somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইয়াযীদকে খলীফা মনোনয়ন এবং কারবালার মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে নববী কাননের সুরভিত গোলাপ, জলীলুল ক্বদর ছাহাবী, কাতিবে ওহী, ছাহিবে সির হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে যারা সমালোচনা করে, উনাকে নাক্বিছ বলে, উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে তারা সকলেই কাট্টা কাফির এবং জাহান্নামের স্থায়ী বাসিন্দা

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সাইয়্যিদুশ শুহাদা, সাইয়্যিদু শাবাবী আহলিল জান্নাহ, ইমামুছ ছালিছ, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার মর্মান্তিক শাহাদাতকে কেন্দ্র করে কেউ কেউ নববী কাননের সুরভিত গোলাপ, কাতিবে ওহী, ছাহিবে সির, জলীলুল ক্বদর ছাহাবী হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সমালোচনা করে থাকে এবং উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ! হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সীমাহীন শান, মান, মাক্বাম ও মুবারক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অজ্ঞানতা, খাছ করে কাতিবে ওহী, হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার অতুলনীয় ফাযায়িল, ফযীলত, বুযুর্গী, মান, শান সম্পর্কে অজ্ঞতা এবং বিধর্মী, বাতিল গোষ্ঠী, উলামায়ে সূ’দের কুমন্ত্রণা ও নেপথ্য কারসাজিই এর মূল কারণ। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নুবুওওয়াত ও রিসালত আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণার ৫ বছর পূর্বে আরবের অভিজাততম কুরাইশ বংশের বনু উমাইয়া শাখায় হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ হয়। সুবহানাল্লাহ! তিনি সুদীর্ঘ ১৯ বছর খিলাফত উনার দায়িত্ব পালন করেন। উনার পবিত্র বিছাল শরীফ ৭৮ বছর বয়স মুবারকে ষাট হিজরীতে।
খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন: “হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আমার গুপ্তভেদ জানার মতো ছাহাবী।” তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন: “হে আল্লাহ পাক! হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে পথ প্রদর্শক ও পথপ্রাপ্ত করে দিন এবং উনার মাধ্যমে মানুষকে হিদায়েত দান করুন।” আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন: “আমার উম্মতের প্রথম যে সৈন্যদলটি নৌ-অভিযানে অংশ নিবে, তারা নিজেদের জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে নিবে।” হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ২৭ হিজরীতে নৌবাহিনীযোগে সর্বপ্রথম সাইপ্রাস অভিযান শুরু করেন। খলীফায়ে ছালিছ হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার নির্দেশে তিনিই প্রথম ইসলামী ফৌজের জন্য নৌবহর তৈরি করে মুসলমান উনাদের মধ্যে নৌযুদ্ধের গোড়াপত্তন করেন। মিথ্যা নবী মুসায়লামা হত্যার গৌরবময় অবদানে হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হযরত ওয়াহশী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সহযোগী ছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত ইসলাম উনার ইতিহাসে ৪১ হিজরী বর্ষ ‘ঐক্যবর্ষ’ হিসেবে আখ্যালাভ করেছে। এ ব্যাপারে হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মুবারক অবদান ও ভূমিকার গুরুত্ব সীমাহীন। সাইয়্যিদুশ শুহাদা, সাইয়্যিদু শাবাবী আহলিল জান্নাহ, ইমামুছ ছানী, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম উনার সঙ্গে সন্ধি স্থাপনের মুবারক সিদ্ধান্তে হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সন্ধিনামায় স্বাক্ষর মুবারক করে সীলমোহরসহ ওই কাগজ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম উনার মুবারক খিদমতে এই বলে পাঠিয়ে দেন: “হে আওলাদুর রসূল হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম! এই সাদা কাগজের নিচে আমার দস্তখত ও সীলমোহর রয়েছে। আপনি দয়া করে নিজের ইচ্ছেমতো যে কোনো শর্ত এতে লিখে দিন। আমি আগাম মঞ্জুর করে নিলাম।” সুবহানাল্লাহ! সন্ধি স্থাপনের এমন সুমহান নজির দুনিয়ায় পূর্বে, বর্তমানে ও আগামীতে কখনোই খুঁজে পাওয়া যাবেনা। যেসব নাদান, কমবখত, বদনসীব ও বাতিল গোষ্ঠী হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সমালোচনা করে, উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে তাদের জিহ্বার গোড়া কেটে দেয়া দরকার। ৪১ হিজরীতে সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম উনার মুবারক খিদমতে হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি এক লক্ষ দিরহাম ভাতা নির্ধারণ করেন।
ইয়াযীদের অপরাধের জন্য হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার প্রতি দোষারোপ করা নাজায়িয ও কুফরী। মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তিনি কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন: “একজনের পাপের বোঝা অন্যজন বহন করবেনা।” (পবিত্র সূরা আনয়াম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ-১৬৪)
ইয়াযীদকে যখন শাসন ক্ষমতা দেয়া হয়, তখন সে উপযুক্তই ছিলো। এক খুতবায় হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি দুআ’ করেন: “হে আল্লাহ পাক! খিলাফতের যোগ্য বিবেচনা করেই যদি ইয়াযীদকে মনোনয়ন দিয়ে থাকি, তাহলে তার অনুকূলে আমার এ সিদ্ধান্তকে আপনি দয়া করে পূর্ণতা দান করুন। পক্ষান্তরে পুত্রের প্রতি মোহ ও দুর্বলতাই যদি হয় এর কারণ, তা হলে আপনি তা ব্যর্থ করে দিন।” এ বিষয়ে অন্য এক খুতবায় কিছুটা ভিন্ন ভাষায় তিনি দোয়া করেন: “হে আল্লাহ পাক! ইয়াযীদকে যদি তার যোগ্যতার কারণেই মনোনীত করে থাকি, তা হলে সে মর্যাদায় তাকে আপনি উন্নীত করুন এবং তাকে মদদদান করুন। আর যদি পুত্রের প্রতি পিতার সহজাত মমতাই এ কাজে আমাকে প্ররোচিত করে থাকে, তাহলে আগেভাগেই তাকে আপনি তুলে নিন।”
আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো- হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নিয়তের বিশুদ্ধতার প্রতি লক্ষ্য করা। শরীয়ত যেখানে জীবিতকালেও কারো নিয়তের উপর হামলা করার অনুমতি দেয়নি, সেখানে সুদীর্ঘ ১৪শ বছর পর মজলুম ছাহাবী হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার নিয়তের উপর হামলা করার সুযোগ কোথায়? উনার সমালোচক এবং উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীদের জন্য হযরত ইমাম শিহাবুদ্দীন খাফ্্ফাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যা বলেছেন, তা পুরোপুরিভাবেই প্রযোজ্য। তিনি বলেছেন: “যে ব্যক্তি আমীরুল মু’মিনীন, হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, সে হাবিয়া দোযখের কুকুরসমূহের মধ্যে একটি কুকুর।” নাঊযুবিল্লাহ!
সব অসুখ ভালো হলেও ধোলাইকৃত মগজ আর কোনোদিনও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে না। তাই অল্পদামে কেনা ইহুদী, নাছারা, মুশরিকদের গোলাম, তাদের কেনা পোষ্য, ক্রণিক ব্যারামে আক্রান্ত ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে সূ’রা এবং ইসলামবিদ্বেষী আঁতেলরা নববী কাননের সুরভিত গোলাপ হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার বিরোধিতায় সর্বক্ষণ তৎপর। নাঊযুবিল্লাহ! জলীলুল ক্বদর ছাহাবী হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মুবারক জীবনের শ্রেষ্ঠতম বছরগুলো কেটেছে রোম সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে জিহাদের ময়দানে এবং সম্মানিত ইসলামী খিলাফত উনার সীমান্ত পাহারায় খোলা তরবারি হাত মুবারকে আরবী ঘোড়ার পিঠে। তিনি সম্মানিত ইসলামী খিলাফত উনার সবুজ মানচিত্রে ক্রমান্বয়ে যোগ করে নেন সুদান, সাইপ্রাস ও রোডেশিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ জনপদ। অন্যদিকে নিজের অতুলনীয় ব্যক্তিত্বগুণে দ্বিধাবিভক্ত উম্মাকে তিনি ঐক্যবদ্ধ করেন হিলালী ঝা-ার ছায়াতলে। সুবহানাল্লাহ!
হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ছিলেন কাতিবে ওহী। পবিত্র মক্কা শরীফ বিজয়ের পুণ্য লগ্ন থেকে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ নাযিলের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি পবিত্র ওহী মুবারক লিপিবদ্ধ করার সুমহান দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। জিহাদের ফরয তিনি বিপুল সমারোহে ফের জিন্দা করেছিলেন। সাইয়্যিদুনা হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব আলাইহিস সালাম উনার মুবারক উপস্থিতিতে একবার হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সম্পর্কে বিরূপ সমালোচনা শুরু হলে সবাইকে থামিয়ে দিয়ে তিনি ক্রোধভরে বলতে থাকেন: “যে কুরাইশী যুবক তিনি চরম ক্রোধের মুহূর্তেও প্রাণ খুলে হাসতে পারেন। স্বেচ্ছায় না দিলে যাঁর হাত থেকে কিছু ছিনিয়ে নেয়া যায় না। যাঁর শিরস্ত্রাণ পেতে হলে উনার পায়ে লুটিয়ে পড়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। সহনশীলতা, সাহসিকতা ও আত্মসম্মানবোধে যিনি অতুলনীয়, তোমরা উনারই সমালোচনা করছো?”
সুপ্রসিদ্ধ তাবেয়ী হযরত ইবরাহীম বিন মায়সারা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন: “উমাইয়া খলীফা হযরত উমর বিন আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে আমি কখনো কাউকেই দোররা মারতে দেখিনি। তিনি উনার মুবারক জীবনে শুধু এক ব্যক্তিকেই দোররা মেরেছিলেন। হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়অলা আনহু উনার সমালোচনা ছিলো তার অপরাধ।” স্বভাব-সংযমী তাবেয়ী হযরত আহনাফ বিন কায়স রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ধৈর্য ও সহনশীলতার খ্যাতি ছিলো গোটা আরব জুড়ে। উনাকে একবার জিজ্ঞেস করা হলো: “ধৈর্য ও সহনশীলতায় শ্রেষ্ঠ কে? আপনি, না-কি হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি?” তিনি জাওয়াব দেন: “মহান আল্লাহ পাক উনার ক্বসম! তোমার মতো গ-মূর্খ দ্বিতীয়টি আমার নজরে পড়েনি। হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ধৈর্য ও সহনশীলতা ছিলো খিলাফতের মসনদে বসে। আর আমারটা হলো মাটির বিছানায় বসে। বলতো দেখি! এ দুটি বিষয় বরাবর হয় কীভাবে?” হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেছেন: “ক্রোধ হজম করায় আমি যে স্বাদ পাই, অন্য কিছুতেই তা পাই না।”
মানুষের মুক্তি, মানবতার কল্যাণ এবং তায়াল্লুক মায়াল্লাহ, তায়াল্লুক মায়ার রসূল পর্যন্ত পৌঁছার ক্ষেত্রে জিহাদ ফী সাবিলিল্লায় তিনি ছিলেন উৎসর্গিত। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন: “শাসন ক্ষমতার জন্য হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার চেয়ে উপযুক্ত কেউ আমার নজরে পড়েনি।” হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি মোট ১৬৩খানা পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন। মুবারক জীবনের শেষে খুতবায় তিনি বলেন: “হে জনম-লী! কোনো কোনো ক্ষেতের ফসল কাটার সময় সমাগত প্রায়। আমি আপনাদের খলীফা ছিলাম। আমার পর আমার চেয়ে উত্তম কোনো খলীফা আপনারা আর পাবেন না। যেমন আমার পূর্বের খলীফাগণ আমার চেয়ে উত্তম ছিলেন।”
প্রখ্যাত তাবেয়ী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনুল মুবারক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে একবার প্রশ্ন করা হয়: “দয়া করে বলুন তো উত্তম কে? হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি, না-কি হযরত উমর বিন আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি?” প্রশ্ন শুনে তিনি জালালী হয়ে উঠলেন। পূর্বে উনাকে এতো গোস্বা হতে কেউ দেখেনি। তিনি জাওয়াব দিলেন: “হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি জিহাদে যাওয়ার সময় উনার ঘোড়ার নাকে যে ধুলাবালিগুলো প্রবেশ করেছে, তার মূল্যও হযরত উমর বিন আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার চেয়ে উত্তম।” সুবহানাল্লাহ! হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সকল ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের ইজ্জত-আবরু রক্ষাকারী আবরণ। এ মুবারক আবরণ কেউ ছিন্ন করলে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সকলের ক্ষেত্রেই দুঃসাহসী হয়ে উঠার কুফরী ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়ে যায়। নাঊযুবিল্লাহ!
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে যে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে গালমন্দ করা, উনাদেরকে দোষারোপ করা কুফরী। নাঊযুবিল্লাহ! ইয়াযীদকে খলীফা মনোনয়ন এবং কারবালার মর্মান্তিক ঘটনাকে কেন্দ্র করে নববী কাননের সুরভিত গোলাপ, জলীলুল ক্বদর ছাহাবী, কাতিবে ওহী, ছাহিবে সির হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে যারা সমালোচনা করে, উনাকে নাক্বিছ বলে এবং উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে তারা কাট্টা কাফির। তাদের স্থায়ী আবাস জাহান্নাম। এ বিষয়ে সকলেরই ঈমান ও আক্বীদা বিশুদ্ধ করা ফরয। সতর্ক হওয়া ফরয। কারণ হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনিসহ সকল হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাই হলেন হক্ব নিরূপণ এবং হক্ব অনুসরণের হাক্বীক্বী মানদণ্ড।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×