নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বঙ্গভবনে। আমন্ত্রিতরাও আসতে শরু করেছেন।
Published : 18 Nov 2013, 02:01 PM
বঙ্গভবনের দরবার হলে এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়েই নতুন মন্ত্রীদের শপথ পড়াবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আগামী মধ্য জানুয়ারিতে নির্বাচনের সময় এ সরকারই ক্ষমতায় থাকবে।
সরকার এ মন্ত্রিসভাকে বলছে সর্বদলীয় মন্ত্রীসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূইঞা সকালেই সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এ মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য নতুন সদস্যদের সবাইকে আমন্ত্রণ পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
তবে কোন দলের কে কে বিকাল ৩টায় মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিচ্ছেন সে বিষয়ে মুখ খোলেননি তিনি।
বঙ্গভবনের দরবার হলে মূল মঞ্চের সামনে আমন্ত্রিত, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একেবারে সামনের সারির আসনগুলোতে যারা বসবেন তাদের নামের ট্যাগও দেয়া হয়েছে।
এসব নামের মধ্যে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের দুই সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদও রয়েছেন। বর্ষীয়ান এ দুই নেতা বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন না।
একটি চেয়ার বরাদ্দ রয়েছে ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের নামে।
সামনের সারিতে সবার মাঝের চেয়ারটিতে বসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আর রওশন এরশাদের মাঝে চেয়ারটি রাখা হয়েছে জাপা চেয়ারম্যান এরশাদের জন্য।
আর মঞ্চের সামনে নতুন মন্ত্রীদের শপথের জন্য রাখা হয়েছে পাঁচটি মাইক।
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ চেয়ারে যাদের নাম রয়েছে, তারা সবাই বঙ্গভবনে পৌঁছে গেছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ভূইঞা এই শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন।
বিএনপির কেউ আমন্ত্রণ পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি একাধিকবার বলেন, “বিভিন্ন দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমি কারো নাম বলতে পারব না।”
এই ‘সর্বদলীয়’ মন্ত্রিসভার সদস্য কতোজন হবে, তা জানাতেও সে সময় অপারগতা প্রকাশ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
সচিব জানান, আগের মন্ত্রিসভার যারা থাকবেন না, তাদের পদত্যাগপত্র শপথের পরে রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গেজেট প্রকাশ করবে এবং প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিদের মধ্যে দপ্তর পুনর্বণ্টন করবেন।