বিরোধী দলের নির্দলীয় সরকারের দাবি উপেক্ষা করে নির্বাচনকালীন ‘সর্বদলীয়’ সরকার গঠনে মন্ত্রীদের শপথের প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
Published : 18 Nov 2013, 04:39 PM
বিরোধী দলের আপত্তির মধ্যে ‘সর্বদলীয়’ সরকারের মন্ত্রীদের শপথ নেয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির সহসভাপতি শমসের মবিন চৌধুরী।
তিনি সোমবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার জন্য বিরোধীদলীয় নেতা সময় চেয়েছেন। এ বিষয়টি নিয়ে বিকালে আমি বঙ্গভবনে সংশ্লিষ্ট জায়গায় কথা বলেছি।”
রাষ্ট্রপতি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিরোধীদলীয় নেতাকে সাক্ষাতের সময় দিয়েছেন বলে শমসের মবিন জানান।
বঙ্গভবনে যাওয়া চূড়ান্ত হওয়ার পর রাতে গুলশানের কার্যালয়ে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন খালেদা জিয়া।
বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ছাড়াও ছিলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মাহবুবুর রহমান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়,আবদুল্লাহ আল নোমান, শমসের মবিন চৌধুরী, মাহমুদুল হাসান, আবদুল মান্নান, আমানউল্লাহ আমান, বরকতউল্লাহ বুলু, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ফজলুল হক মিলন, জয়নুল আবদিন ফারুক।
ফখরুল সাংবাদিকদের জানান, ১৮ দলীয় জোটের ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে যাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
“বর্তমান সঙ্কট নিরসন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বিরোধীদলীয় নেতা,” বলেন তিনি।
১৮ দলীয় জোটের শরিক এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ, বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. ইবরাহিম রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন।
এই বছরের মাঝামাঝিতে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেয়ার পর এই প্রথম আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন নির্দলীয় সরকারের দাবি থেকে সরে না আসার ঘোষণা দেয়া বিএনপি চেয়ারপারসন।
খালেদা জিয়া চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করতে চান বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।
বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। নির্দলীয় সরকার না হলে নির্বাচন বয়কটের হুমকিও রয়েছে তাদের।
সেই দাবি উপেক্ষা করে নির্বাচনকালীন ‘সর্বদলীয়’ সরকারের মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠান হয় সোমবার বিকালে। এর পরপরই রাষ্ট্রপতির সাক্ষাৎ চান খালেদা জিয়া।
গত ৫ নভেম্বর বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক চলমান সঙ্কটের অবসানে রাষ্ট্রপতিকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।
গত ৯ নভেম্বর বিবিসি সংলাপে বিএনপির সহসভাপতি হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “রাষ্ট্রপতি খুব ভালো মানুষ। তিনি চাইলে উদ্যোগ নিতে পারেন।”