পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে একটি মামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর শরফত আলী সপু ও সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
Published : 15 Nov 2013, 03:31 PM
ঢাকার মহানগর হাকিম শামসুল আরেফিন শুক্রবার এই আদেশ দেন।
দুপুরে সপু ও বাবুকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ড চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফজলুল হক।
অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে আদালতে জামিনের আবেদন করেন বিএনপির আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও জয়নাল আবেদীন মেজবাহ।
শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নাকচ করে বিচারক দুজনের পাঁচ দিন করে হেফাজত মঞ্জুর করেন।
বিএনপির সহযোগী সংগঠনের এই দুই নেতাকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদেরকে পুলিশের উপর হামলা, পুলিশের কাজে বাধা ও হাতবোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে ২ মার্চ রমনা থানায় করা একটি মামলায় রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের আরো কয়েকজন শীর্ষ নেতাও এ মামলার আসামি।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত ২ মার্চ বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল থেকে শান্তিনগর ও মগবাজারসহ আশপাশের এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা, পুলিশের কাজে বাধা ও হাতবোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে সপু-বাবুও জড়িত। ওই হামলার পরিকল্পনাসহ ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দুই আসামিকে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন।
এর বিরোধিতা করে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, অভিযুক্তরা ডায়েবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। দুজনই ঢাকা কলেজের এক সময়ের ‘স্বনামধন্য’ ছাত্র নেতা এবং ‘গণতন্ত্রের লড়াইয়ের সৈনিক’।
গত শুক্রবার মওদুদ আহমদসহ বিএনপির স্থায়ী কমিটির তিন সদস্যসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের ছয় দিনের মাথায় এই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি করেছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল।
দুই নেতাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে শুক্রবার সব মহানগর, জেলা ও থানায় বিক্ষোভের কর্মসূচিও দিয়েছে বিএনপির সহযোগী সংগঠনটি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানিয়ে সব রাজনৈতিক নেতার মুক্তি দাবি করেছেন।