আবার ঘুরেফিরে চাকুরির জন্য মামা আর ভর্তির জন্য আব্বা প্রসংগ চলে আসল। মুক্তিযোদ্ধারা এদেশের সুর্যসেনা। তাদেরকে সর্বাত্নক সুযোগ সুবিধা দেয়া হোক, দিতে হবে এটা কারো বিতর্কের বিষয়ই হতে পারে না। তাই বলে তার সন্তান, নাতি, নাতনিদেরও সুযোগ সুবিধা দিতে হবে এবং তার সীমার কোন ইয়ত্তা থাকবে না তা হয় না। আরে অধম মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়ে তুর কলিজা এত ছোট হবে কেন? মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন কোন কিছুর পাওয়ার আশায় নয়, দেশকে ভালবাসতেন বলে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বলে তোকে ত আর একে ৪৭ ধরিয়ে দিয়ে যুদ্ধে যেতে বলা হচ্ছে না। মেধার স্বাক্ষর রেখে সব বাধা অতিক্রম করে মুক্তিযোদ্ধা বাপকে আরো সম্মানিত কর। কোটা থাকা স্বত্তেও কোটার অপশনে টিক না দিয়ে নিজের ক্ষমতা স্বকীয়তার পরিচয় দে।
আর মেয়েদের কেন কোটার দরকার হবে। সমঅধিকার মানে কি কোটা? বর্তমান শিক্ষা প্রেক্ষাপটে মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে এই শিরোনামে অনেক খবর আজকাল পত্র-পত্রিকায় দেখা যায়। যা মেয়েদের জন্য খুবই ইতিবাচক দিক। চাকরিতে এসেই কেন তাদের কোটা চাই? এইটা কি নারীর মেধার অবমুল্যায়ন নয়? অথবা নারীকে অবহেলার শামিল নয়?
এইগুলো মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে বা বিপক্ষে অথবা নারীর মুল্যায়ন বা অবমুল্যায়ন শীর্ষক কথাবার্তা না। সমৃদ্ধ জাতি গঠনের বুদ্ধিদীপ্ত, মননশীল চিন্তা চেতনার বিষয়।
বাস্তবিকভাবে এই কোটা, কোটাভুগীদের মেধা আর স্বকীয়তাকে বিনষ্ট করছে। আর মেধাবীদের হতাশার কষাঘাতের মাধ্যমে নিজের মেধা আর সাহসকে ভুলুন্ঠিত করছে। সমৃদ্ধ জাতির আড়ালে ভংগুর জাতির ভীতকে আরো মজবুত করছে। এখনই সময় এইসব সংবেদনশীল ব্যাপারে মননশীল সিদ্ধান্ত নেয়ার।