আরে ফেলানি মরছে তো কি হইছে? সমাজে কি ওই ফেলানি কোন কিছু কন্ট্রিবিউট করছে? করে নাই।

সে কি কোন সেলিব্রিটি? না!

তাহলে ও কি ওর বাপ-মায়েরে টাকা পয়শা দিয়া সাহায্য করত? না, তাও করত না!
সে কি দেশের উন্নয়নে কোন ভূমিকা রাখছে? না।

সে কি রাজনীতিবিদ? কখনই না!

তো ওর মত একটা সাধারন মেয়ে মরলে কি হইছে?! শুধু শুধু পৃথিবীর কতগুলা অক্সিজেন নষ্ট করছে, বাপ মা-এর ঘাড়ে বসে দিনের পর দিন খাইছে আর বাপ মা-রে কষ্ট দিছে।

এইরকম একটা ক্যান, হাজারটা মরা উচিৎ! হুদাই বাতাসের অক্সিজেন নষ্ট করছে, বাপ মায়ের প্রেশার বাড়াইছে, দেশে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়াইছে! এরে মাইরা অমিয় ঘোষ তথা ভারতের বিএসএফ কত দিক দিয়া বাংলাদেশের উপকার করল, বাঙালি বুঝল না! শালার অকৃতজ্ঞ বাঙালি!

ফেলানীরে গুলি করে মারার কারনে অমিয় ঘোষরে তো বিচারের আওতায় আনাটাই অবিচার হইছে! তারে তো পুরষ্কৃত করা উচিৎ ছিল! তারপরও এনেই ফেলছিল যখন, বেকুসুর খালাশই তার প্রাপ্য রায় ছিল।

হয়ত কনসিকোয়েন্স-এর কথা চিন্তা কইরা শেখের বেটি হয়ত হয়ত বলতে পারে নাই "এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট!" তার দল যে পরিমান ভারতের পা চাটে তাতে মনে হয় মানুষ এই ফেলানী নিয়া না ভাবলে শেখের বেটি সেটাও বলত। ইন ফ্যাক্ট আমাদের বন্ধু বলে কথা।

যাই হোক, অমিয়কে একদিনের জন্য বাংলাদেশে পাঠান হোক। এতদিন তার 'উপকার'-এর বিচার চেয়ে যে অপরাধ করছি তার জন্য 'ক্ষমা' প্রার্থনা করে তাকে তার প্রাপ্য 'সম্মান' দিতে চাই! অমিয় ঘোষকে শুধু একটা বারের জন্য বাংলাদেশে পাঠান হোক