somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বনাম সর্বদলীয় নির্বাচন কালীন সরকার ।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হ্যাঁ । ভাল কথা । আমার বন্ধু লতিফের কথার বা বক্তব্যের পরি প্রেক্ষিতে এই লিখা । পড়ুন এবং ভাল লাগবে । প্রথম কথা হল তত্ত্বাবধায়ক সরকারটা কি ? তত্ত্বাবধায়ক সরকার হল সরকারী দল ও বিরুধি দল এর পছন্দের ৫জন ও ৫জন করে এবং একপ্রকার তাদের সিলেক্টেড বা প্রদত্ত তালিখা থেকে নিয়েই যে সরকার হয়ে থাকে তাকে বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার । আর সর্বদলীয় সরকার হল গত নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের ভিতর থেকে সরকারী দল ও বিরুধি দল এবং সাথে অন্যান্য দল (জমাত বাদে) যারা সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতেছে - তাদের দিয়ে নির্বাচন কালীন যে সরকার তাকে বলে সর্বদলীয় নির্বাচন কালীন সরকার । যা পূর্বের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতই - এবং এক্ষেত্রে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দিয়েই হচ্ছে সর্বদলীয় নির্বাচন কালীন সরকার । বর্তমান পরিস্থিতির কারনে আওয়ামী লীগ এই সর্বদলীয় নির্বাচন কালীন সরকারে আনুপাতিক হারে সংখ্যায় বিএনপিকে তাদের উপযুক্ত পাওয়া থেকেও বেশী দিতেও রাজী হয়েছে । দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে - এই সরকারের প্রধান বা এই সময়ে প্রধান মন্ত্রী কে হবেন বা থাকবেন ? হ্যাঁ এই প্রশ্নটারই সমাধান করার জন্য প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরুধি দলীয় নেতা বেগম খলেদা জিয়াকে আলোচনার জন্য ফোন দিয়েছিলেন । এবং হরতাল স্থগিত করেই আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন । বেগম জিয়া সেই আমন্ত্রণের ব্যাপারে বা বিপরীতেই একগাদা কথা প্রধান মন্ত্রী কে শুনিয়ে দিয়ে হরতাল অব্যাহত রাখলেন । এপর্যন্ত পুড়িয়ে, ভোমা মেরে, জবাই করে অর্ধশতের বেশী লোককে খুন করা হল । অসংখ্য গাড়ি, ও বাড়ি আগুনে পুড়া হল । এখন প্রশ্ন হল - এর দ্বায় দায়িত্ব কে নেবে ? নিশ্চয় বিএনপি তথা বেগম খলেদা জিয়াকেই নিতে হবে । এখানেই উল্লেখ করতে চাই – প্রধান মন্ত্রীর আমন্ত্রণ এখনও অব্যাহত আছে । সেই ব্যাপারে কখন বিএনপি আলোচনায় আওয়ামী লীগের সাথে বসতে চায় তা জানিয়ে আওয়ামী লীগকে ফোনে জানিয়ে দিলেই তো – আলোচনা শুরু হয়ে যাবে । এবং সেই আলোচনাতেই আগামী নির্বাচনের জন্য কি কি পদক্ষেপ নিলেই নির্বাচন অবাধ, সুস্থ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হবে – তা নির্ধারণ করা যায় । সে ব্যাপারেই এখন বিএনপির উচিৎ ফোনে বা অন্য যে কোন উপায়েই আওয়ামী লীগের সাথে আলোচনা করা এবং বিএনপির প্রস্থাব উপস্থাপন করা । তা হলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে । এবং বাংলাদেশে একটা অবাধ, সুস্থ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে । যার দিকেই বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্ব থাকিয়ে আছে । এটা না করে হরতাল দেওয়া হচ্ছে এবং লাশের উপর লাশ উপাহার দিচ্ছে বিএনপি তথা জমাত শিবির ও ১৮ দল । এখান থেকেই আমরা মুক্তি চাই । হরতাল প্রত্যাহার করতে হবে । আলোচনায় বসতে হবে । সর্বদলীয় সরকারের সাথে বিএনপিকে সংযুক্ত হতে হবে । এক্ষেত্রে কোন ভাবেই অনির্বাচিত কাউকে দিয়ে কোন সরকারই আমরা মেনে নিতে পারি না। কারন অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার কি তা আমরা ২০০৬ সালে দেখেছি । যে সরকার বেগম জিয়ার বড় ছেলে জনাব তারেক জিয়ার মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিয়েছে বা বাকা করে দিয়েছে – যা এখনও চিকিৎসা নিতেই হচ্ছে । তাও আবার লন্ডনে । দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে এই একটা কারণে গত পাঁচ বছর একবারের জন্য হলেও জনাব তারেক জিয়া বাংলাদেশেও আসতে পানেনি । তা হলে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্থাবের ভুল কোন জায়গায় ? আসল কথা হল বিএনপির ঘাড়ের উপর সওয়ার হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের দল জমাত - শিবির । যে জমাত শিবির বিভাগীয় জনসভা সমূহে প্রকাশে দিবালোকে বিএনপি ও ছাত্রদলের লোকজনকে লাঠি দিয়ে পিঠিয়ে জনসভার সামনের জায়গা দখন করেছে । এবং এখন সেভাবেই বেগম ঘালেদা জিয়াকে বিএনপিএ নীতিনির্ধারকদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে –জমাত শিবির । যেখান থেকে বিএনপির নেতৃবৃন্দ বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে পারতেছে না । এই সত্যি কথাটা বা ঘটনাটা বিএনপির পক্ষে স্বীকার করা সম্ভব না । তাই আজ দেশের এই অবস্থা । এখান থেকে আমরা মুক্তি চাই । তাই বিএনপিকে অনুরধ করবো বেগম খলেদা জিয়াকে জমাত – শিবিরের কবল থেকে উদ্ধার করুন এবং নির্বাচনে জাপিয়ে পড়ুন । আপনাদের বিজয় সুনিশ্চিত – এটা আপনারাই বলে থাকেন এবং আচার আচরণে ও বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বুঝাছেন আমাদেরকে । তবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকানোর চেষ্টা করে কোন লাভ হবে না। এই বিচার এই বাংলার মাটিতে হবেই হবে – ইনশেল্লাহ । জয়বাংলা । জয় বঙ্গবন্ধু ।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তরের সংগ্রামী জনতার স্লুইস গেট আক্রমণ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২১


(ছবির লাল দাগ দেয়া জায়গাটিতে গর্ত করা হয়েছিল)

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

২৩শে এপ্রিল পাক সেনারা ফুলছড়ি থানা দখল করে। পাক সেনা এলাকায় প্রবেশ করায় মানুষের মধ্যে ভীতিভাব চলে আসে। কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাড়ির কাছে আরশিনগর

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ০৯ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫০


বাড়ির কাছে আরশিনগর
শিল্পকলা একাডেমির আশেপাশেই হবে চ্যানেলটার অফিস। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করল মৃণাল। কিন্তু খুঁজে পাচ্ছে না সে। এক-দু'জনকে জিগ্যেসও করল বটে, কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না।

কিছুদূর এগোনোর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার সুফল কতটুকু পাচ্ছে সাধারণ মানুষ

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৮

(১) আমলা /সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব হতাশাজনক। মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের রক্ত দেওয়া দেশের এমন কিছু কখনো আশা কি করছে? বঙ্গবন্ধু এমন কিছু কি আশা... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলজিবিটি নিয়ে আমার অবস্থান কী!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×