আজকে অনায়াসে লিখে ফেলতে পারি, এই পারা কিন্তু পারতাম না;
যদি না মা আমাকে ঠাকুমার ঝুলি গল্প বলতেন, বই পড়ার অভ্যাসটা না করতেন,
আমার সেই ধানমন্ডি দীদা (বেগম সুফিয়া কামাল) যদি আফসোস না করতেন, ইস! আমার পড়ে তোর কেউ লিখিস না।
আমার প্রিয় আপিন যিনি তার অপ্রকাশিত ইচ্ছাগুলো আমাকে লিখে রাখতে না বলতেন।
আমি মা'র ইচ্ছাতে আজ বইয়ের পোকা, কবি, মাকে খুশি করতে নিজের গাটের পয়সা খরচ করে "বন্ধু মানে বোধহয়" প্রথম কবিতার বই বের করেছিলাম। নতুন লেখকদের বই কেউ বের করতে চায় না। এই কথা মাকে কোনভাবে বোঝানো যায় নি। বাবা মুচকি হেসে আমাকে টাকা দিয়ে বললেন, যা এবার একটা বই বের কর। বেরিয়ে গেল প্রথম বই। আমার বই দেখে আমার পান্ডুলিপি পড়ে প্রিয় ধানমন্ডি দীদা বলেছিলেন, লিখে যা থামবি না কোনদিন, তোর লেখা হয়ে থাকবে একটা সময়ের স্বাক্ষী।
প্রথম কবিতা লিখেছিলাম পঞ্চমশ্রেনীতে থাকাকালীন। যৌথ পরিবারে বড় হওয়ার সুবাদে আমার প্রথম কবিতার শ্রোতারা ছিল মা-বাবা, দীদা,বড় চাচা-চাচী,ছোট চাচা,মেঝ ফুফু, ছোট ফুফু, আমার ফুফাতো ভাই বোনেরা। তাদের অনুপ্রেরনায় ঘরোয়া কবি হয়ে গেলাম। সবাই রোজ জিজ্ঞেস করত কিরে, আজ কি লিখলি রে ?
পরবর্তীতে স্কুল জীবনে টুকটাক কবিতা ছেপে যেত, খুব ভালো লাগত। স্কুল জীবনে শেষ দিনটিতে "বেদনার ফুল" কবিতটা লিখে আবৃত্তি করেছিলাম, আমি খুব অবাক হয়েছিলাম, অন্তত কিছু চোখের জল এসেছিল সবার, শিক্ষকশিক্ষিকার সবাই মিলে তালি দিয়েছিলন।
প্রতিটি নতুন বছর এলে বড় চাচা আমাকে নতুন ডায়রী দিয়ে বলতেন, পুরোটা ডায়রী লেখায় ভরা চাই। আমি লিখি একদল ভালবাসার মানুষের কথা ভেবে। যারা আমাকে নিয়ে ভাবে, যারা আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে আমি তাদের নিয়ে স্বপ্নালোকের গল্প লিখি।
৮ই জানুয়ারী,২০১৩
--------------------------------------------------------------------------------
লেখালেখি ৩৬৫ প্রজেক্ট ২১১/৩৬৫
(বিলম্বে আপলোডের জন্যে দুঃখিত।)
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০