somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডেইলী ষ্টারের 'হে ফেষ্টিভেল' আর ড: ইউনুস সারের ' গে ফেষ্টিভেল'

২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ড: ইউনুস সার আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ন বাংলাদেশী । এদেশের মাটিতে জন্ম নেওয়া কোন মানব সন্তান এত উচ্চ পর্যায়ের পুরষ্কার-পদক- স্বীকৃতি পান নাই । হাজার বছরের ইতিহাসে নেই । কিন্তু তিনি একজন 'প্রগতিশীল' ব্যক্তিত্ব, আর তাই এদেশের সেকেলে মন মানষিকতার লোকদের সাথে ওনার চিন্তা ভাবনা কিছুটা ফারাক থাকতেই পারে । তবে বিশ্ব মানের আধুনিক বাংলাদেশ গঠনে ওনাকেই রোল মডেল ধরা যেতে পারে ।

উনি যে একজন বিশ্বমানের আধুনিক মনষ্ক প্রগতিশীল মানুষ তা তিনি সমকামীদের পক্ষে সোচ্চার কন্ঠে আওয়াজ তুলে ইতিমধ্যেই প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন । আমাদের দেশের অলিখিত 'প্রভু ' আম্রিকার রষ্ট্রপতিও স্বয়ং সমকামীদের পক্ষে বলায় বিষয়টি এখন বিশ্বায়নের অংশ হতে চলেছে ! অধুনিকায়ণ ও প্রগতিশীলতায় বিশ্বের সাথে তাল মিলাতে হলে প্রভুদের পথ অনুসরণই হবে প্রকৃত স্মার্টনেস। স্মার্ট ইউনুস তাই ওবামার কন্ঠে কন্ঠ মিলালেন সবার আগেই ।

এখন বিষয়টাকে দেশের মাটিতে প্রতিষ্ঠা করতে একটা " গ্রামীন সমকাম" জাতীয় কিছু বিদেশী লোন এনে খাড়া করতে হবে । যারা ছেলে ছেলে যৌন মিলনে আগ্রহীদের কনডম বিলাবে, ট্রেনিংও গিলাবে । কেয়া আছ্ছা বাত হ্যায় ! ইতিমধ্যে বিষয়টা অন্যরা শুরু করলেও তারা ইউনুস সারের মত স্মার্ট নয়। তাই অদুর ভবিষ্যতে সমকামীদের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে একটা 'গে ফেষ্টিভাল' হলে হতেও পারে । বিদেশী এক্সপার্টরা আসতে পারেন, কনসালট্যান্ট - ইন্টেলেক্চুয়ালদের পদধুলিতে ধন্য হতে পারে দেশের মাটি ! আল্লাহু আয়'লাম ।

এদিক থেকে দেশের শীর্ষ বুকার প্রত্যাশী মাজফুজ আনাম তনয় এর সাথে একটা কাব্যিক ও কনসেপ্চুয়াল মিল পাওয়া যাচ্ছে ।

১. একজন উদ্দোক্তা নবেল বিজয়ী, অন্য জন বুকার প্রত্যাশী ।

২. অপূর্ব ছন্দমিল হে - গে

৩. গে অধিকারের ধারণা আর হে উৎসবের প্রেরণা দুটাই বিদেশী, ফরেন মাল, ইম্পোর্ট করা ।

৪. দেশের মাটিতে - দেশের মানুষের কাছে এগুলোর অবদান ততটা নেই যতটা আছে প্রভুদের কাছে, প্রভু রাষ্ট্রের মাটিতে ।

কত ভাল মিল দেখেন তো !

বাংলা একাডেমী আয়োজিত বিলেতী হে ফেষ্টভেল নিয়ে আলাদা করে কিছু বলবার দরকার দেখছিনা, যেহেতু রেজা ঘটক যা বলার বলে দিয়েছেন মাত্র ২টি পোষ্ট - এ :

বাংলা একাডেমি'র লজ্বা নেই!!! আবারো বাংলা একাডেমিতে সেই কথিত হে উৎসব!!!

হে উৎসব প্রমান করলো বাংলা একাডেমি'র নৈতিক অবক্ষয় ঘটেছে!!

তবে হে ফেস্টিভেলের মেহমাণ, তারিক আলীর কথা না বললেই নয়, প্রথম আলোতে ওনার সাক্ষাৎকার থেকে কিছু দেখতে পারেন নীচে :

প্রথম আলো : হে ফেস্টিভ্যাল নিয়ে বলেন। অনেকেই তো এর সমালোচনা করছে। কী বিবেচনায় আপনি এতে অংশ নিয়েছেন?

তারিক আলি: আমি সাধারণত কোথাও হে ফেস্টিভ্যালে বক্তৃতা করি না। কারণ, তারা বৈশ্বিক করপোরেট কালচারের অংশ। কিন্তু এবার আমি তাদের আমন্ত্রণে বাংলাদেশে এসেছি। কারণ, আমি ঢাকায় আসতে চেয়েছি। স্বাধীনতার পর আমার আর তো আসা হয়নি। ফেস্টিভ্যালের উদ্যোক্তাদের কাছেও অভিযোগ করেছি, কেন এটা ঢাকা ফেস্টিভ্যাল হবে না? কেন হে ফেস্টিভ্যাল? এই করপোরেটাইজেশনের সমালোচনা করি।

তারিক আলি পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক, সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রকার। নিউ লেফট পত্রিকার সম্পাদকীয় কমিটির সদস্য। জন্ম ১৯৪৩ সালে, পাকিস্তানের পাঞ্জাবে। বাল্যকালেই তিনি সেনাশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে জড়িত হন। গ্রেপ্তারের আশঙ্কায় চলে যান ব্রিটেনের অক্সফোর্ডে। সেখানে রাজনীতি, অর্থনীতি ও দর্শন বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। অক্সফোর্ডের স্টুডেন্ট ইউনিয়নের সম্পাদক নির্বাচিত হন। ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে বার্ট্রান্ড রাসেলের নেতৃত্বে গঠিত ভিয়েতনাম যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন। ১৯৬৮ সালে লন্ডনের মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও মিছিলে নেতৃত্ব দেন। তারিক আলির গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে, পাকিস্তান: মিলিটারি রুল অ্যান্ড পিপলস পাওয়ার, বুশ ইন ব্যাবিলন, স্ট্রিট ফাইটিং ইয়ারস, ক্ল্যাশ অব ফান্ডামেন্টালিজমস। তাঁর ইসলাম চতুষ্টয় সিরিজের প্রথম উপন্যাস শ্যাডোজ আন্ডার পমেগ্রানাটে ট্রি জার্মানিতে বেস্ট সেলার হয়। সম্প্রতি শেষ করেছেন রুশ বিপ্লবের ওপর নির্মিতব্যচলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ সফরে আসেন।
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক ওয়াসিফ ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭
৭টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×