টেকনাফের নাফনদীতে মাছধরারত বাংলাদেশী জেলেদের উপর গুলিবর্ষণ করেছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী নাসাকা। গুলিবিদ্ধ জেলে নদীতে পড়ে যাওয়ায় তার লাশ অনেক খোঁজাখুজির পরও পাওয়া যায়নি। তবে পারিবারিক সূত্র তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা করছে।
সূত্র জানায়-৯ জানুয়ারী বিকাল সাড়ে ৩টার টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের গুদাম পাড়া এলাকার মোহাম্মদ হোছন প্রকাশ মাইন্যার ছেলে মোঃ ফারুক-(১৮) ও ছৈয়দ আহমদের পুত্র ইসমাইলকে নিয়ে ক্যাংব্রাং এলাকায় নাসাার পাস (সাপ্তাহিক চুক্তি) নিয়ে কাকঁড়া শিকারে যায়। বিকাল ৪টারদিকে ছাঁই বসানোর সময় হঠাৎ পাশ্ববর্তী নাসাকা ক্যাম্পের ৫সদস্য আকস্মিকভাবে দৌঁড়ে বেড়িবাঁধ হতে কাঁদায় নেমে কাঁকড়া শিকাররত নৌকা লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে ফারুক ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে নদীতে পড়ে যায়। পাশ্ববর্তী অন্য নৌকার লোকজন এ খবর পরিবারে জানালে লোকজন খুঁজতে বের হয়। তবে স্থানীয় বিজিবি কোন বক্তব্য দিতে পারেনি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত ৮টার তার লাশ পাওয়া যায়নি।
অপর দিকে আরেক সীমান্তে বেসরকারি জরিপ অনুযায়ী ভারত প্রতিচার দিন এক এক লাশ উপহার দিয়ে দুদেশের বন্ধুত্বের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে । ভারতের এই হত্যাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আত্তরক্ষা বলে তাদেরকে আরও উৎসাহিত করে যাচ্ছে । পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যা দিনে দিনে কমে আসছে বলে মিথ্যা দাবী করে যাচ্ছে । এখন কথা হচ্ছে এই নিরীহ হত্যার কেন আমরা স্বাধীন জাতী হয়ে উচিৎ জবাব দিতে বার বার ব্যথ হচ্ছি ? কেন প্রতিনিয়ত প্রতিবাদ করতে বাক শক্তি হারাচ্ছি ? তা হলে কি এই কথা সত্যি প্রমাণিত হতে যাচ্ছে অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা ?