somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তসলিমা নাসরিনের চিন্তার নিদারুন সঙকীর্ণতা

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নারীর কোমোলত্ব আর অসহায়ত্ব আর অন্যদিকে পুরুষের কামুকত্ব আর প্রভুত্ব এই বৃত্ত থেকে তসলিমা বের হতে পারেননি। তাসলিমা নাসরিন নারীকে নারী ভাবতে রাজিনা। আর পুরুষ মানেই জানোয়ার। পুরুষমানেই কামুক। ঠিক এইখানে আল্লামা শফীর সাথে তাসলিমার মিল আছে ।
নারী দেখলেই পুরুষ ঝাঁপিয়ে পড়বে। অতএব নারীকে মেকানিজমড করতে হবে, কন্ট্রোলড করতে হবে। একজন মানুষ যদি জানোয়ারের মতো বিপরীতলিংগকে দেখা মাত্রই যৌনকাতর হয়ে আগ্রাসী হয়। তবে মানুষের যে বিবেক রয়েছে, মননশীলতা রয়েছে, চিন্তাশীলতা রয়েছে তার সাথে পশুর ফারাক রইলো কোথায়। আল্লামা শফীর ভয়, নারী দেখলেই পুরুষ ঝাঁপিয়ে পড়বে, না হয় সে পুরুষ নপুংসক। কী বিকারগ্রস্থ চিন্তা ।তসলিমারও সে রকম ভয়। কী নিদারুন মনোবৈকল্য ।

তারা চিন্তা করতে পারেননি- মানুষ পশু না। মানুষ জানোয়ার না।তার বিবেকবোধ রয়েছে, তার আত্মশুদ্ধি রয়েছে ।

তাসলিমা পুরুষকে সবসময় প্রতিদন্ধী হিসাবে দেখেছেন।স্ত্রী যখন স্বামীর কল্যান কামনা করে প্রার্থণা করে তাসলিমার সেটা ভালো লাগেনি। কেনরে ভাই, এইপুরুষ তো কারো ভাই হতে পারে, কারো সন্তান হতে পারে।পুরুষ স্বামী কারো ভাই, কারো ভ্রাতা।মায়ের স্নেহচুম্বন কি সন্তানের মাথায় আশীর্বাদ হতে পারেনা। ঘরে না ফেরা ভাইয়ের প্রতি কি বোনের ব্যাকুলতা থাকতে পারেনা। বিদেশে থাকা কারো কল্যান কামনায় কোনো মাতা, ভগ্নি, চাচী,দাদী কি একটি বিনিদ্র রাত পার করতে পারেনা।

আর তসলিমার চিন্তায় নারী মানেই স্ত্রী। স্বামীর সেবাদাসী। যৌনপুতুল। আর কিছুনা। নারী নারীত্ব নিয়ে আর পুরুষ পুরুষত্ব নিয়ে থাকলে সমস্যা কোথায়? আর নারী পুরুষ দুজনের মাঝেই থাক মনুষত্ব। তাহলেইতো হয়।

নারীর নারীত্ব নিয়ে কোনো সংকীর্ণতা, কোনো অপ্রাপ্তি, কোনো হীনমন্যতা থাকারতো কিছুই নেই। পৃথিবীতে সবচেয়ে মধুরতম শব্দ হলো"মা"। এই মা তো একজন নারীই। পৃথিবীতে মা'য়ের চেয়ে মর্যাদাবান, মা'য়ের চেয়ে সম্মান, মা'য়ের চেয়ে গৌরবের, এর চেয়ে মহিমান্বিত রুপ তো আর অন্য কিছুতেই নেই। নারী'ই সেই মায়ের স্থান দখল করে আছে। এই সহজ জিনিসটা ভাবতে তাসলিমার সমস্যা কোথায়।

নারী যখন বধু হয়। আমার সবচেয়ে আদরের ছোটবোন স্বামীর সাথে ঘর করতে বিদেশ পাড়ি দিলো। অনেকদিন পর ওদের সাথে দেখা। ছোটবোনের বৃদ্ধ শশুড় চেয়ারে বসতে যাবে। দেখলাম, ছোটবোন দৌড়ে আসছে বাবা বাবা বলে। উনি চেয়ারে বসার আগেই ছোটবোন চেয়ারের ওপর হাত পেতে দিয়ে বললো- বাবা এখানে বসোনা।

আমি ওকে বললাম- কীরে । এরকম দৌড়ে আসার কী হলো। ছোটবোন বললো- বাবাতো ভালো করে শুনতে পায়না। আর চেয়ার ভিজা। তাই চেয়ারটা আগে মুছে দেই। তারপর বাবা বসবে।

এরকিছুদিন পর দেশ থেকে ওর শশুড় বিদেশ ফিরবে। আমি ওনার সাথে আছি। উনি প্রচুর শুটকি মাছ কিনছেন। বললাম, খালু । এতো শুটকি মাছ কার জন্য কিনবেন?
উনি হেসে বললেন- আমার দুটি বিড়ালের বাচ্চা আছেনা। ওদের জন্য।
দুটি বিড়ালের বাচ্চা হলো ওনার দুই ছেলের বউ।

এই যে অকৃত্তিম স্বর্গীয় পারিবারিক ভালোবাসা-তাসলিমা এটা পানওনি। চেষ্টাও করেননি, একবার চেয়েও দেখেননি।

আপনি আস্থিক হোন, নাস্তিক হোন। এটা আপনার নিজস্ব পছন্দের ব্যাপার। কিন্তু প্রকৃতির বিরুদ্ধে আপনি যেতে পারেননা। প্রকৃতিই নারীকে নারী বানিয়েছে, পুরুষকে পুরুষ বানিয়েছে। নারী ছাড়া পুরুষ চলতে পারেনা, পুরুষ ছাড়া নারী না। এখানে পারষ্পরিক প্রতিদন্দ্বী ভাবার কিছুই নেই। মানুষের জীবন নামক গাড়ী নারী-পুরুষের সমান্তরাল লাইনের উপর দিয়েই বয়ে যাবে। এর বিরুদ্ধে গেলে প্রকৃতির নিজস্ব শৃঙখলা নষ্ট হবে।
পুরুষকে প্রতিদন্দ্বী হিসাবে দাঁড় করিয়ে নারীবাদীত্ব নিয়ে পড়ে থাকা হলো চিন্তার নিদারুন সঙকীর্ণতা। নারীকে নারীহিসাবে, মা হিসাবে, স্ত্রী হিসাবে , বোন হিসাবে দেখনু। দেখবেন মনে শান্তি পাবেন। মানসিক অস্থিরতা দূর হয়ে যাবে।
২২টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পথ হারিয়ে-খুঁজে ফিরি

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৩৩


মনটা ভালো নেই। কার সাথে কথা বলবো বুঝে পাচ্ছি না। বন্ধু সার্কেল কেও বিদেশে আবার কেও বা চাকুরির সুবাদে অনেক দুরে। ছাত্র থাকা কালে মন খারাপ বা সমস্যায় পড়লে... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রজাতির শেষ জীবিত প্রাণ !

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫১



বিবিসির একটা খবর চোখে এল সেদিন । উত্তরাঞ্চলীয় সাদা গন্ডার প্রজাতির শেষ পুরুষ গন্ডারটি মারা গেছে । তার নাম ছিল সুদান । মৃত্যুর সময় তার বয়স ৪৫। বিবিসির সংবাদটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মধ্যে সে একজন ।।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯



আপনারা কতজন Umma Kulsum Popi চেনেন, আমি ঠিক জানি না। আমার পর্যবেক্ষণ মতে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের একজন হলেন উনি। যদি বলি দেশের সেরা পাঁচজন কনটেন্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিস অস্বীকার করে রাসূলের (সা.) আনুগত্য সম্ভব

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×