somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাতম করা কোন জীবন্ত জাতির কাজ নয়

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগামীকাল দৈনিক দেশেরপত্রে আসছে এই নিবন্ধটি
গতকাল সারা দেশে গুরুত্বের সাথে পালিত হোল আশুরার দিন। সৃষ্টির শুরু থেকে এই দিনটি মানবজাতির ইতিহাসে এবং এরও আগে বহু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘোটেছে বোলে জানা যায়। এর মধ্যে সবগুলো ঘটনার সত্যাসত্যের ব্যাপারে সঠিক কোন তথ্য না থাকলেও যেসব ঘটনা সংঘটিত হোয়েছে বোলে জানা যায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হোচ্ছে এই দিনে মহান আল্লাহ আসমান ও জমিন সৃষ্টি কোরেছেন, এই দিনই আসমান থেকে প্রথম রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত হয়। এছাড়া এই দিনে পবিত্র কাবা ঘর নির্মাণ, আদম (আঃ), বিবি হাওয়া (আঃ), এবরাহীম (আঃ) ও জিবরাইল (আঃ)সহ মোকাররাবীন মালায়েকদের সৃষ্টি করা, আদম (আঃ) এর তওবা কবুল, আদম (আঃ) এর জান্নাতে প্রবেশ, ইদ্রিস (আঃ) কে অতি উচ্চ সম্মান প্রদান, নূহ (আঃ) এর মহাপ্লাবন হতে নাজাত লাভ, এবরাহীম (আঃ) -কে নমরুদের আগুন থেকে নাজাত, ইউসুফ (আঃ) এর পিতার সাথে মিলিত হওয়া, আইয়ুব (আঃ)-এর কঠিন রোগ হতে নাজাত, ইউনুস (আঃ) এর মাছের পেট থেকে উদ্ধার, আল্লাহর বিশেষ মো’জেজার মাধ্যমে মুসা (আঃ) এর সাগর পাড়ি ও একই সাথে ফেরাউন এর পানিতে ডুবে মৃত্যু, কারবালার ময়দানে এমাম হুসেইন (রাঃ) স্বপরিবারে শাহাদাত বরণসহ এই দিন কেয়ামত সংঘটিত হবে বোলেও উল্লেখিত রয়েছে। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে যে, মূলতঃ এই ঘটনাগুলোর জন্যই কিন্তু এই দিনটি পালিত হোচ্ছে না। এই দিনটি পালন করা হয় এসলামের ইতিহাসের একটি হৃদয়বিদারক ও দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। তাও সবাই নয়।

বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পালন করে শুধু এসলামের দ্বিতীয় বৃহত্তম মযহাব শিয়া সম্প্রদায়ের অনুসারীগণ। ইরানে এই দিনটি জাতীয় দিবস হিসেবে পালিত হয় এবং এ দিন সরকারি ছুটি থাকে। দিনটি পালন কোরতে গিয়ে তারা নানা আয়োজন কোরে থাকে। যেমন তাজিয়া মিছিল, নিজের বুকে চাবুক মেরে, বুক-পিঠ চাপড়িয়ে এক কথায় মাতম করে থাকে। শোক মিছিলে ঢাক-ঢোল, কারা- নাকারা বাজানো ইত্যাদি বাজানো হয়। মিছিল থেকে শোকবাহী আর্তনাদ হায় হোসেন! হায় হোসেন বোলে মাতম করা হয়। বাংলাদেশেও শিয়া সম্প্রদায় এদিনটি পালন কোরে থাকে। পুরান ঢাকায় বিশেষ কিছু এলাকায় এসব অনুষ্ঠান পালিত হয়।

দিনটি মূলতঃ পালন করা হয় মাতম করা বা শোক প্রকাশের দিবস হিসেবে। দিবসটি ঠিক কবে থেকে পালন করা শুরু হোয়েছে তা নির্দিষ্ট কোরে বলা যায় না। তবে এর প্রেক্ষাপট সম্পর্কে মোসলেম দুনিয়ার প্রায় সকলেই অবগত আছেন। সেটা হোল- কারবালার সেই বীভৎস ঘটনাকে কেন্দ্র কোরে এটা পালন করা হয়। এই দিনে রসুলাল্লাহর দৌহিত্র হোসাইন (রা:) ইয়াজীদের আনুগত্য না কোরে কারবালা প্রান্তরে ৪০ জন তরবারি চালাতে সক্ষম সৈন্য নিয়ে যুদ্ধ করে পুরো পরিবারসহ আত্মদান করেন। ইতিহাস রচনাকারীরা এই দিনের প্রত্যেকটি ঘটনাকে বিশদভাবে তুলে ধোরেছেন। এক ফোঁটা পানি না পেয়ে শিশুদের কলিজা ফেটে যাওয়ার বর্ণনাও আছে। অথচ উভয় দলই দাবি কোরত তারা মোসলেম। প্রশ্ন হলো জাতির মধ্যে কেন এই লজ্জাজনক ঘটনা ঘোটল? এমনতো হওয়ার কথা ছিল না।

রসুলাল্লাহ (দঃ) যখন আরবের বুকে আসলেন তখন আরবের অবস্থা কেমন ছিল তা আলাদা কোরে বলার দরকার পড়ে না। তারা তখন ছিল সকল দিক দিয়ে পশ্চাদপদ, বিশৃঙ্খল ও পৃথিবীর বুকে অবহেলিত একটি জাতি। পৃথিবীর অন্যান্য জাতিরা তাদের দিকে অবজ্ঞাভরে তাকাত। নিজেরা নিজেরা যুদ্ধ কোরে, বছরের পর বছর গোত্রগত বিদ্বেষ ও শত্র“তা পোষণ কোরে তারা যুদ্ধ চালিয়ে যেত। তাদের মধ্যে না ছিল শিক্ষা, না ছিল সম্পদ। প্রখর মরুর অনুর্বর মাটিতে খেজুর ছাড়া তেমন কোন ফসল জন্মাতো না। চিন্তা চেতনায়ও তারা ছিল নিু পর্যায়ে। তারা কন্যাসন্তানকে জীবন্ত কবর দিত। পবিত্র ক্বাবা ঘরে তারা লাৎ, মানাত আর ওজ্জার মূর্তি তৈরি কোরে তাদের উপাসনা কোরত। এই যখন ছিল আরবের অবস্থা তখন রসুলাল্লাহ তাদের সামনে আল্লাহর তরফ থেকে উপস্থাপন করলেন মুক্তির বাণী। তিনি মানুষকে ডাক দিলেন সব বাদ দিয়ে একমাত্র আল্লাহর হুকুম মেনে নিতে। কিন্তু পথভ্রষ্ট আরবগণ তাঁর কথা তো মেনে নিলই না বরং তারা এই মহামানবের বিরোধিতা করে দেশ থেকে বহিস্কৃত কোরল। কিন্তু রসুলাল্লাহ (দঃ) কঠোর সংগ্রাম আর অটল অধ্যবসায়ের মাধ্যমে, অসংখ্য প্রাণপ্রিয় অনুসারীদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বিজয় লাভ কোরে এমন একটি জাতি সৃষ্টি কোরলেন যে জাতির নাম উম্মতে মোহাম্মদী।

অল্প সময়ের ব্যবধানে এই জাতিটিই আমূল পরিবর্তীত হয়ে গেল। বিশৃঙ্খল এই জাতির মধ্যে ফিরে এল শৃঙ্খলা, ঐক্যহীনতার পরিবর্তে সীসা ঢালা প্রাচীরের ন্যায় ঐক্য, মালায়েকদের মত আনুগত্য আর ভীরু কাপুরুষতার পরিবর্তে মৃত্যুঞ্জয়ী সাহসী যোদ্ধার চরিত্র। জাতির প্রায় প্রতিটি সদস্য পরিণত হোলেন এক একজন যোদ্ধায়। এই তারাই মাত্র দশ বছর আগেও একজন রোমান বা পারসিক সৈন্যকে মনে কোরতেন তাদের দশজনের সমান। কিন্তু তখন তারাই একেক জন হোয়ে গেলেন দশজন রোমান বা পারসিক যোদ্ধার সমান। যারা বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত ছিল, যাদের কোন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ছিল না তারা চোলে এলেন একজন নেতার অধীনে। মরুর মাটি কামড়ে থাকা মাটিতে জন্ম মৃত্যু ছাড়া যাদের জীবনের কোন লক্ষ্য ছিল না, তাদের লক্ষ্য হোয়ে গেল দুনিয়া বিজয়। মাত্র ত্রিশ বছরের ব্যবধানে তারা তৎকালীন পৃথিবীর দুই দুইটি পরাশক্তি রোমান এবং পারস্য সাম্রাজ্য একসাথে তাদের পায়ের তলায় নিয়ে এল। সামরিক শক্তি, কূটনীতি, সাহসিকতার নতুন দৃষ্টান্ত তারা পৃথিবীর বুকে স্থাপন কোরলেন।
কিসে তাদের এই অচিন্তনীয় সফলতা এনে দিল? এর উত্তর হচ্ছে সেই জাতিটিকে আল্লাহর রসুল বোলেছিলেন- আমি আদিষ্ট হোয়েছি সংগ্রাম চালিয়ে যেতে যে পর্যন্ত সমস্ত পৃথিবীর মানুষ আল্লাহকে তাদের একমাত্র এলাহ এবং আমাকে তাঁর রসুল হিসেবে মেনে না নেয় (আব্দুল্লাহ এবনে ওমর থেকে বোখারী, মোসলেম ও মেশকাত) এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আল্লাহর রসুল সংগ্রাম শুরু কোরলেন এবং যারা তাঁর অনুসারী হলেন তাদেরকে হাতে-কলমে এই শিক্ষায় শিক্ষিত কোরে তুললেন। আরব উপদ্বীপে আল্লাহ থেকে আনীত এই দীন প্রতিষ্ঠার পর তিনি মহান প্রভু আল্লাহর সান্নিধ্যে চোলে গেলেন। জাতির কাছে রেখে গেলেন দুইটি জিনিস। কোরান ও তাঁর সুন্নাহ। পরবর্তীতে তাঁর অনুসারী অর্থাৎ উম্মতে মোহাম্মদী বাড়ি-ঘর, স্ত্রী-পুত্র, আত্মীয়-স্বজন এমনকি স্বদেশকে চিরতরে ত্যাগ কোরে সেই দায়িত্ব পালন কোরতে পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়লো এবং ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দিল।

কিন্তু দু:খজনক ঘটনা হোচ্ছে অর্ধ-দুনিয়া বিজয়ের পরে মাত্র ৬০/৭০বছরের মধ্যে তারা তাদেরকে জাতি হিসেবে সৃষ্টি করার মূল উদ্দেশ্য ভুলে গেল। দীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বাদ দিয়ে তারা এই অর্ধদুনিয়ার উপর আর অন্য সব রাজা-বাদশাহদের মত রাজত্ব করা আরম্ভ কোরল।
তখন কিন্তু এই জাতির পায়ের নিচে অর্ধ-পৃথিবী। কিন্তু তারা আল্লাহ ও রসুলের দেওয়া শর্ত মোতাবেক মো’মেন ও উম্মতে মোহাম্মদী রইলো না। কারণ আল্লাহর দেওয়া সংজ্ঞা মোতাবেক তারা সংগ্রাম করা বাদ দিলো। জাতির প্রতি আল্লাহর সাবধানবাণী ছিলো- “তোমরা যদি অভিযানে বের হওয়া ছেড়ে দাও তাহলে আল্লাহ তোমাদেরকে কঠিন শাস্তি দিবেন এবং অন্য জাতির গোলামে পরিণত কোরবেন” ( সুরা তওবা-৩৮-৩৯)।

এই শর্ত লঙ্ঘন করে জাতি যখন বাদশাহী আরম্ভ কোরল তখন থেকেই মূলতঃ ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে লিপ্ত হয়। এখান থেকেই কারবালার মতো ঘটনা ঘটার জন্য রসদ সৃষ্টি হয়। হাসান-হোসাইন এবং আব্দুল্লাহর পূর্ব পুরুষগণ নিজেদের রক্ত দিয়ে যে বিপ্লবের সূচনা কোরেছিল তা তারা এসে বন্ধ কোরে দিল। অথচ এই দুঃখজনক ঘটনা এই জাতির মাঝে ঘটার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। রসুলাল্লাহ বোলেছেন- ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে নিহত উভয়ই জাহান্নামে যাবে। যে কোনো ধরনের ঐক্যহীনতা কুফরের শামিল। এমনকি তা যদি চোখের ঈশারাও হয়। বিদায় হজ্বের ভাষণে রসুলাল্লাহ(দঃ) জাতিকে শেষবারের মতো এই কথাগুলোই স্মরণ করিয়ে দিয়ে গেছেন। কিন্তু কারবালার ঘটনায় যারা নায়ক কিংবা খল নায়ক হিসেবে চিত্রিত হোচ্ছেন তারা উভয়ে মিলে জাতির জন্য লজ্জাজনক ও ভ্রাতৃঘাতী যুদ্ধের অবতারণা কোরেছেন। এটি সম্ভব হোয়েছে কেবল জাতির মূল আকীদাচ্যুতির কারণে। আকীদার বিকৃতির কারণেই খেলাফতের পরিবর্তে উমাইয়ারা রাজতন্ত্র শুরু কোরেছে। একেকজন গর্বভরে উচ্চারণ করেছেন ‘আমি আরবের বাদশাহ’ বোলে। স্বাভাবিকভাবে তাদের চাল-চলনও হোয়ে দাঁড়াল আর অন্য সকল রাজা বাদশাহদের মতই। একেক জন রাজার তখ্ত-তাওস, রাজকীয় ভোগ বিলাস দেখতে পেলে খুব সম্ভবতঃ শাদ্দাদও লজ্জা পেত। অথচ এসলামের প্রাথমিক যুগের খলিফাগণ ধূলোর তখ্তে বসে দুনিয়া শাসন করতেন। দূর-দূরান্ত থেকে অভ্যাগতগণ বুঝতেই পারতেন না কে খলিফা আর কে সাধারণ জনতা। তারা অন্যদের মতই স্বাভাবিক উপায়ে জীবিকা নির্বাহ কোরতেন। রাষ্ট্র থেকে ভাতা গ্রহণে জনতা বাধ্য কোরলেও আবু বকর (রা:) তাঁর এন্তেকালের পূর্বে তার শেষ সম্বল জমিটুকু বিক্রি কোরেও অতীতে ভোগ করা ভাতার টাকা বায়তুল মা'লে শোধ করে দিয়ে গেছেন।

পরবর্তীতে যদি রাষ্ট্রের কর্ণধারগণ এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেন, সিংহাসন নিয়ে কামড়া-কামড়ি না কোরতেন তাহলে কারবালার সেই হৃদয় বিদারক ও দুঃখজনক ঘটনার উৎপত্তি হোত না। আজ যারা মনে কোরছেন তারা মাতম করার মাধ্যমে হাসান-হোসাইনের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ কোরে আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন কোরবেন, তাদের মনে রাখতে হবে-আল্লাহর তওহীদ ত্যাগ কোরে, রসুলাল্লাহর উম্মত থেকে বহির্গত হোয়ে, আল্লাহর রসুলের দেখানো দিক নির্দেশনাকে ভুলে গিয়ে ইহুদি-খ্রিস্টান সভ্যতাকে মেনে নিয়ে আজকের শিয়া-সুন্নি উভয়ই এসলাম থেকে খারিজ হোয়ে গেছে। কে কত মাইল দূরে গেছে সেই হিসেব করা এখানে গুরত্বপূর্ণ বিষয় নয়। উভয়েই এসলাম থেকে এবং এসলাম প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম থেকে বহু দূরে। প্রকৃতপক্ষে এসলাম থেকে খারিজ হোয়ে গিয়েও নিজেদের কাজকে সঠিক প্রমাণ করার জন্য ১৪০০ বছর আগের এই দুঃখজনক ঘটনাকে উপজীব্য কোরে মাতমের মধ্য দিয়ে ধর্মজীবী আলেমগণ আত্মতুষ্টিতে ভোগার চেষ্টা করেন। তাদের প্রতি আমাদের কথা হোচ্ছে অতীতের দুঃখ নিয়ে শোক কোরে লাভ কী, যদি অতীতের ভুল সংশোধন না করা হয়?

এখন তাদের উভয়েরই উচিত হবে আল্লাহর তওহীদের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। মনে রাখতে হবে মাতম কোন জীবন্ত জাতির কাজ নয়। জীবন্ত জাতি কঠোর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সর্বস্ব ত্যাগে সব সময় আল্লাহর সামনে মাথা উঁচু কোরে দণ্ডায়মান থাকে। ত্যাগ করতে পারলে নিজেকে গর্বিত মনে করে। কান্নার পরিবর্তে আনন্দ করে। তাই এখন অতীতের জন্য শোক নয়, বরং অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদেরকে সংশোধন করে এক কাতারে দাঁড়াতে হবে। রসুলের আরদ্ধ কাজ অর্থাৎ আল্লাহর দীনকে প্রতিষ্ঠার জন্য উম্মতে মোহাম্মদীর খাতায় নিজেদের নাম লেখাতে হবে। কারবালার শোক নিয়ে কান্নায় কোন লাভ নেই, যদি না আমরা অন্য জাতির গোলাম হয়ে থাকি। জাতীয় কবি নজরুলের ভাষায় বলতে হয়
মুসলিম! তোরা আজ ‘জয়নাল আবেদীন’।
ওয়া হোসেনা- ওয়া হোসেনা’ কেঁদে তাই যাবে দিন!
ফিরে এলো আজ সেই মহররম মাহিনা,
ত্যাগ চাই, মর্সিয়া ক্রন্দন চাহি না।
উষ্ণীষ কোরানের, হাতে তেগ্ আরবীর,
দুনিয়াতে নত নয় মুসলিম কারো শির।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্যামুয়েল ব্যাকেট এর ‘এন্ডগেম’ | Endgame By Samuel Beckett নিয়ে বাংলা ভাষায় আলোচনা

লিখেছেন জাহিদ অনিক, ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৮



এন্ডগেম/ইন্ডগেইম/এন্ডগেইম- যে নামেই ডাকা হোক না কেনও, মূলত একটাই নাটক স্যামুয়েল ব্যাকেটের Endgame. একদম আক্ষরিক অনুবাদ করলে বাংলা অর্থ হয়- শেষ খেলা। এটি একটা এক অঙ্কের নাটক; অর্থাৎ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রায় ১০ বছর পর হাতে নিলাম কলম

লিখেছেন হিমচরি, ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১

জুলাই ২০১৪ সালে লাস্ট ব্লগ লিখেছিলাম!
প্রায় ১০ বছর পর আজ আপনাদের মাঝে আবার যোগ দিলাম। খুব মিস করেছি, এই সামুকে!! ইতিমধ্যে অনেক চড়াই উৎরায় পার হয়েছে! আশা করি, সামুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যাঙ দমনের নেপথ্যে এবং রাষ্ট্রীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের সমন্বয়

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৭


ব্যাঙ দমনের বাংলায় একটা ইতিহাস আছে,খুবই মর্মান্তিক। বাংলাদেশে বহুজাতিক কোম্পানির কোন সার কেনা হতো না। প্রাচীন সনাতনী কৃষি পদ্ধতিতেই ভাটি বাংলা ফসল উৎপাদন করতো। পশ্চিমবঙ্গ কালক্রমে ব্রিটিশদের তথা এ অঞ্চলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পজ থেকে প্লে : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

লিখেছেন বন্ধু শুভ, ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:১৫


.
একটা বালক সর্বদা স্বপ্ন দেখতো সুন্দর একটা পৃথিবীর। একজন মানুষের জন্য একটা পৃথিবী কতটুকু? উত্তর হচ্ছে পুরো পৃথিবী; কিন্তু যতটা জুড়ে তার সরব উপস্থিতি ততটা- নির্দিষ্ট করে বললে। তো, বালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামে ভুল থাকলে মেজাজ ঠিক থাকে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৫


বেইলি রোডে এক রেস্তোরাঁয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে একজন একটা পোস্ট দিয়েছিলেন; পোস্টের শিরোনামঃ চুরান্ত অব্যবস্থাপনার কারনে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডকে দূর্ঘটনা বলা যায় না। ভালোভাবে দেখুন চারটা বানান ভুল। যিনি পোস্ট দিয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×