেখান থেকে সামান্য দুরেই তার বাসা। তার বাসার ক্ষতি হতে পারে বিধায় তিনি একাজটা করেছেন।

জনগন লুংগি কাছা দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে। পরিস্হিতি দেখেই মেজাজটা বিগড়ে গেল। একজনকে ডেকে বললাম বাধটা কেটে দিতে। পানি পরিস্কার হয়ে যেতে লাগলো। কিছুক্ষন পর দেখি পুলিশ অফিসার সাহেব চিৎকার করছেন, কে করেছে, কে করেছে। বললাম, আমি করেছি। জনগনের অসুবিধা হচ্ছে। বললেন রাস্তা কি তোমার বাবার নাকি? আমি বললাম, তোমার বাবারও না, তবে জনগনের। তিনি মানলেন না, কিছুক্ষণ খিস্তি খেউর করে আমাকে দেখিয়ে দিবেন বলে চলে গেলেন। কিছু সময় পরেই বাসায় পুলিশ এসে হাজির। একজন কনস্টেবল বললেন থানার বড় বাবু সালাম দিয়েছেন। থানার পাশেই আমাদের বাসা। সাধারনত নুতন কোন ওসি সাহেব এলেই তাদের পরিবার বেড়াতে আসতেন, চেনা জানা থাকতো। ইনি নুতন এসেছেন, আমিও দুরের শহরে থাকি, জানাশোনাও ছিল না। থানায় গেলাম দেখা করতে। ওসি সাহেব প্রশ্ন করলেন কি হয়েছে? উত্তর দেবার আগেই, পাশেই দাড়িয়ে থাকা সেই সেকেন্ড অফিসার বললেন এই ব্যাটা মনে হয়ে সর্বহারা টারা করে। নাইলে এত সাহস পায় কোথায়! সাথেই সাথেই আর একজন কনস্টেবল এসে ধাক্কা দিয়ে লকআপে ঢুকিয়ে দিলেন।

কিছুক্ষণের মধ্যেই সারা শহরে ছড়িয়ে পড়লো ব্যাপারটা। বিভিন্ন জায়গা থেকে দলমত নির্বিশেষে লোকজন এসে থানায় জড়ো হতে লাগলো। একের পর এক টেলিফোনে অস্হির হয়ে ওসি সাহেব আমার মিনিট দশেকের কারাবাস সমাপ্ত করলেন। লকআপ থেকে বের করে অফিসে বসিয়ে রাখলেন। জনগনের প্রচন্ড চাপে কিছু উপদেশ বাণী শুনিয়ে ছেড়ে দিলেন।

এরপর একদিন শুনি রাজবাড়ীর ডিসি সাহেব আসবেন, কৃষকদের ধানি জমিতে বাধ দেবার বিষয়ে কথা বলতে.........।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×