যুদ্ধাপরাধের মামলায় ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে এক সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।
Published : 14 Nov 2013, 11:21 AM
প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৫ সদস্যের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ২৬ নভেম্বর দিন রাখা হয়েছে।
এ দিন কার্যতালিকায় শুরুতেই মুজাহিদের আপিলের ‘সারসংক্ষেপ জমা দান’ আসে। শুনানির পর আদালত নতুন এই দিন রাখে।
আদালতে মুজাহিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জয়নুল আবেদীন তুহিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এমকে রহমান।
এই মামলায় কেবল মুজাহিদই ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আপিল নেই।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর এই সেক্রেটারি জেনারেলকে গত ১৭ জুলাই মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
অপহরণ, নিযার্তন ও হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি ঘটনায় মুজাহিদের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হওয়ায় মুজাহিদকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেয়া হয় ট্রাইব্যুনালের রায়ে।
মুজাহিদ গত ১১ অগাস্ট ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন।
তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম জানান, ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে ১১৫টি যুক্তি তুলে ধরে মুজাহিদের খালাস চেয়েছেন তারা। এজন্য ৩ হাজার ৮০০ পৃষ্ঠার নথিপত্র জমা দিয়েছেন তারা, যার মধ্যে মূল আপিল ৯৫ পৃষ্ঠার।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগের একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে গ্রেপ্তার করার পর ২ অগাস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
২০১২ সালের ২১ জুন অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মুজাহিদের যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হয়। ট্রাইব্যুনাল ৬ষ্ঠ রায়ে মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।