সানচেসের চিলিতে পুড়লো ইংল্যান্ড

১৯৯৮ সালেও লন্ডনের ওয়েমব্লিতে একই ব্যবধানে জিতেছিল দক্ষিণ আমেরিকা থেকে বিশ্বকাপের টিকেট পাওয়া দলটি। সেবার দুটি গোল করেছিলেন মার্সেলো সালাস। শুক্রবার রাতে ঐতিহ্যবাহী এই স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচে ইংল্যান্ডের ঘাতক সানচেস।

ইংল্যান্ড দলে অভিষেক হয় সাউথ্যাম্পটনের জুটি অ্যাডাম লালানা ও জে রদ্রিগেস আর সেল্টিক গোলরক্ষক ফ্রেজার ফর্সটারের। ব্রাজিল বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দল নিয়ে কিছুটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন কোচ রয় হজসন। তবে তা আর কাজে আসলো না। চিলি টানা ১০ ম্যাচ ধরে অপরাজিতই থাকলো।

ম্যাচের সাত মিনিটেই ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে চমৎকার নিচু হেডে চিলিকে এগিয়ে নেন সানচেস।

চিলির এই গোলের আগে ফিল জোনস ও পরে ফ্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের প্রচেষ্টা নসাৎ করে দেন গোলরক্ষক ক্লদিও ব্রাভো। কিন্তু এর পর ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় চিলি।

বার্সার হয়ে এ মৌসুমে এরই মধ্যে জ্বলে উঠেছেন সানচেস। বোঝাই যাচ্ছে বিশ্বকাপের অন্যতম তারকা হতে যাচ্ছেন তিনি।

১৯৫৩ সালের পর থেকে চিলির জালে গোল দিতে পারেনি ইংল্যান্ড! ওয়েমব্লিতে আগের ম্যাচে ২-০ গোলে হেরেছিল। আর তার আগের দুটি ম্যাচই গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। এবারও তাদের পুড়তে হলো গোল না পাওয়ার হতাশায়।

আগামী মঙ্গলবার আরেকটি প্রীতি ম্যাচে ওয়েমব্লিতেই জার্মানির মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। আর চিলি খেলবে আগামী বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ ব্রাজিলের বিপক্ষে।